সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা
প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
২য় অধ্যায়
সুস্থ-সবল জীবন সবারই কাম্য। আর এজন্য প্রয়োজন শরীর ও মনের যত্নের পাশাপাশি রোগবালাই ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা। আমাদের সুস্থতার সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য নিরাপদ ও সুষম খাবার খেতে হয়।
কেননা, নিরাপদ ও সুষম খাবার শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে, শরীরকে কর্মক্ষম রাখে এবং রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে আমরা সুস্থতার সঙ্গে দৈনন্দিন কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারি।
একজন সচেতন ব্যক্তি নিজে সুস্থ থাকার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও জাতিকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ফলে গড়ে উঠবে সুস্থ পরিবার, সমাজ তথা জাতি।
আর এই নিরাপদ ও সুষম খাবার তথা পুষ্টিকর খাবার নিজে গ্রহণের পাশাপাশি অন্যদেরও গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। তবেই আমরা সুস্থ-সবল জীবন পাব এবং আনন্দে ও নিরাপদে থাকব।
(মূল বই: পৃষ্ঠা ২ ও ৩)
নিজেদের রোগবালাই থেকে মুক্ত রাখার জন্য তোমরা যে কাজগুলো করে থাক নিচের ছকে একটি তালিকা তৈরি কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ২ ও ৩)
উত্তর : নিজেদের রোগবালাই থেকে মুক্ত রাখার জন্য আমরা যে কাজগুলো করে থাকি নিচের ছকে তার একটি তালিকা তৈরি করলাম :
রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে আমরা নিচে উলেস্নখিত কাজগুলো করব :
১. নিয়মিত সুষম খাবার খাই।
২. নিয়মিত শরীরচর্চা/খেলাধুলা করি।
৩. মন ভালো থাকার জন্য সুস্থ, বিনোদন করি।
৪. শখের কাজ কিংবা ভ্রমণের মাধ্যমেও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেই।
৫. আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখি।
৬. রোগ প্রতিরোধে আবশ্যকীয় টিকা নেই।
৭. মাদক কিংবা নেশাজাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকি।
৮. রক্তের প্রয়োজন হলে নিরাপদ কিনা, তা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হই।
৯. সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য সচেতনতামূলক নিয়মনীতি মেনে চলি।
১০. খাবার পূর্বে ও মলত্যাগ করার পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধৌত করি।
১১. পচা, বাসি খাবার না খাই।
১২. বিশুদ্ধ পানি পান করি এবং সব ধরনের কোমল পানীয় বর্জন করি।
১৩. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করি।
১৪. নিয়মিত ও পরিমিত বিশ্রাম নেই এবং ঘুমাই।
১৫. কোনো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না।
(মূল বই: পৃষ্ঠা ৫)
তোমাদের চারপাশে অপুষ্টি ও অতিপুষ্টিসম্পন্ন বিভিন্ন মানুষ দেখে থাক। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির লক্ষণগুলো লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ৫)
উত্তর : আমাদের চারপাশে অপুষ্টি ও অতিপুষ্টিসম্পন্ন বিভিন্ন মানুষ দেখে থাকি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নিচের ছকে অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির লক্ষণগুলো লিখলাম :
অপুষ্টি :
-দেহের ওজন কাম্যমাত্রার চেয়ে কম থাকে।
-শরীরে ভিটামিন ঘাটতি, রক্তশূন্যতা এবং হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
-কর্মক্ষমতা কম থাকে।
-মানসিক ক্লান্তি তৈরি হয়।
-অলস প্রকৃতির হয়।
-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
-খিটখিটে মেজাজের হয়।
-খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন
অতিপুষ্টি :
-দেহের ওজন স্বাভাবিক বা কাম্যমাত্রার চেয়ে বেশি থাকে।
-খাবারে রুচি বা আগ্রহ বেশি।
-ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যানসার ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
-কাজ করার ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
-স্মরণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-অলস ভাব দেখা দেয়।
-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
(মূল বই: পৃষ্ঠা ৫ ও ৬)
তোমরা জান খাদ্য সঠিকভাবে গ্রহণ না করলে অনেক রোগব্যাধি হতে পারে। খাদ্যের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, খাদ্য ভালোভাবে রান্না না করা, অথবা সুষম খাদ্যের অভাবে তোমাদের বিভিন্ন রোগব্যাধি হতে পারে। এবার দলে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে নিচের ছকে অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণগুলোর একটি সাধারণ তালিকা তৈরি কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ৫ ও ৬)
উত্তর : আমরা জানি, খাদ্য সঠিকভাবে গ্রহণ না করলে অনেক রোগব্যাধি হতে পারে। খাদ্যের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, খাদ্য ভালোভাবে রান্না না করা অথবা সুষম খাদ্যের অভাবে আমাদের বিভিন্ন রোগব্যাধি হতে পারে। এবার দলে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে নিচের ছকে অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণগুলোর একটি সাধারণ তালিকা তৈরি করা হলো-
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়