বাংলাদেশের নদ-নদী
রংপুর বিভাগ
প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
৮. বুলাই : নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বড় ঘাটের স্রোত থেকে বুলাই নদীর উৎপত্তি। যমুনেশ্বরী নদীতে পতিত হওয়ার আগে এটি দক্ষিণ দিকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা ও রংপুরের বদরগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
৯. বুড়িখোড়া-চিকলী : নীলফামারীর ডোমার উপজেলা থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভাটিতে সোনারাই বিল নামক একটি জলাভূমি থেকে বুড়িখোড়া-চিকলী নদীর উৎপত্তি। উৎপত্তিস্থল থেকে আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়ে রংপুরের বদরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে দেওনাই-চারানকাটা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অবশেষে যমুনেশ্বরীতে পতিত হয়েছে। এ নদীর নাব্য তেমন নেই। প্রবাহ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৭০ কিউসেক।
১০. দুধকুমার : দুধকুমার জেলার একেবারে উত্তর-পূর্ব সীমান্তের নদ। তিব্বতের মনকোশ নদ ভুটানের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে নাম ধারণ করে হরিডাক। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সোনাইহাট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নামধারণ করে দুধকুমার। পাটেশ্বরীর কাছে গোদাধর, গঙ্গাধর নামক দুটি উপনদ দুধকুমারের সঙ্গে মিলিত হয়। এ দুটি নদের প্রবাহ গ্রহণ করে দুধকুমার সর্পিল গতিতে চলতে থাকে। ৫১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে নদটি নুনখাওয়া নামক স্থানে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হয়।
দুধকুমারের সঙ্গে মিশে আছে আরেকটি নদ ফুলকুমার। দুধকুমার বড়, ফুলকুমার ছোট। দুধকুমারের দুই তীরে বাস করে অসংখ্য মানুষ।
১১. করতোয়া : তিস্তা করতোয়ার প্রধান চ্যানেল। ১৭৮৭-৮৮ সালের দিকে করতোয়া গতিপথ পরিবর্তন করে রংপুরের ভেতর দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলেছে। করতোয়ার প্রধান স্রোত ভারতের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বা সংকীর্ণ সংযোগের মাধ্যমে মূলত নীলফামারী জেলাতেই প্রবাহিত। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে এটি দক্ষিণ দিকে নীলফামারী ও রংপুর হয়ে মিঠাপুকুর উপজেলার দেওনাই, চারালকাথা এবং যমুনেশ্বরী নদীকে ছুঁয়েছে। এ মিলনস্থলে দক্ষিণমুখী হয়ে একটি শাখা উৎপন্ন হয়েছে, যা বগুড়া শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করতোয়া নদী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং এতবার চ্যানেল পরিবর্তন করেছে যে, এখন এটিকে আসল নামে চেনাই কঠিন হয়ে পড়েছে। যা হোক, এটি এখন কোনো জায়গায় দেওনাই, চারালকাথা, যমুনেশ্বরী বা কোথাও করতোয়া নামে পরিচিত হয়েছে।
শিক্ষা জগৎ ডেস্ক য়