পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান
প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
৩১১। প্রযুক্তির বিকাশে একটি উলেস্নখযোগ্য অবদান হলো -।
উত্তর : কম্পিউটার
৩১২। - ব্যবহার করে অতি ক্ষুদ্র জীবদের পর্যবেক্ষণ করা যায়।
উত্তর : অণুবীক্ষণ যন্ত্র
৩১৩। কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন ইত্যাদি হলো -।
উত্তর : আইসিটি
৩১৪। -মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ সহজ করেছে।
উত্তর : আইসিটি
৩১৫। মেমোরি কার্ড হলো একটি তথ্য - প্রযুক্তি।
উত্তর : সংরক্ষণের
৩১৬। তথ্য আদান-প্রদানের জন্য - লিখতে পারি।
উত্তর : চিঠি
৩১৭। সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে তথ্য - করা হয়।
উত্তর : অনুসন্ধান
৩১৮। খবরের কাগজ একটি - মাধ্যম।
উত্তর :তথ্য সংগ্রহের
৩১৯। - হলো নির্দিষ্ট স্থানের আকাশ ও বায়ুমন্ডলের সাময়িক অবস্থা।
উত্তর : আবহওয়া
৩২০। কোন স্থানের আবহাওয়া পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ধারাই -।
উত্তর : জলবায়ু
৩২১। - হলো বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ।
উত্তর : আর্দ্রতা
৩২২। অতি গরম আবহাওয়ার দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা্ হলো -।
উত্তর : তাপদাহ
৩৩৩। টর্নোডোর আকার সাধারণত - কি.মি. এর কম।
উত্তর : এক
৩৩৪। বায়ু - অঞ্চল থেকে - অঞ্চলে প্রবাহিত হয়।
উত্তর : উচ্চচাপ, নিম্নচাপ
৩৩৫। দিনে স্থলভাগ জলভাগ থেকে - থাকে।
উত্তর : উষ্ণ
৩৩৬। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়ে যাওয়াকে - বলে।
উত্তর : বৈশ্বিক উষ্ণায়ন
৩৩৭। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে - অঞ্চলের বরফ গলছে।
উত্তর : মেরু
৩৩৮। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা বায়ুমন্ডলের - হ্রাস করতে পারি।
উত্তর : কার্বন ডাইঅক্সাইড
৩৩৯। পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ন্যায় - কাজ করে।
উত্তর : গ্রিন হাউসের
৩৪০। গ্রিন হাউস হলো কাচের তৈরি ঘর যার ভেতরে - আটকে থাকে।
উত্তর : সূর্যের তাপ
৩৪১। সূর্যের আলো - সম্পদ নয়।
উত্তর : মানব সৃষ্ট
৩৪২। - ব্যবহার করে আমরা সূর্য থেকে বিদু্যৎশক্তি পাই।
উত্তর : সৌর প্যানেল
৩৪৩। - থেকে কাচ তৈরি হয়।
উত্তর : বালি
৩৪৪। শক্তি উৎপাদনের জন্য আমরা - সম্পদের উপর নির্ভরশীল।
উত্তর : প্রাকৃতিক
৩৪৫। - একটি নবায়নযোগ্য সম্পদ।
উত্তর : বায়ুপ্রবাহ
৩৪৬। - মানুষের মৌলিক চাহিদা।
উত্তর : খাদ্য
৩৪৭। জনসংখ্যার ঘনত্ব - হলে জীবাণু দ্রম্নত ছড়ায়।
উত্তর :বেশি
৩৪৮। রাসায়নিক সার এবং - অধিক খাদ্য উৎপাদনে সাহায্য করে।
উত্তর : কীটনাশক
৩৪৯। - বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে।
উত্তর : ৪০ বছরে
৩৫০। অধিক পুষ্টিসম্পন্ন ফসল উদ্ভাবন হয়েছে - ব্যবহার করে।
উত্তর :জৈবপ্রযুক্তি
প্রথম অধ্যায়
বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর
১। খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য হলো-
খাদ্যজাল :
ক। যে কোনো বাস্তুসংস্থানে বিদ্যমান একাধিক খাদ্যশৃঙ্খল একটি অন্যটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে খাদ্যজাল তৈরি করে।
খ। এটি বিভিন্ন খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে।
গ। খাদ্যজালে দুই বা ততোধিক খাদ্যশৃঙ্খল থাকে।
ঘ। খাদ্যজাল একটি বৃহৎ প্রক্রিয়া।
ঙ। একটি পরিবেশে একটি খাদ্যজাল থাকে।
খাদ্যশৃঙ্খল :
ক। বাস্তুসংস্থানে উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তিপ্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াকে বলে খাদ্যশৃঙ্খল।
খ। এটি জীব পরিবেশের উপাদানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে প্রকাশ করে।
গ। খাদ্যশৃঙ্খলে উৎপাদক হিসেবে সবুজ উদ্ভিদ ও খাদক হিসেবে দুই বা ততোধিক প্রাণী থাকে।
ঘ। খাদ্যশৃঙ্খল একটি ক্ষুদ্র প্রক্রিয়া।
ঙ। একটি পরিবেশে অনেক খাদ্যশৃঙ্খল থাকতে পারে।
২। উদ্ভিদ কীসের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?
উত্তর : উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও বীজের বিস্তরণের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির জন্য প্রাণীর ত্যাগ করা কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে। পুষ্টি উপাদানের জন্যও উদ্ভিদ প্রাণীর উপর নির্ভরশীল। প্রাণীর মৃতদেহ প্রাকৃতিক সারে পরিণত হয়। এই সার পুষ্টি হিসেবে ব্যবহার করে উদ্ভিদ বেড়ে ওঠে। পাখি, মৌমাছি ইত্যাদি প্রাণী উদ্ভিদের পরাগায়নে সাহায্য করে। আবার পাখি, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী উদ্ভিদের বীজের বিস্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩। মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড় বস্তুর উদাহরণ দাও।
উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য মানুষ বিভিন্ন জড় বস্তুর উপর নির্ভর করে। এই জড় উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- বায়ু, পানি ও খাদ্য। মানুষ শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে বায়ু থেকে অক্সিজেন নেয়। পান করার জন্য মানুষের পানি প্রয়োজন। আবার দৈহিক পুষ্টির জন্য মানুষ খাদ্যের উপর নির্ভরশীল।
৪। খাদ্যশৃঙ্খলে কীভাবে সাপ এবং ঈগল একই রকম তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : বাস্তুসংস্থানে উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তিপ্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াই হলো খাদ্যশৃঙ্খল। খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ ও ঈগল উভয়ই একই রকম তা ব্যাখ্যা করা হলো- খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ এবং ঈগল উভয়ই মাংসাশী প্রাণী বলে তারা একই রকম অর্থাৎ একই স্তরের খাদক।
বাস্তুতন্ত্রের দুটি জীব উপাদান হলো উৎপাদক ও খাদক। একমাত্র সবুজ উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে বলে তাদের উৎপাদক বলা হয়। প্রাণীরা খাদ্য উৎপাদন করতে পারে না বলে খাদক হিসেবে বিবেচিত। প্রথম স্তরের প্রাণীরা তৃণভোজী, যেমন- ঘাসফড়িং। দ্বিতীয় স্তরের প্রাণীরা মাংসাশী এবং প্রথম স্তরের খাদকদের খেয়ে বেঁচে থাকে। তৃতীয় স্তরের খাদকরা দ্বিতীয় স্তরের খাদকদের খেয়ে বেঁচে থাকে। খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ খায় ব্যাঙকে আবার ঈগল খায় সাপকে। কাজেই ঈগল ও সাপ উভয়ই মাংসাশী প্রাণী এবং এরা একই রকম।
৫। নিচের শব্দগুলো নিয়ে গঠিত খাদ্যশৃঙ্খলের সঠিক ক্রম ব্যাখ্যা করো।
ঈগল, সূর্য, ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ।
উত্তর : বাস্তুতন্ত্রের দুটি জীব উপাদান হলো উৎপাদক ও খাদক। সবুজ উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে বলে তাদের উৎপাদক বলা হয়। প্রাণীরা খাদ্য উৎপাদন করতে পারে না। এরা খাদক হিসেবে বিবেচিত। ঈগল, সূর্য, ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ শব্দগুলো নিয়ে গঠিত খাদ্যশৃঙ্খলটি হলো-
সূর্য-ঘাস-পোকামাকড়-ব্যাঙ-সাপ-ঈগল।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়