অভিজ্ঞতা-২ (মূল বই : পৃষ্ঠা ২৮ ও ২৯)
তোমরা খেলতে কিংবা শরীরচর্চা করতে গিয়ে যে আঘাত পেয়েছ বা দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তখন কী করেছিলে তা নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা কর এবং নিচের ছকটি পূরণ কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ২৮ ও ২৯)
উত্তর : আমরা খেলতে কিংবা শরীরর্চ্চা করতে গিয়ে নিজেরা যে আঘাত পেয়েছি বা দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তখন কী করেছিলাম তা নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে নিচের ছকটি পূরণ করা হলো-
হাত কেটে যাওয়া : ক্ষতস্থান ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে যাতে সেখানে কোনো ধুলাবালু বা অন্যকোনো ময়লা না থাকে। রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ক্ষতস্থান চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে কোনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান বেঁধে দিতে হবে।
পা মচকানো : প্রথমেই মচকে যাওয়া অংশ যেন নড়াচড়া না করা হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ক্রেপ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথা কমানোর জন্য বরফ বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
পায়ের পেশিতে টান লাগা : এই পরিস্থিতিতে টান খাওয়া পেশিকে প্রসারণ করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যথা কমানোর জন্য গরম সেঁক অথবা বরফ লাগানো যেতে পারে।
হাত পুড়ে যাওয়া : শরীরের পুড়ে যাওয়া অংশে প্রথমেই কমপক্ষে দশ মিনিট ধরে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। কোনো জায়গায় ফোস্কা দেখা দিলে তা গলানো যাবে না। এরপর পুড়ে যাওয়া অংশ পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে নিয়ে যেতে হবে।
নাকে আঘাত পাওয়ায় রক্ত পড়া : আঘাতজনিত বা অন্যকোনো কারণে কারো নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে সাথে সাথে তাকে চিৎ করে শোয়াতে হবে কিংবা বসিয়ে মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে রাখতে হবে। নাকের সামনে ও ঘাড়ের পিছনে ঠান্ডা পানির ঝাপটা বা বরফ দিতে হবে। রক্ত পড়া বন্ধ হওয়ার পরও কিছুক্ষণ নাকের ছিদ্রপথে তুলা দিয়ে রাখতে হবে।
অভিজ্ঞতা-৩ (মূল বই : পৃষ্ঠা ৩৩ ও ৩৪)
ইনডোর ও আউটডোর খেলার সমন্বয়ে তোমার জন্য খেলাধুলার একটি পরিকল্পনা তৈরি কর। এই খেলাগুলো খেলার সময় আঘাত ও দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কী কী পদক্ষেপ নিবে সেটিও ভাব। খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও শ্বাসের ব্যায়ামের তালিকা এবং এ সংক্রান্ত আঘাত ও দুর্ঘটনা থেকে তোমাকে রক্ষা করার পদক্ষেপগুলো নিচের ছক দুটিতে লেখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ৩৩ ও ৩৪)
উত্তর : ইনডোর ও আউটডোর খেলার সমন্বয়ে নিজের জন্য খেলাধুলার একটি পরিকল্পনা তৈরি করি। এই খেলাগুলো খেলার সময় আঘাত ও দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কী কী পদক্ষেপ নিব সেটিও ভাবি। খেলাধুলা, শরীরর্চ্চা ও শ্বাসের ব্যায়ামের তালিকা এবং এ সংক্রান্ত আঘাত ও দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করার পদক্ষেপগুলো নিচে লেখা হলো-
এই সময় আঘাত ও দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কী কী পদক্ষেপ নেব :
-সব ধরনের খেলাধুলা ও শরীরর্চ্চার নিজস্ব নিয়ম আছে।--সবার সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে নিরাপদে ও সঠিকভাবে খেলা ও শরীরর্চ্চার জন্য নিয়ম মানা খুব জরুরি। যেমন-
যেকোনো খেলাধুলা শুরুতে শরীরকে খেলার উপযোগী করার জন্য শরীরর্চ্চা করে নিব।
-খেলা শুরু করার আগে মাঠে কোনো শক্ত ইট, পাথর কিংবা কাচজাতীয় বস্তু আছে কি না দেখে নেব।
-খালি পায়ে খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
-ভিন্ন ভিন্ন খেলার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সেফটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন ক্রিকেট খেলায় ব্যাটিং করার সময় অবশ্যই
হাতে গস্নাস, পায়ে প্যাড এবং মাথায় হেলম্যাট ব্যবহার করতে হবে।
-প্রতিপক্ষের অবৈধ আক্রমণাত্মক পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে দূরত্ব বজায় রেখে খেলা।
-যতটুকু পারা যায় সর্বত্র সাবধানতা অবলম্বন করা।
-মাঠের কাছেই নিজেদের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি রাখা।