সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
প্রশ্ন : বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে সহমর্মিতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে সহমর্মিতা খুবই গুরুত্ব বিষয়। এর মাধ্যমে একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ ও সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়। সম্পর্কের মধ্যে ভালোলাগা ও অন্যের অনুভূতি বুঝতে সাহায্য করে। এমনকি পারস্পরিক বোঝাপড়া, দ্বন্দ্ব ও ঝগড়া-বিবাদ নিরসনে ভূমিকা রাখে।
প্রশ্ন :পারিবারিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহমর্মিতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :পরিবারের সদস্যরা একে অপরের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। যেকোনো প্রয়োজন, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনায় একে অপরের পাশে থাকে। সহমর্মিতার কারণেই তারা একে অপরের অনুভূতি বুঝতে এবং আনন্দে শামিল হওয়া কিংবা কষ্টে পাশে থাকার মাধ্যমে সম্পর্ককে দৃঢ় করে। ফলে তাদের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সাহায্য- সহযোগিতা পায়।
প্রশ্ন : প্রকৃতির প্রতি সহমর্মী আচরণ কেন প্রয়োজন?
উত্তর : প্রকৃতি আমাদের উপকারী বন্ধু। আমরা যে প্রকৃতিতে বাস করি তার প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। আমাদের খাদ্য, ব্যবহার করা প্রতিটি আসবাবপত্র, আলো, বাতাস, গাছপালা, পশুপাখি প্রভৃতি আমাদের জীবনকে সহজ ও সুন্দর করে। এদের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। আমাদের উচিত প্রকৃতির প্রতি সহমর্মী আচরণ করা।
প্রশ্ন :সহমর্মিতা প্রকাশ পায় এমন ৫টি আচরণ উলেস্নখ কর।
উত্তর : সহমর্মিতা প্রকাশ পায় এমন ৫টি আচরণ নিচে উলেস্নখ করা হলো :
-অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
-ভালো কাজের প্রশংসা করা, উৎসাহ দেওয়া।
-তার অনুভূতি ও পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করা।
-অন্যের যেকোনো অনুভূতিকে সম্মান করা। দোষারোপ না করা।
-কোনো ভুল কাজ করে ফেললেও তার জন্য দোষ না দেওয়া।
প্রশ্ন : কে কে বন্ধু হতে পারে?
উত্তর: মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, আলো, বাতাস, পানি পারস্পরিক সহমর্মিতা প্রদর্শনের মাধ্যমে একে অপরের বন্ধু হতে পারে।
প্রশ্ন : প্রিয় বন্ধু হতে কী করব?
উত্তর : প্রিয় বন্ধু হওয়ার জন্য ধাপ অনুযায়ী আমার কাজের একটি পরিকল্পনা তৈরি করব এবং প্রিয় বন্ধু হতে সহমর্মী আচরণ করব।
৪র্থ অধ্যায়
আমাদের সবার কিছু জ্ঞান ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা আমাদের অন্যদের থেকে অভিন্ন ও আলাদা করেছে। আমরা কেউ কখনো সম্পূর্ণভাবে অন্যের মতো না। আমরা একেকজন একেকরকম। এটাই স্বাভাবিক। আমাদের মধ্যে সেই গুণ ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই গুণগুলোর মধ্যে কিছু রয়েছে শারীরিক গুণ ও বৈশিষ্ট্য আবার কিছু রয়েছে মানসিক গুণ ও বৈশিষ্ট্য।
এসব গুণ ও বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অনেক প্রয়োজনীয় কিছু গুণ ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা প্রত্যেক মানুষের মধ্যে থাকা খুবই জরুরি। প্রয়োজনীয় এই গুণ ও বৈশিষ্ট্যকে বলা হয় সুপার পাওয়ার। শিক্ষার্থীদের আদর্শ ব্যক্তি হওয়াতে সাহায্য করার লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে সুপার পাওয়ার সম্পর্কে যথাযথ আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন :টেলিফোন, বিদু্যৎ, ওষুধ এগুলো কারা আবিষ্কার করছে?
উত্তর:মানুষ।
প্রশ্ন :আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে কী আছে?
উত্তর:শক্তি বা গুণ।
প্রশ্ন :আমরা সমাজের সকলের সাথে কীভাবে থাকছি?
উত্তর:মিলেমিশে
প্রশ্ন :একেক ফুলের কী একেক রকম?
উত্তর: সুবাস।
প্রশ্ন :আমরা সবাই বাগানের একেকটা কী?
উত্তর:ফুল।
প্রশ্ন :আমাদের প্রত্যেকের কী রয়েছে?
উত্তর:নিজস্ব গুণ।
প্রশ্ন :আমরা কেউ কখনো সম্পূর্ণভাবে কার মতো নয়?
উত্তর:অন্যের।
প্রশ্ন :কারা আমার ভালো চান?
উত্তর: আমার কাছের মানুষ।
প্রশ্ন :শারীরিক ও মানসিক গুণ ও বৈশিষ্ট্য দুটোরই কী আছে?
উত্তর: গুরুত্ব।
শূণ্যস্থান পূরণ
১.আমাদের প্রত্যেকের ভিতর কিছু শক্তি বা -------- একেক রকম।
উত্তর: গুণ।
২. আমাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব পছন্দ, ইচ্ছা ও --------।
উত্তর: চাহিদা।
৩. একেক ফুলের -------- একেক রকম।
উত্তর:সুবাস।
৪. প্রয়োজনীয় গুণের সবগুলোই হলো এক একটি --------।
উত্তর:শক্তি বা পাওয়ার।
৫. -------- কতকিছু আবিষ্কার করেছে।
উত্তর:মানুষ।
৬. আমাদের প্রত্যেকের ভিতরের কিছু শক্তি বা -------- আছে।
উত্তর:গুণ।
৭. কোনো ফুল আকারে ছোট কিন্তু----- অনেক তীব্র
উত্তর:সুবাস।
৮. কোনো -----রং অনেক গাঢ় কিন্তু হালকা সুবাস।
উত্তর: ফুলের।
৯. কত -------- ফুল, কত প্রকারের সুবাস।
উত্তর: ধরনের।
১০. বাগানের প্রতিটি -------- তাদের নিজেদের গুণে বাগানটাকে সুন্দর করার জন্য অবদান রাখছে।
উত্তর: ফুল।
১১. আমরা কেউ কারো -------- নই।
উত্তর:মতো।
১২. আমরা কেউ ---- সম্পূর্ণভাবে অন্যের মতো না।
উত্তর:কখনো।
১৩. আমার কাছের -------- আমাকে জানালো আমার গুণ বা সুপার পাওয়ারগুলোর বিষয়ে।
উত্তর: মানুষগুলো।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
প্রশ্ন : আমরা কী আবিষ্কার করব?
উত্তর:আমাদের প্রত্যেকের ভেতর কিছু সুপার পাওয়ার আছে, সেই সুপার পাওয়ারগুলো আবিষ্কার করব।
প্রশ্ন : সুপার পাওয়ার কী?
উত্তর:আমাদের প্রত্যেকের ভেতরে কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য আছে, সেগুলো আমাদের সবার থেকে আলাদা ও অনন্য করেছে, সেগুলোকেই সুপার পাওয়ার বলা হয়।
প্রশ্ন : কয়েকটি সুপার পাওয়ারের নাম লিখ।
উত্তর:কয়েকটি সুপার পাওয়ারের নাম হলো: ধৈর্যশীলতা, ভদ্রতা, সততা, চিন্তাশীলতা, সাহসিকতা, নিষ্ঠা ইত্যাদি। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়