ওয়াশিংটন ঘোষণা : ১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল, সোভিয়েত এবং চীনের প্রতিনিধিসহ ওয়াশিংটনে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং ওই বৈঠককেই 'জাতিসংঘ ঘোষণা' হিসেবে অভিহিত করা হয়।
মক্কো সম্মেলন : ১৯-৩০ অক্টোবর, ১৯৪৩ সাল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য ৭ দফা ঘোষণা করেন।
তেহরান সম্মেলন : নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯৪৩ সাল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল এবং সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট স্ট্যালিন ১ ডিসেম্বর, ১৯৪৩ সালে তেহরান আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে তোলার জন্য বিশ্বের সব দেশকে সদস্য হওয়ার আহ্বান করেন।
ডাম্বারটন ওকস সম্মেলন :
২১ আগস্ট-২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪। ওয়াশিংটনের ডাম্বারটন ওকস ভবনে জাতিসংঘের রূপরেখা, নিরাপত্তা পরিষদ গঠন ও স্থায়ী সদস্য নির্বাচন এবং সংগঠনের (জাতিসংঘ) নামকরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন সম্মেলন মিলিত হয়।
ইয়াল্টা সম্মেলন :
ফেব্রম্নয়ারি ১৯৪৫ সাল। ইউক্রেনের ইয়াল্টায় ডাম্বারটন সম্মেলনের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত। ৫টি স্থায়ী সদস্যের ঠবঃড় প্রদান ক্ষমতা দেওয়ার জন্য পুনরায় মিলিত হয়।
সানফ্রাসিসকো সম্মেলন :
২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন ১৯৪৫। ২৬ জুন ১৯৪৫ সালে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা ১১১ ধারা সংবলিত জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করেন। ১৯৪৫ সালের ১৫ অক্টোবর ৫১তম দেশ হিসেবে পোলান্ড জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করে। ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর এ সনদ কার্যকর হয়।
আটলান্টিক সনদ : ১৪ আগস্ট ১৯৪১ সাল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল আটলান্টিক মহাসাগরে 'ব্রিটিশ নৌ-তরী প্রিন্সেস অব ওয়েলসে মিলিত হয়ে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যে ঘোষণা দেন তাকে 'আটলান্টিক সনদ' বলে।