শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

জেলার নামকরণ

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
  ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
জেলার নামকরণ

রংপুর বিভাগ

৩. গাইবান্ধা জেলা : গাইবান্ধা নামকরণ সম্পর্কে কিংবদন্তি প্রচলিত আছে, প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মৎস্য দেশের রাজা বিরাটের রাজধানী ছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায়। বিরাট রাজার গো-ধনের কোনো তুলনা ছিল না। তার গাভীর সংখ্যা ছিল ষাট হাজার। মাঝেমধ্যে ডাকাতরা এসে বিরাট রাজার গাভী লুণ্ঠন করে নিয়ে যেত। সে জন্য বিরাট রাজা একটি বিশাল পতিত প্রান্তরে গো-শালা স্থাপন করেন। গো-শালাটি সুরক্ষিত এবং গাভীর খাদ্য ও পানির সংস্থান নিশ্চিত করতে। নদী তীরবর্তী ঘেসো জমিতে স্থাপন করা হয়। সেই নির্দিষ্ট স্থানে গাভীগুলোকে বেঁধে রাখা হতো। প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে এই গাভী বেঁধে রাখার স্থান থেকে এ অঞ্চলের কথ্য ভাষা অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে গাইবাঁধা এবং কালক্রমে তা গাইবান্ধা নামে পরিচিতি লাভ করে।

৪. কুড়িগ্রাম জেলা : কুড়িগ্রাম জনপদ বেশ প্রাচীন। কুড়িগ্রামের নামকরণের সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি। অনেকে মনে করেন গণনা সংখ্যা কুড়ি থেকে কুড়িগ্রাম হয়েছে। কারো মতে কুড়িটি কলু পরিবারের আদি বাসিন্দা ছিল। তাই এর নাম কুড়িগ্রাম। কেউ বা মনে করেন, রংগপুর রাজার অবকাশ যাপনের স্থান ছিল কুড়িগ্রাম। প্রচুর বন-জঙ্গল ও ফলমূলে পরিপূর্ণ ছিল এই এলাকা, তাই ফুলের কুড়ি থেকে এর নাম হয়েছে কুড়িগ্রাম।

১৮০৯ সালে ডা. বুকালন হ্যামিলটন তার বিবরণীতে বলেছেন- কঁৎরমধহল ড়ভ যিরপয :যব সধৎশবঃ ঢ়ষধপব রং পধষষবফ ইধষধনধৎর রহ ধ ঢ়ষধপব ড়ভ পড়হংরফবৎধনষব :ৎধফব (সধৎঃরহং ঊধংঃবৎহ ওহফরধ)। মি. ভাস তার রংপুরের বিবরণীতেও এ অঞ্চলকে কুড়িগঞ্জ বলে উলেস্নখ করেছেন। কিন্তু কুড়িগঞ্জ নামের উৎপত্তি সম্পর্কে কেউ কিছুই বলেননি। ১৯৮৪ সালের ২৩ জানুয়ারি 'কুড়িগ্রাম' মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়।

৫. লালমনিরহাট জেলা : লালমনিরহাট নামকরণ নিয়ে জনশ্রম্নতি আছে যে, ব্রিটিশ সরকারের আমলে বর্তমান লালমনিরহাট শহরের মধ্য দিয়ে রেলপথ বসানোর সময় উলিস্নখিত অঞ্চলের রেল শ্রমিকরা বন-জঙ্গল কাটতে গিয়ে জনৈক ব্যক্তি 'লালমনি' পেয়েছিলেন। সেই লালমনি থেকেই পর্যায়ক্রমে লালমনিরহাট নামের উৎপত্তি হয়েছে। অন্য এক সূত্র থেকে জানা যায়, বিপস্নবী কৃষক নেতা নুরুলদীনের ঘনিষ্ঠ সাথী লালমনি নামে এক ধনাঢ্য মহিলা ছিলেন। যার নামানুসারে লালমনিরহাট নামকরণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে