শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক রূপরেখাই শিক্ষাক্রম। শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে দেশের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। যুগ যুগ পর বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে তথা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ নতুন কারিকুলাম।
আমরা সবাই ঈগলপাখি চিনি বা নাম শুনেছি। ঈগলপাখি অপেক্ষাকৃত বড় শক্তিশালী পাখি, শিকারে বেশ পারদর্শী। অনেক উঁচুতেও আকাশে উড়তে পারে। ঈগল সাধারণত ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচে। ৪০ বছর পর তথা অর্ধেক বয়সে শারীরিক কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে আগের মতো শিকার করতে পারে না। বিশেষ করে ঠোঁট ভোঁতা হয়ে যায়। পায়ের নখগুলো বড় হয়ে বেঁকে যায়, পালকগুলোসহ ডানা ভারী হয়ে যায়। ফলে আগের মতো শিকার করতে পারে না। এ অবস্থায় ঈগল পাখি নিজেকে আগের মতো করে তৈরি করার জন্য উঁচু পাহাড়ে গিয়ে নিজের ঠোঁট, পায়ের নখগুলো শক্ত পাথরে ঘষে ঘষে ভেঙে ফেলে। সেই সাথে পালকগুলোও টেনেহিঁচড়ে তুলে ফেলে। তিন থেকে চার মাস অসহ্য যন্ত্রণা বুকে চেপে থাকে। পরবর্তী সময় নতুন ঠোঁট, পায়ের নখ ও পালকগুলো আবার গজায়। নবউদ্যমে জীবন শুরু করে তারা আরও ৩৫ বছর পর্যন্ত আগের মতো শিকার করে বাঁচে। ঈগল জীবনের দর্শন,
বিচিত্র চমক।
পাখিরাজ ঈগলের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সি শিক্ষকরা ঈগলপাখির মতো নিজেদের পাল্টে ফেলেন।
চতুর্থ শিল্পবিপস্নবের চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রযুক্তিগত চেতনার জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক, শিক্ষা প্রশাসকসহ সবাই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সচেষ্ট হতে হবে।