ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন প্রশ্ন : কয়েকটি শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্যের নাম লিখ। উত্তর: শারীরিক বৈশিষ্ট্য: গায়ের রং, শরীরের গঠন, উচ্চতা, ওজন ইত্যাদি। মানসিক বৈশিষ্ট্য: উদারতা, লাজুকতা, দয়া, চিন্তাশীলতা ইত্যাদি। প্রশ্ন :কয়েকটি ইতিবাচক গুণ বা বৈশিষ্ট্যের নাম লিখ। উত্তর: ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য বা গুণগুলোর নাম হলো: সত্যবাদিতা, চিন্তাশীলতা, অন্যকে ছোট করে না দেখা, পরিচ্ছন্ন থাকা, সকলের প্রতি যত্নশীল হওয়া, বিশস্ত ও বন্ধুত্বপরায়ণ হওয়া। প্রশ্ন : সুপার পাওয়ার দিয়ে মানুষ কী করে? উত্তর: সুপার পাওয়ার দিয়ে মানুষ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকে এবং সমাজ ও পৃথিবীর কল্যাণে অবদান রাখে। প্রশ্ন :তোমার অপছন্দের কয়েকটি গুণ বা বৈশিষ্ট্যের নাম লেখ। উত্তর: আমার অপছন্দনীয় গুণগুলো হলো অহংকারী হওয়া, অতিরিক্ত মেজাজ দেখানো, অন্যকে ছোট করে দেখা, অপরিচ্ছন্ন থাকা, জেদি হওয়া, নিষ্ঠুর হওয়া ইত্যাদি। প্রশ্ন : তোমার সহপাঠীদের সঙ্গে তুমি কেমন আচরণ করবে? উত্তর: সহপাঠীদের বিপদে ও প্রয়োজনে সবাইকে সহায়তা করব। আন্তরিক ও ধৈর্যশীল হবো। কখনো তাদের মিথ্যা বলব না ও ধোঁকা দেব না। সবাইকে সম্মান করব। পঞ্চম অধ্যায় মানুষের মন খুবই বিচিত্র। বিচিত্র এই মনে মানুষের চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই। আমাদের মনের ভেতর অনেক কথাই জমা থাকে যা আমরা কেউ বলতে পারি, কেউ পারি না। আবার কেউ কেউ বলতে পারলেও হয়তো সবই বলা যায় না। কিছু কথা থেকে যায় মনের গহীনে না বলা কথা। ছোট্ট এই জীবনে মানুষের চাওয়া-পাওয়ার যেমন শেষ নেই; তেমনি আবেগ, অনুভূতি এবং প্রয়োজনেরও শেষ নেই। কাউকে ভালো লাগা, মন্দ লাগা, দ্বিধা, প্রশংসা করা, সাহায্য করার ইচ্ছা প্রভৃতি অনুভূতিগুলো সবাই একভাবে প্রকাশ করতে পারে না। কারো প্রকাশ ক্ষমতা এত বেশি থাকে যে, তারা অন্যকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আবার কেউ একেবারেই প্রকাশ করতে পারে না বা করলেও মানুষের মনে দাগ কাটতে পারে না। তাই মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা কীভাবে গুছিয়ে বলতে হয় তার কৌশল আমাদের এখন থেকেই শিখতে হবে। কীভাবে ভালো লাগা, মন্দ লাগার কথা বলতে হবে, কীভাবে নিজের প্রয়োজন ও আগ্রহের বিষয় অন্যকে জানাতে হবে, কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে, কীভাবে ব্যক্তিত্ব ঠিক রেখে অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে প্রভৃতি একটি কৌশল বা দক্ষতার ব্যাপার। এ দক্ষতাগুলো একদিনেই গড়ে উঠে না। আস্তে আস্তে অন্যকে দেখে এবং আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদার সাথে অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের মধ্যে গড়ে উঠে। আর তখন স্পষ্ট করে কথা বলার কৌশল, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠা এবং গুছিয়ে কথা বলার কৌশলও আয়ত্ত হয়। এসব বিষয় একজন মানুষকে সম্মানিত ও মর্যাদাবান করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে। প্রশ্ন : পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের কোনটি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে? উত্তর :অনুভূতি ও আচরণ। প্রশ্ন :কখনো কখনো আমাদের চাওয়া, অনুভূতি ও মতামত প্রকাশ করার ধরন কী হয়? উত্তর : অন্যদের সাথে মিলে যাবে। প্রশ্ন : বাবলের মতোই প্রতিটি মানুষকে ঘিরে একটি অদৃশ্য কী থাকে? উত্তর : বাবল। প্রশ্ন : আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন সীমানায় প্রবেশ করার অধিকার কারো নেই? উত্তর : ব্যক্তিগত। প্রশ্ন : কয় ধরনের স্পর্শ আছে? উত্তর : দুই ধরনের। প্রশ্ন : স্পর্শগুলো কী কী? উত্তর : নিরাপদ স্পর্শ ও অনিরাপদ স্পর্শ। প্রশ্ন : নিরাপদ স্পর্শে আমার কী হবে না? উত্তর : অসস্তি। প্রশ্ন : কোন স্পর্শ একদমই ঠিক না? উত্তর : অনিরাপদ। প্রশ্ন : অনিরাপদ স্পর্শ আমার কী দেয়? উত্তর : শরীর ও মনকে কষ্ট দেয়। প্রশ্ন : যখন কেউ আমাকে আঘাত করে যা এমনভাবে স্পর্শ করে যার জন্য আমি অস্বস্তিবোধ করি তাকে কী বলে? উত্তর : অনিরাপদ স্পর্শ। প্রশ্ন : আমাকে কেউ অনিরাপদভাবে স্পর্শ করলে সে দোষ কার? উত্তর : আমার নয়। প্রশ্ন : আমি যখন অন্যদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলব তখন আমাকে কী মনে হবে? উত্তর : আত্মবিশ্বাসী। প্রশ্ন : নিজেকে শান্ত রাখতে কী করব? উত্তর : লম্বা দম নেব। প্রশ্ন : যা বলতে চাই তা কেমন করে বলব? উত্তর : খুব স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে। প্রশ্ন : কেউ যদি আমার সাথে চিৎকার করে, তাহলে কী হয়? উত্তর : কষ্ট লাগে। প্রশ্ন : কথা বলার সময় কী করব? উত্তর : সোজা হয়ে দাঁড়াব বা বসব। প্রশ্ন : কখন অঙ্গভঙ্গি শান্ত রাখব? উত্তর : কথা বলার সময়। প্রশ্ন :কারো কথার মাঝে কী করব না? উত্তর : কথা বলব না। প্রশ্ন : মনের কথা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ না পেলে কী হতে পারে? উত্তর : অন্যের সাথে দূরত্ব বা মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে। প্রশ্ন : নিজের প্রয়োজন, অনুভূতি ও মতামত দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করব কীভাবে? উত্তর : অন্যের অধিকার ক্ষুণ্‌ন না করে। শূণ্যস্থান পূরণ ১.---অনুযায়ী আমাদের অনুভূতি ও আচরণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। উত্তর : পরিস্থিতি। ২. আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ---- প্রবেশ করার অধিকার কারোরই নেই। উত্তর : ব্যক্তিগত সীমানায়। ৩. --- স্পর্শে আমার অস্বস্তি হবে না। উত্তর : নিরাপদ। ৪. একেক জনের সাথে নিরাপদ ---একেক ধরনের। উত্তর : স্পর্শ। ৫. কারো---নেই আমাকে অনিরাপদভাবে স্পর্শ করার। উত্তর :অধিকার। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়