সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
২য় অধ্যায় উত্তর : আমাদের পুষ্টিতথ্য সংগ্রহ করা শেষে শ্রেণিকক্ষে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এবার ওজন এবং উচ্চতা বৃদ্ধির চার্ট ব্যবহার করে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী নিচের ছকগুলোতে শিশু-কিশোরদের ওজন ও উচ্চতার অবস্থাটি তুলে ধরা হলো- শিশু-কিশোরদের ওৎন-সংক্রান্ত তথ্য মোট কতজন শিশু-কিশোরের তথ্য নিয়েছি- ৪০ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম ওজনের শিশু-কিশোর কতজন পেয়েছি- ৯ স্বাভাবিক মাত্রার ওজনসম্পন্ন শিশু-কিশোর কতজন পেয়েছি- ২৪ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি ওজনের শিশু-কিশোর কতজন পেয়েছি- ৭ শিশু-কিশোরদের উচ্চতা-সংক্রান্ত তথ্য মোট কতজন শিশু-কিশোরের তথ্য নিয়েছি - ৪০ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম উচ্চতার শিশু-কিশোর কতজন পেয়েছি- ১০ স্বাভাবিক মাত্রার উচ্চতাসম্পন্ন শিশু-কিশোর কতজন পেয়েছি- ২৫ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি উচ্চতার শিশু-কিশোর কতজন পেয়েছি- ৫ অভিজ্ঞতা-৮ (মূল বই: পৃষ্ঠা ১৪) তোমরা সবাই মিলে পুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন উপায় চিহ্নিত করেছ। এবার তোমরা পুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্স্নোগান তৈরি করবে। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ১৪) উত্তর : আমরা সবাই মিলে পুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন উপায় চিহ্নিত করেছি। এবার আমরা পুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্স্নোগান তৈরি করছি- পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের স্স্নোগান ১. অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার ও জাঙ্কফুড পরিহার করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি। ২. সুষম খাবার খাই, পালিয়ে যাবে রোগবালাই। ৩. কোমল পানীয় বর্জন করি, সুস্থ-সবল জীবন গড়ি। ৪. বিশুদ্ধ পানি পান করি, নিরাপদ জীবন গড়ি। ৫. যদি সুস্থ থাকতে চান, আয়োডিনযুক্ত লবণ খান। ৬. কাজে যদি শক্তি চান, পরিমিত শর্করা খান। ৭. নিয়মিত মাছ মাংস দুধ খান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান। ৮. শাক-সবজি ও ফলমূল খান, আনন্দে দিন কাটান। তৃতীয় অধ্যায় মানুষের জন্ম থেকে মৃতু্য পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষণেই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই প্রতিকূলতার অন্যতম উপাদান হলো রোগবালাই। রোগবালাই যেন মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের আক্রমণে মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের জন্য এ দেশে এ ধরনের রোগ হয়ে থাকে। তবে একেক ঋতুতে একেক ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। যেমন- শীতকালে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট; গ্রীষ্মকালে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হিটস্ট্রোক এবং বর্ষাকালে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও ছত্রাকজনিত রোগ। এসব রোগ থেকে বাঁচার জন্য আমাদের রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার এই দুই ধরনের পদ্ধতিই ভালোভাবে জানতে হবে। তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। এজন্য সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং পরিবেশ পরিষ্কার রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কীভাবে আরও ভালো করা যায় তা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। যেকোনো রোগের নির্দিষ্ট কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা আছে যা সবারই জানা উচিত। যেমন- ডায়রিয়া হলে তরল খাবার বেশি দিতে হবে, জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে। তবে অসুস্থ বেশি হলে তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। এসব তথ্য আমাদের সবাইকেই জানতে হবে। রোগ বালাই থাকবেই কিন্তু রোগ থেকে মুক্ত হতে আমাদের সকলকেই এর প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে এবং এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কও থাকতে হবে। অভিজ্ঞতা-১ (মূল বই : পৃষ্ঠা ৪০) ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগব্যাধির তালিকা নিয়ে পরিবারে বাবা-মা ও অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীদের সাথে কথা বল। এই ধরনের রোগের লক্ষণগুলো কী সে ব্যাপারে তাদের মতামত নাও। এই রোগব্যাধি থেকে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য তারা কী কী কাজ করে থাকে তা জানতে চাও এবং তা উলেস্নখ কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ৪০) উত্তর : ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগব্যাধির তালিকা নিয়ে পরিবারে বাবা-মা ও অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলি। এ ধরনের রোগের রক্ষণগুলো কী সে ব্যাপারে তাদের মতামত নিই। এই রোগব্যাধি থেকে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য তারা কী কী কাজ করে থাকে তা জানতে চাই - রোগ মোকাবিলায় খুঁজে পাই সুস্থ থাকার উপায় সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট : এ সময় সর্দি-কাশির পাশপাশি হালকা জ্বর, গলা ব্যথা দেখা যায়। প্রতিকার : অধিকাংশ সময় এমনিতেই সর্দি-কাশি ভালো হয়ে যায়। তবে কুসুম গরম পানি পান করলে আরাম বোধ হতে পারে। সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ খুব বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। প্রতিরোধ : এসময় প্রচুর পানি পান করলে, ধুলাবালু থেকে দূরে থাকলে, গরম কাপড়-চোপড় পরে শরীরকে গরম রাখলে রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। ডায়রিয়া : ডায়রিয়ার অন্যতম লক্ষণ হলো পাতলা পায়খানা। এর সাথে কখনো কখনো বমিও হতে পারে। এছাড়া এর সাথে পেটে ব্যথা এবং জ্বরও থাকতে পারে। প্রতিকার : ডায়রিয়া হলে অবশ্যই খাবার স্যালাইন খেতে হবে। সাধারণত এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন আধা লিটার বা দুই গস্নাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার পায়খানার পর একগস্নাস করে খেতে হবে। পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়