ষষ্ঠ অধ্যায়
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের বসবাস। তাদের মধ্যে রয়েছে আমাদের নিজেদের পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক এবং পরিচিত ও অপরিচিত অনেকেই। আমরা কখনোই একাকী বাস করতে পারি না। তাই অন্য মানুষের সাথে আমরা মিলেমিশে থাকি। ফলে একে অন্যের সাথে সম্পর্কের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে আমাদের সামাজিক জগৎ।
এই সম্পর্কগুলো হলো আন্তঃসম্পর্ক। কিছু আন্তঃসম্পর্ক গড়ে ওঠে আনুগত্য, সমর্থন, দায়িত্ব এবং বিশ্বাসের ওপর। এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কগুলো ভালোবাসা এবং স্নেহের ওপর গড়ে ওঠে। ফলে একে অপরের সাথে সুন্দর সম্পর্কের মধ্য দিয়ে খুঁজে পাই আমরা রত্ন বা গুপ্তধন। এই রত্নগুলো চিনে সেগুলো আরও সুন্দর করার পথে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ রত্নগুলোই আমাদের সাথি হয়, সুখে-দুঃখে পাশে থাকে।
কখনো কখনো কিছু সম্পর্ক আছে যেগুলো আমাদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়া বা সহায়তা করে ঝুঁকি দূর করতে পারি। ফলে ওই সম্পর্কের ঝুঁকি দূর হয়ে সম্পর্কটি সুন্দর হতে পারে। আবার কখনো কখনো ঝুঁকি দূর না হলে সম্পর্কটিকে 'না' বলতে হয়, ছিন্ন করতে হয় বা সীমিত করতে হয়। এছাড়া আন্তঃসম্পর্কের ঝুঁকি নিরসনে আমরা সহায়তা নিতে পারি বিশ্বস্ত সম্পর্কের ও সেবাকাঠামোর। সুতরাং আমরা আন্তঃসম্পর্ক বা রত্নগুলোকে চিনে সেগুলোর প্রতি যত্নশীল হব এবং এই সম্পর্কগুলো আরও দৃঢ় করার মাধ্যমে আমাদের সামাজিক জগৎটাকে আনন্দময় করে তুলব এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।
প্রশ্ন : একে অন্যের সাথে সম্পর্কের মধ্য দিয়ে কী গড়ে ওঠে?
উত্তর : সামাজিক জগৎ।
প্রশ্ন : কখনো কখনো সম্পর্ক থেকে কী সৃষ্টি হতে পারে?
উত্তর : ঝুঁকি বা চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন : সম্পর্কের ঝুঁকি নিরসনে কারা ভূমিকা রাখতে পারে?
উত্তর : বিশ্বস্ত আন্তঃসম্পর্ক ও সেবা প্রতিষ্ঠান।
প্রশ্ন : বিশ্বস্ত সম্পর্কগুলোকে কী বলা হয়?
উত্তর : রত্ন।
প্রশ্ন : আমরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে কী শিখি?
উত্তর : সামাজিক দক্ষতা।
প্রশ্ন : আমাদের বিশ্বের সাথে পরিচয় করে দেয় কে?
উত্তর : পরিবার।।
প্রশ্ন : আমাদের বিকাশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে কে?
উত্তর: বাবা-মা।
প্রশ্ন : আমাদের জীবন ও অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে কোনটি?
উত্তর : বন্ধুত্ব।
শূণ্যস্থান পূরণ
১. মানুষ সামাজিক ----।
উত্তর : প্রাণী/জীব।
২. অন্য মানুষের সাথে আমরা ---- থাকি।
উত্তর : মিলেমিশে।
৩. কখনো কখনো আন্তঃসম্পর্কে চ্যালেঞ্জ বা----তৈরি হতে পারে।
উত্তর : ঝুঁকি।
৪. সবচেয়ে নিরাপদ ও বিশ্বস্ত সম্পর্কগুলোই হলো আসল ----।
উত্তর : রত্ন।
৫. পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে ----জগৎ।
উত্তর : সামাজিক।
৬. মানুষ ---- থাকতে পারে না।
উত্তর : একা।
৭. ---- আমাদের বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
উত্তর : পরিবার।
৮. পরিবার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ---- দেয়।
উত্তর : নিরাপত্তা।
৯. শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা ---- মতো।
উত্তর : সন্তানের।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
প্রশ্ন : ঝুঁকি কী?
উত্তর : অপ্রত্যাশিত কোনো ক্ষতি ঘটার সম্ভাবনাকে ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন : কাদের সাথে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে?
উত্তর : পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু, শিক্ষক, সহকর্মী কিংবা অন্যান্য কারো সাথে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।
প্রশ্ন : রত্ন বলতে কী বুঝ?
উত্তর : রত্ন হলো মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক। রত্নগুলো আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের সাথি হয়, সুখ-দুঃখে পাশে থাকে।
প্রশ্ন : আমাদের সামাজিক জগৎ কীভাবে গড়ে ওঠে?
উত্তর : মানুষ সামাজিক জীব। আমরা একে অন্যের সাথে মিলেমিশে থাকি ও সমাজে বাস করি। একে অন্যের সাথে সম্পর্কের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে আমাদের সামাজিক জগৎ।
প্রশ্ন :আন্তঃসম্পর্ক কী?
উত্তর : মানুষ সমাজে একত্রে বসবাস ও মিলেমিশে থাকার ফলে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাই আন্তঃসম্পর্ক।
পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়