বাংলাদেশের নদ-নদী

প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

রংপুর বিভাগ
১২. দেওনাই-চারালকাথা-যমুনেশ্বরী : দেওনাই-চারালকাথা-যমুনেশ্বরী নদীটি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ দিয়ে প্রবাহিত স্রোত থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে এটি দক্ষিণ দিকে ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ হয়ে তারাগঞ্জ উপজেলার কাছে রংপুর জেলায় প্রবেশ করেছে এবং রংপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মিঠাপুকুর উপজেলায় করতোয়ার সঙ্গে মিলেছে, তারপর দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রবেশ করেছ। এ নদীটি জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় ধাইজান, বুলাই, আউলিয়াখান, বুড়িখোড়া, চিকলী নামক অনেক নদ-নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ১৩. যমুনেশ্বরী : গিরিরাজ হিমালয়ের দক্ষিণাঞ্চলে রংপুর জেলার অবস্থান। উত্তরের উঁচু পাহাড়ি এলাকা থেকে অসংখ্য নদী উৎপত্তি হয়ে এ জেলার বিভিন্ন অংশের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়েছে। বর্তমান নদীগুলোর গতিপ্রকৃতি সব সময় এক রকম ছিল না। বড় বড় ভূমিকম্প ও পাহাড়ি ঢলে এসব নদীর গতিপথকে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে বাধ্য করেছে। নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে যদিও যমুনেশ্বরী রংপুরের পশ্চিম জনপদকে বহুলাংশে প্রভাবিত করেছে, তবুও ভূগোলবিশারদ রেনেল তার মানচিত্রে একে প্রদর্শন করেননি। কিংবা লেখক, ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা এ নদীর কথা কখনোই উলেস্নখ করেননি। তবে ইতিহাসবিদ একেএম নাসির উদ্দিন নীলফামারীর ইতিহাস গ্রন্থে উলেস্নখ করেছেন যমুনেশ্বরী নদীর কথা। তিনি বলেন, ডোমার উপজেলার হংসরাজ বিল থেকে উৎপত্তি হয়ে নীলফামারী শহরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কচুকাটা নামক গ্রাম পাশে রেখে তারাগঞ্জ উপজেলায় প্রবেশ করেছে। যমুনেশ্বরী বদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর পাশ দিয়ে এ জনপদে এসে প্রবেশ করেছে। অনেক ইতিহাসবিদের মতে এটি অতীতে 'যৌবনেশ্বরী' নামে প্রবাহিত হতো। কালের বিবর্তনে আস্তে আস্তে এটি যমুনেশ্বরী নামে অভিহিত হয়েছে। উলেস্নখ করা হয়েছে, এর উৎপত্তিস্থল নিয়ে বিভিন্ন কথা প্রচলিত আছে। অনেকের মতে এটি তিস্তার শাখা নদী হিসেবে বের হয়ে এসেছে। ১৮১২ ও ১৮৮৭ সালের পাহাড়ি ঢল ও ভূমিকম্প মূলধারা থেকে একে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে এবং এর গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে এ নদীর পানিপ্রবাহের উৎস বৃষ্টি ও ভূগর্ভস্থ পানি। যমুনেশ্বরীর গতিপথ তিন বৃহত্তর জেলা রংপুর, বগুড়া ও পাবনার ভেতর দিয়ে প্রায় ২০০ মাইল পাড়ি দিয়ে বাঘাবাড়ীতে এসে ক্লান্তবেশে হুড়া সাগরে পতিত হয়েছে। পথে পথে এ নদীর তীরে শেখেরহাট, জলুবর, বদরগঞ্জ, নাগেরহাট ও বালুয়া বন্দর গড়ে উঠেছে। শিক্ষা জগৎ ডেস্ক য়