সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
তৃতীয় অধ্যায় অভিজ্ঞতা-৩ (মূল বই : পৃষ্ঠা ৪৬) ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগ প্রতিরোধে এবার আমাদের নিজেদের পরিকল্পনার সময়। ঋতু পরিবর্তনজনিত সাধারণ রোগব্যাধির প্রতিরোধে তুমি নিয়মিত কী কী কাজ করবে তার একটি তালিকা তৈরি কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ৪৬) উত্তর : ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগ প্রতিরোধে এখন আমাদের নিজেদের পরিকল্পনার সময়। ঋতু পরিবর্তনজনিত সাধারণ রোগব্যাধির প্রতিরোধে আমি নিয়মিত কী কী কাজ করব তার একটি তালিকা তৈরি করা হলো- ১. সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকব। ২. সর্বদা বিশুদ্ধ পানি ও খাবার খাব। ৩. শাক-সবজি ও পুষ্টিকর খাবার খাব। ৪. সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরত্ব বজায় রাখব। ৫. খোলা ও বাসি খাবার খাব না। ৬. খাওয়ার আগে ও পরে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিব। ৭. বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখব। বৃষ্টির পানি যেন জমে থাকতে না পারে। ৮. পুষ্টিকর খাবার যেমন- মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, বিভিন্ন প্রকার ফল খাব। অভিজ্ঞতা-৪ (মূল বই : পৃষ্ঠা ৪৭) 'রোগ প্রতিরোধে আমার চর্চা' কাজগুলো করার জন্য তোমার পরিবার বা প্রতিবেশীদের মধ্যে থেকে এমন দুজনকে চিহ্নিত কর, যাদের তুমি উদ্বুদ্ধ করবে। সারা বছর এই কাজগুলো তুমি করবে এবং ওই দুজনকে করার জন্য উৎসাহ দেবে। বছর শেষে তোমার অভিজ্ঞতা নিচে লিখবে। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ৪৭) উত্তর : 'রোগ প্রতিরোধে আমার চর্চা' কাজগুলো করার জন্য আমার পরিবার বা প্রতিবেশীদের মধ্যে থেকে এমন দুজনকে চিহ্নিত করি, যাদের আমি উদ্বুদ্ধ করব। সারা বছর এই কাজগুলো আমি করব এবং ওই দুজনকে করার জন্য উৎসাহ দেব। বছর শেষে আমার অভিজ্ঞতা নিচে লিখব- আমার নিজের চর্চার অভিজ্ঞতা পরিবারের দুজনকে উদ্বুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা আমি বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধমূলক কাজ হাতে নিয়েছি। সবসময় আমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি। পর্যাপ্ত সবজি এবং পুষ্টিকর খাবার খাই। বিশুদ্ধ পানি পান করি। খাওয়ার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুই। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন শরীরচর্চা/খেলাধুলা করি। এতে আমি মনস্তাত্ত্বিকভাবে নিরাপদ বোধ করি। পরিবারের দুজনকে উদ্বুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা আমার পরিবারে আমার দুই ভাইকে রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন কার্যক্রমে আমি সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। তাই তারাও এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে। প্রতিদিন তারা বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করার কাজে সাহায্য করে। তারা টয়লেটে গেলে হাত সাবান দিয়ে ধুয়। পুষ্টিকার খাবার খায়। শরীর ভালো রাখার জন্য নিয়মিত খেলাধুলা/শরীরচর্চা করে। আমি তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, এসব কাজ করলে তোমরা বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। তারা দুজনে এখন নিয়মিতই এসব বিষয়ে সতর্ক থাকে। পঞ্চম অধ্যায় একটি সুস্থ ও সবল জাতি গড়ে তোলার মূল কারিগর হলো বর্তমান প্রজন্ম। বর্তমান শিশুকে ভবিষ্যতে দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তার অনুভূতি, চিন্তা ও আচরণ বুঝে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নিজের এবং অন্যের ভালো থাকার জন্য নিজের ইতিবাচক চিন্তা ও আচরণের উন্নয়ন করতে হবে এবং নিজের প্রতি যত্নবান হয়ে অন্যের প্রতি সহমর্মী আচরণ করতে হবে। তাই শিক্ষার্থীদের অনুভূতি চিন্তা ও সহমর্মী আচরণ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যেই অধ্যায়টি সাজানো হয়েছে। এই অধ্যায় পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এসব বিষয় জেনে তারা মন ও মননে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। অভিজ্ঞতা-১ মূল বই : পৃষ্ঠা ৭০ ম্যানেজার হওয়ার শুরুতেই আমরা নিচের দলগত খেলাটি খেলব। দলের একজনের চোখ বাঁধা থাকবে। বাকি সদস্যরা তাকে দূরে রাখা একটি উপহার খুঁজে পেতে নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করবে। চোখ বাঁধা বন্ধুকে দলের অন্যরা প্রত্যেকটি দল থেকে সমান দূরত্বে রাখা উপহারটি সংগ্রহ করবে। দলের সদস্যরা নির্দিষ্ট স্থান থেকে নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করতে পারবে, তবে কাছে যেতে পারবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলাটি খেলতে গিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের যে অনুভূতিগুলো হয়েছিল তা মনে করি এবং প্রতিটি অনুভূতির সাথে সাথে কী চিন্তা হচ্ছিল ও তখন কী করতে ইচ্ছে হচ্ছিল তা ছকে লিখি। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ৭০) উত্তর : খেলাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলতে গিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আমার যে অনুভূতিগুলো হয়েছিল, যে চিন্তা হয়েছিল এবং যা করতে ইচ্ছে হচ্ছিল তা ছকে দেওয়া হলো- অনুভূতি -চোখ বেঁধে দেওয়ার সময় আমার ভয় হচ্ছিল। -বন্ধুর নির্দেশনা শুনে হ্রাৎস্পন্দন বেড়ে গিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল। -শোরগোলের কারণে বন্ধুদের নির্দেশনা শুনতে পাচ্ছিলাম না তাই বিরক্তিকর লাগছিল। \হ-ধাক্কা লেগে অন্য আরেকজন চোখ বাধা বন্ধু পড়ে যাওয়ায় কষ্ট লেগেছিল। -উপহারটির কাছাকাছি চলে যাওয়ায় আনন্দ লাগছিল। চিন্তা -আমি খেলাটিতে জিততে পারব কিনা? -আমি ভুল দিকে যাচ্ছি কি-না? -খেলাতে জিততে না পারলে সবাই হাসাহাসি করবে। -যে ব্যথা পেয়েছে কি-না? -অন্য কেউ যদি আমার আগে গন্তব্যস্থানে পৌঁছে যায়? -তখন কী করতে ইচ্ছা হচ্ছিল -তখন চোখের বাঁধনটি খুলে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছিল। -সঠিক দিকে ভালোভাবে দ্রম্নত যেতে ইচ্ছা হচ্ছিল। -মনোযোগ দিয়ে বন্ধুদের নির্দেশনা শুনতে ইচ্ছে হচ্ছিল। -তাকে মাটি থেকে উঠিয়ে ব্যথাযুক্ত স্থানে মালিশ করে দেই। -দ্রম্নত উপহারটি ধরা এবং বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করা। অভিজ্ঞতা-২ মূল বই : পৃষ্ঠা ৭২ তোমার বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ের একটি ঘটনা শেয়ার কর এবং নিচের ছকটি পূরণ কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ৭২) উত্তর : বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ের একটি ঘটনা নিচে ছকের মাধ্যমে শেয়ার করা হলো- আমার অনুভূতি প্রকাশ : হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়