মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায়
প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
বই পড়া: টেবিল-চেয়ারে বসে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করলেও গল্পের বই সেখানে বসে পড়তে ইচ্ছে করে না। তাই পড়ার জন্য এমন একটি নিরিবিলি জায়গা বেছে নিন, যেখানে বসলে পড়তে ইচ্ছে করবে।
লক্ষ্য স্থির রাখা : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা সময় বাঁচিয়ে রাখতে হবে শুধু নিজের বই পড়ার জন্য। নির্দিষ্ট ওই সময়টুকু আর অন্য কিছুতেই ব্যয় করা যাবে না। প্রতিদিন একটি লক্ষ্য স্থির করে নতুন কিছু করা যেতে পারে।
পছন্দের উপর গুরুত্ব দিন:পছন্দের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। যে বিষয়গুলো করতে ভালো লাগে, তেমন কোনো একটি বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে, যেমন: ছবি আঁকা, সাঁতার কাটা প্রভৃতি।
নিয়মিত পড়ার অভ্যাস:যত কাজই থাকুক না কেন খাওয়া, বই পড়াও অভ্যাসের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। কোথাও যাতায়াতের সময়ে সঙ্গে যে কোনো একটি বই রাখা যেতে পারে। সময়-সুযোগ বুঝে পড়ার অভ্যাস জারি রাখতে পারেন।
স্ক্রিনটাইম কম :ফোন, ল্যাপটপ ছাড়া এখন কাজ করা অসম্ভব। তাই চাইলেও সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তবে কতটা সময় সেই খাতে ব্যয় করবেন, তা নির্দিষ্ট করে নেওয়া যায়।
সৃজনশীল কাজে জড়িত থাকা:সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপে যুক্ত থাকলে মোবাইল থেকে দূরে থাকা যায়। আপনি তাদের বিভিন্ন কাজ দিতে পারেন, যা তাদের মন তৈরিতে সাহায্য করে এবং এটি শিশুর সুস্থ বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
বহিরাঙ্গন কার্যক্রমে উৎসাহিত করুন
মোবাইল থেকে দূরে রাখার সর্বোত্তম উপায় হলো বাগান করা, গাছে জল দেওয়া, পোষা প্রাণীর সঙ্গে হাঁটা, পার্ক পরিদর্শন ইত্যাদি বাইরের ক্রিয়াকলাপে যুক্ত থাকা।
পারিবারিক সময়ে ফোন নিষেধ
পারিবারিক সময়ে মোবাইল বা অন্য কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার না করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে, কারণ মোবাইল ফোন অসামাজিক করে তোলে এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে পড়ে।
নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা
ফোনে যখন একের পর এক নোটিফিকেশন আসার শব্দ বন্ধ হবে, তখন ফোনের আসক্তি উপেক্ষা করা কিছুটা সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে কাস্টমাইজ সেটিংস অপশনে গিয়ে খুব বেশি প্রয়োজনীয় মানুষ ছাড়া বাকিদের নোটিফিকেশন অফ করে রাখা যেতে পারে। এতে ফোনের প্রতি আসক্তি কিছুটা কমতে পারে।