বাংলাদেশের নদ-নদী
রংপুর বিভাগ
প্রকাশ | ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
নদীমাতৃক দেশের বৃহত্তর অংশ হিসেবে রংপুর জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নাম জানা-না জানা ছোট বড় অসংখ্য নদ-নদী। বৃহত্তর রংপুর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, ঘাঘট, দুধকুমার প্রভৃতি নদ-নদী।
রংপুরের নদ-নদীগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো :
১. তিস্তা : তিস্তা রংপুর অঞ্চলের প্রধান নদী। এটি ব্রহ্মপুত্রের একটি উপনদী। ভারতের উত্তর সিকিমের পার্বত্য এলাকায় এর উৎপত্তি। পার্বত্য এলাকায় এর প্রবাহ সৃষ্টি করেছে অপরূপ দৃশ্যের। লাচেন ও লাচুং নামের দুই পর্বতের স্রোতধারাই তিস্তার উৎস। এ দুই স্রোতধারা সিকিমের চুংথাংয়ে এসে মিলেছে। চুংথাংয়ের ভাটিতে তিস্তা আস্তে আস্তে প্রশস্ত হতে থাকে। সিংতামে এর প্রশস্থতা ৪৩ কিলোমিটার। জলপাইগুড়ি জেলার মোট ৫৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তিস্তা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছাতনাই গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে ১১২ কিলোমিটার পথ প্রবাহিত হয়ে তিস্তা চিলমারীর দক্ষিণে গাইবান্ধার কামারজনি মৌজায় ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়। এ নদী বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের অধিকাংশ জেলা অর্থাৎ নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হয়। ১৭৮৭ সাল পর্যন্ত তিস্তা ছিল উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী। তিস্তার দুটি ব্যারাজ- একটি ভারতের গজলডোবায়, অন্যটি বাংলাদেশের দোয়া নীড়ে। বুড়ি তিস্তা, ঘাঘট, মানাস, ধাইজান ইত্যাদি তিস্তার শাখা নদ-নদী ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে উৎস নদী থেকে এগুলো পৃথক হয়ে গেছে।
২. ঘাঘট : তিস্তার একটি শাখা নদ। ঘাঘট আগে খুব গুরুত্বপূর্ণ নদ ছিল এবং শহরটি এর তীরেই অবস্থিত। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুজিপাড়া গ্রামে এর উৎপত্তি। নদটি আঁকাবাঁকা। উৎপত্তিস্থল থেকে গঙ্গাচড়া উপজেলার পশ্চিম সীমানা দিয়ে রংপুর সদর উপজেলা অতিক্রম করে পীরগাছা উপজেলায় প্রবেশ করেছে। এরপর আলাইকুড়ি নদীকে সঙ্গে নিয়ে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর হয়ে যমুনায় মিলিত হয়েছে। গাইবান্ধা শহরের ৮ কিলোমিটার পুবে মানাস নদ ঘাঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ঘাঘট ধীরগতির নদ হিসেবে পরিচিত। আগে এটি তিস্তার উপনদ ছিল। উনবিংশ শতাব্দীতে এর মোহনা ভরাট হওয়ায় তিস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে সংকীর্ণ হয়ে এটি এখন শহরের গুরুত্বপূর্ণ ড্রেনে পরিণত হয়েছে। ঘাঘটের প্রধান স্রোত দক্ষিণ দিকে মানাস ও আলাইর শাখা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর অন্য চ্যানেলটি পূর্ব দিকে যমুনার সঙ্গে মিলেছে। জুলাই-আগস্টে পানির সর্বোচ্চ প্রবাহ থাকে। মার্চ-এপ্রিলে ক্ষীণ ধারায় বয়ে চলে এ নদটি।
শিক্ষা জগৎ ডেস্ক য়