সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা
প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
প্রথম অধ্যায়
প্রতিটি মানুষের জন্যই প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। কিন্তু এ সুস্থতা এমনিতেই আসে না। এর জন্য প্রয়োজন হয় কিছু স্বাস্থ্য সুরক্ষার কৌশল আয়ত্ত করা। খেলাধুলা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর মধ্যে রয়েছে কিছু ইনডোর খেলা ও কিছু আউটডোর খেলা।
খেলাধুলা এমনই এক ব্যায়াম যা একই সাথে শরীর ও মনের বিকাশ ঘটায়। অর্থাৎ বুদ্ধির চর্চা ও শরীর চর্চা দুটোই খেলাধুলার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তবে যেসব খেলায় শরীরের উপর প্রভাব পড়ে সেসব খেলার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যাতে কোনো প্রকার আঘাত বা চোট পাওয়া থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
এছাড়া খেলাধুলা বা দুর্ঘটনাজনিত যেকোনো আঘাত পেলে কীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া যায় সেসব কৌশলও জেনে রাখা ভালো। এসব কৌশল জানা থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া সহজ হয়। আর এভাবেই আমরা খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে পারি।
অভিজ্ঞতা-১
ইনডোর এবং আউটডোর খেলা থেকে যেগুলো তুমি খেলো সেগুলো নিচের ছকে লিখ। এই খেলাগুলো তোমার জীবনে কী কী প্রভাব ফেলে তা খুঁজে বের কর।
(স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ১৯ ও ২০)
উত্তর : ইনডোর এবং আউটডোর খেলা থেকে যেগুলো আমি খেলি এবং সে খেলাগুলো আমার জীবনে কী কী প্রভাব ফেলে তা খুঁজে বের করে নিচে লিখা হলো-
আমার খেলা
খেলার নাম- ধরন (ইনডোর/আউটডোর)-কোথায় (শরীরে/মনে) প্রভাব ফেলে- কীভাবে প্রভাব ফেলে
দাবা- ইনডোর - মনের ওপর প্রভাব ফেলে- বুদ্ধির বিকাশ ঘটে
ক্যারাম- ইনডোর- মনের ওপর প্রভাব ফেলে - বুদ্ধির বিকাশ ঘটে
ফুটবল -আউটডোর - শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে -শারীরিক ব্যায়াম হয়
ক্রিকেট -আউটডোর -শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে -শারীরিক ব্যায়াম হয়
লুডু - ইনডোর - মনের ওপর প্রভাব ফেলে -বুদ্ধির বিকাশ ঘটে
বউচি -আউটডোর -শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে-শারীরিক ব্যায়াম হয়
গোলস্নাছুট -আউটডোর - শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে -শারীরিক ব্যায়াম হয়
দাঁড়িয়াবান্ধা - আউটডোর -শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে-শারীরিক ব্যায়াম হয়
সাত চক্কর-আউটডোর - শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে- শারীরিক ব্যায়াম হয়
ভলিবল- আউটডোর - শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে - শারীরিক ব্যায়াম হয়
ব্যাডমিন্টন - ইনডোর - শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে - শারীরিক ব্যায়াম হয়
অভিজ্ঞতা-২ (মূল বই : পৃষ্ঠা ২৮ ও ২৯)
তোমরা খেলতে কিংবা শরীরচর্চা করতে গিয়ে যে আঘাত পেয়েছ বা দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তখন কী করেছিলে তা নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা কর এবং নিচের ছকটি পূরণ কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই : পৃষ্ঠা ২৮ ও ২৯)
উত্তর : আমরা খেলতে কিংবা শরীরর্চ্চা করতে গিয়ে নিজেরা যে আঘাত পেয়েছি বা দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তখন কী করেছিলাম তা নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে নিচের ছকটি পূরণ করা হলো-
হাত কেটে যাওয়া : ক্ষতস্থান ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে যাতে সেখানে কোনো ধুলাবালু বা অন্যকোনো ময়লা না থাকে। রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ক্ষতস্থান চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে কোনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান বেঁধে দিতে হবে।
পা মচকানো : প্রথমেই মচকে যাওয়া অংশ যেন নড়াচড়া না করা হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ক্রেপ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথা কমানোর জন্য বরফ বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
পায়ের পেশিতে টান লাগা : এই পরিস্থিতিতে টান খাওয়া পেশিকে প্রসারণ করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যথা কমানোর জন্য গরম সেঁক অথবা বরফ লাগানো যেতে পারে।
হাত পুড়ে যাওয়া : শরীরের পুড়ে যাওয়া অংশে প্রথমেই কমপক্ষে দশ মিনিট ধরে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। কোনো জায়গায় ফোস্কা দেখা দিলে তা গলানো যাবে না। এরপর পুড়ে যাওয়া অংশ পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে নিয়ে যেতে হবে।
নাকে আঘাত পাওয়ায় রক্ত পড়া : আঘাতজনিত বা অন্যকোনো কারণে কারো নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে সাথে সাথে তাকে চিৎ করে শোয়াতে হবে কিংবা বসিয়ে মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে রাখতে হবে। নাকের সামনে ও ঘাড়ের পিছনে ঠান্ডা পানির ঝাপটা বা বরফ দিতে হবে। রক্ত পড়া বন্ধ হওয়ার পরও কিছুক্ষণ নাকের ছিদ্রপথে তুলা দিয়ে রাখতে হবে।
পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়