ঢাকা বিভাগ

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
৮. মুন্সীগঞ্জ জেলা : মুন্সীগঞ্জের প্রাচীন নাম ছিল ইদ্রাকপুর। মোঘল শাসনামলে এ ইদ্রাকপুর গ্রামে মুন্সী হায়দার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোঘল শাসক দ্বারা ফৌজদার নিযুক্ত ছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন ও জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের নামে ইদ্রাকপুরের নাম হয় মুন্সীগঞ্জ। কারো কারো মতে জমিদার এনায়েত আলী মুন্সীর নামানুসারে মুন্সীগঞ্জে নামকরণ করা হয়। ৯. নারায়ণগঞ্জ জেলা : ১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকন লাল পান্ডে (বেণু ঠাকুর বা লক্ষ্ণীনারায়ণ ঠাকুর) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করে। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি উইলের মাধ্যমে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ। ১০. নরসিংদী জেলা : কথিত আছে, প্রাচীনকালে এ অঞ্চলটি নরসিংহ নামক একজন রাজার শাসনাধীন ছিল। আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে রাজা নরসিংহ প্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে নরসিংহপুর নামে একটি ছোট নগর স্থাপন করেছিলেন তারই নামানুসারে নরসিংদী নামটি আবির্ভূত হয়। নরসিংহ নামের সঙ্গে 'দী' যুক্ত হয়ে নরসিংদী হয়েছে। নরসিংহদী শব্দের পরিবর্তিত রূপই 'নরসিংদী'। ১১. রাজবাড়ী জেলা : রাজা সূর্য্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ করা হয়। রাজা সূর্য্য কুমারের পিতামহ প্রভুরাম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রাজকর্মী থাকাকালে কোনো কারণে ইংরেজদের বিরাগভাজন হলে পলাশীর যুদ্ধের পর লক্ষ্ণীকোলে এসে আত্মগোপন করেন। পরে তার পুত্র দ্বিগেন্দ্রপ্রসাদ এ অঞ্চলে জমিদারী গড়ে তোলেন। তারই পুত্র রাজা সূর্য্য কুমার ১৮৮৫ সালে জনহিতকর কাজের জন্য রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। ১৯৮৪ সালে ১ মার্চ এটিকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১২. শরীয়তপুর জেলা : ব্রিটিশবিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাজী শরীয়ত উলস্নাহর নামানুসারে শরীয়তপুরের নামকরণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে ১ মার্চ শরীয়তপুর জেলা শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী নাজিম উদ্দিন হাসিম।