শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
  ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা

ষষ্ঠ অধ্যায়

জীবনে চলার পথে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমস্যা বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকি। এসব সমস্যা বা পরিস্থিতি কেউ সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে, আবার অনেকে ঘাবড়ে গিয়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে।

যেমন রেগে গিয়ে কোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলা, ভয় পেয়ে কোনো ভালো কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা, দুঃখ বা কষ্ট পেলে স্বাভাবিক জীবনযাপন না করে ভেঙে পড়া প্রভৃতি। এ সকল সমস্যা বা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজন হয় সুপার পাওয়ার/গুণের। যা প্রতিটি মানুষের মাঝেই লুক্কায়িত রয়েছে।

তাই শিক্ষার্থীরা যেন খুব সহজেই তাদের মাঝে লুক্কায়িত সুপার পাওয়ার/গুণ আবিষ্কার করতে পারে এবং বাস্তব জীবনে যেন এ সকল সমস্যা বা পরিস্থিতি খুব সহজেই মোকাবিলা করতে পারে সে লক্ষ্যে এ অধ্যায়ে সুপার পাওয়ার/গুণ সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

অভিজ্ঞতা-৩ মূল বই : পৃষ্ঠা ৯৬ ও ৯৭

তোমার মানসিক চাপ ও ভয়ের পরিস্থিতিগুলো লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ৯৬ ও ৯৭)

উত্তর : আমার মানসিক চাপ ও ভয়ের পরিস্থিতি এবং সেই মুহূর্তে কী করি তা লেখা হলো-

কোন কোন বিষয়ে বা পরিস্থিতিতে আমার মানসিক চাপ ও ভয় হয় :

-যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পূর্বে।

-পরীক্ষার পূর্বে।

-বুলিইং করে এমন কোন বন্ধু/সহপাঠীকে দেখলে।

-ঐড়সব ডড়ৎশ না করলে

-প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে।

-পড়া না পারলে।

-দেরি করে বাড়িতে ফিরলে

-কাঙ্খিক্ষত ফলাফল অর্জন সম্ভব না হলে।

যখন মানসিক চাপ ও ভয় হয় তখন আমি কী করি

- নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করি।

-প্রিয়জনের সাথে মানসিক চাপ বা ভয় পাওয়ার বিষয়টি শেয়ার করি।

-কাজটি করার পূর্বে বারবার অনুশীলন করি।

-নিজেকে উৎসাহিত করি।

-নিজের সাহস বৃদ্ধি করার চেষ্টা করি।

অভিজ্ঞতা-৪ মূল বই : পৃষ্ঠা ৯৮

তোমার বন্ধু ও কাছের মানুষের কাছ থেকে মানসিক চাপ ও ভয় সম্পর্কে জ্ঞান এবং সেই অভিজ্ঞতাগুলো নিচে লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ৯৮)

উত্তর : আমার কয়েকজন বন্ধু, ভাইয়া এবং আপুর কাছ থেকে মানসিক চাপ ও ভয় সম্পর্কে জানলাম, তাদের অনুভূতিগুলো নিচে দেওয়া হলো-

তারা কখন মানসিক চাপ অনুভব করে?

-বাড়িতে নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে।

-যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পূর্বে।

-অতিরিক্ত কাজের চাপ হলে।

-প্রিয়জন কোনো দুর্ঘটনায় পড়লে।

-বুলিইং করে এমন কাউকে দেখলে।

মানসিক চাপ হলে তারা কী করে?

-নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করে।

-পুষ্টিকর খাবার খায় ও পরিমিত ঘুম দেয়।

-নিজেকে উৎসাহিত করে।

-মানসিক চাপের বিষয়টি কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করে।

তারা কখন ভয় অনুভব করে?

-অন্ধকারে ভয় অনুভব করে।

-ভূতুড়ে কোনো কিছু দেখলে বা শুনলে।

-অপরিচিত মানুষ দেখলে।

-হিংস্র প্রাণী দেখলে।

-উঁচু স্থানে উঠলে।

ভয় হলে তারা কী করে?

-মনে মনে সাহস যোগায়।

-ভয়ের বিষয়টি কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করে।

-বেশি মানুষের মধ্যে থাকার চেষ্টা করে।

-ভয় পাওয়ার কারণ ভুলে যেতে চায়।

অভিজ্ঞতা-৫ মূল বই : পৃষ্ঠা ৯৯

কেউ রেগে আছে তা তুমি কীভাবে বুঝ? এবং তখন তুমি কী কর তা লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ৯৯)

উত্তর :

কেউ রেগে আছে তা আমি কীভাবে বুঝি

-চোখ বড় বড় করে তাকায়।

-চেহারা শক্ত হয়ে যায়।

-আঙুল তুলে কথা বলে

-বারবার হাত ছোড়াছুড়ি করে।

-চোখ লাল হয়ে যায়

হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলে।

-কপাল কুচকে ফেলে।

-কান লাল হয়ে যায়।

-গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যায়।

-চিৎকার করে।

তখন আমি কী করি

-শান্ত থাকার চেষ্টা করি।

-তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি।

-তাকে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বলি।

-নিজের বা অন্যের ক্ষতি যেন না করতে পারে সেদিকে নজর রাখি।

-যদি আমার ভুল হয় তাহলে তার কাছে ক্ষমা চাই।

অভিজ্ঞতা-৬ মূল বই : পৃষ্ঠা ১০০

তোমার জীবনের রাগের একটি ঘটনা বা পরিস্থিতি মনে কর। এসব পরিস্থিতিতে রাগ হলে যে আচরণ কর এবং ওই বিষয়ে রাগ করে তোমার সমস্যার সমাধান হয়েছে কি-না তা লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ১০০)

উত্তর : আমার জীবনের রাগের একটি ঘটনা এবং ওই ঘটনাতে আমার আচরণ নিচে উপস্থাপন করা হলো :

রাগের ঘটনা বা পরিস্থিতি

বাবার সাথে মেলায় ঘুরতে গিয়ে একটি ভিডিও গেমস অনেক পছন্দ হয়। বাবার কাছে ওই ভিডিও গেমসটি কিনে দেওয়ার কথা বললেও বাবা কিনে দেয়নি। তখন আমার খুবই রাগ হয়েছিল।

কীভাবে রাগ প্রকাশ করি

-চুপচাপ হয়ে যাই।

-কপাল কুচকে ফেলি।

-কান লাল হয়ে ওঠে।

-চোয়াল শক্ত হয়ে যায়।

-গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যায়।

-কান্না করি।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে