বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
  ৩১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা

তৃতীয় অধ্যায়

প্রশ্ন :আলো-বাতাস, পানি, গাছপালা, পশু-পাখি এসব কী?

উত্তর : প্রকৃতির উপাদান।

প্রশ্ন : প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান আমাদের কী করে?

উত্তর : বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন : কোনগুলো আমাদের বাঁচিয়ে রাখে?

উত্তর :আলো, বাতাস, মাটি, পানি, উদ্ভিদ, প্রাণী প্রভৃতি।

প্রশ্ন : উৎসব উদযাপন করার জন্য আমরা সবাই কী করব?

উত্তর : পরিকল্পনা ও অংশগ্রহণ করব।

প্রশ্ন :এক মাস পরে আমরা কী উৎসব করব?

উত্তর : বন্ধুমেলা।

শূন্যস্থান পূরণ

১. বন্ধুদের সাথে কাটাতে ভালো লাগে।

উত্তর :সময়।

২. প্রিয় বন্ধু হওয়ার জন্য গন্তব্যে পৌঁছাতে ধাপ পার করতে হয়।

উত্তর :ছয়টি।

৩. আমাদের উচিত বন্ধুর অনুভূতিকে করা।

উত্তর :সম্মান।

৪. বন্ধু কষ্ট পেতে পারে বা পেতে পারে এমন কথা ও কাজ না করা।

উত্তর :লজ্জা।

৫. বন্ধুরা আমাদেরকে বলেই কষ্ট দিতে চায় না।

উত্তর : ভালোবাসে।

৬. সহমর্মী হলে একে অপরের প্রতি ও মনোভাব তৈরি হয়।

উত্তর :সম্মানবোধ, সহযোগিতার।

৭. অভাবে আমরা অন্যদের অনুভূতি ও প্রয়োজন বুঝতে পারি না।

উত্তর :সহমর্মিতার।

৮. পশু-পাখি আমাদের।

উত্তর :বন্ধু।

৯. আলো, বাতাস, মাটি, পানি, উদ্ভিদ, প্রাণী প্রভৃতি আমাদের থাকতে সাহায্য করে।

উত্তর : বেঁচে।

১০. উপাদান আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।

উত্তর : প্রকৃতির।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন : বন্ধুত্ব কী?

উত্তর : বন্ধুত্ব হলো এমন একটি বন্ধন যেখানে দুটি হৃদয় বিনা সুতায় বাঁধা থাকে। একে অন্যের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে। পরস্পর সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগ করে নেয়। একজনের সুখে অন্যজন যেমনি সুখ অনুভব করে তেমনি একজনের দুঃখে অন্যজন বেদনা অনুভব করে। একজন অন্যজনকে বিপদে-আপদে সহযোগিতা করে। সর্বোপরি একজন অন্যজনের অনুভূতি সহজে বুঝতে পারে।

প্রশ্ন : প্রিয় বন্ধু হওয়ার গন্তব্যে পৌঁছাতে আমরা কয়টি ধাপ পার হতে হয়, বর্ণনা কর।

উত্তর : প্রিয় বন্ধু হওয়ার গন্তব্যে পৌঁছাতে ৬টি ধাপ পার হতে হয়। ধাপগুলো হলো-

-প্রথম ধাপে বের করতে হবে আমার বন্ধু কেন প্রিয়।

-বন্ধুত্ব মানে অনুধাবন করার মাধ্যমে দ্বিতীয়ধাপ পার হব।

-কে কে বন্ধু হতে পারে তা বুঝে তৃতীয় ধাপ পার হব।

- চতুর্থ ধাপে আমি যার প্রিয় বন্ধু হতে চাই তাকে খুঁজে বের করব।

-পঞ্চম ধাপে প্রিয় বন্ধু হওয়ার জন্য ধাপ অনুযায়ী আমার কাজের একটি পরিকল্পনা তৈরি করব।

-ষষ্ঠ ধাপে পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধু হওয়ার কাজ করব।

প্রশ্ন : আমার বন্ধু কেন আমার প্রিয়?

উত্তর : আমার বন্ধু আমার অনুভূতি ও পরিস্থিতি বুঝে আমার প্রতি আন্তরিক ও সহানুভূতির মনোভাব প্রকাশ করে তথা সহমর্মিতা প্রদর্শন করে বলে আমার বন্ধু আমার প্রিয়।

প্রশ্ন :প্রিয় বন্ধু হওয়ার উপায় কী?

উত্তর :সহমর্মিতার মাধ্যমে প্রিয় বন্ধু হওয়া যায়। তবে বন্ধুত্ব তৈরি করতে বেশকিছু আচরণ সাহায্য করে থাকে। যথা-

-বন্ধুর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা।

-অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করা।

-দোষারোপ না করা।

-সুখে-দুঃখে পাশে থাকা।

-নিজের ভুল আচরণের জন্য ক্ষমা চাওয়া প্রভৃতি।

প্রশ্ন :সহমর্মিতা কী?

উত্তর : বন্ধুরা বন্ধুদের ভালোবাসে, তারা বন্ধুদের কষ্ট দিতে চায় না। তাদের অনুভূতি ও আচরণের দ্বারা অন্য বন্ধুরা উপকৃত হয়। তাদের এই মনোভাবকে সহমর্মিতা বলে। সহমর্মী হলে একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ ও সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়। তখন সম্পর্কের মধ্যে ভালোলাগা, শ্রদ্ধাবোধ, দায়িত্বশীলতা ও কৃতজ্ঞতাবোধ কাজ করে।

প্রশ্ন : সহমর্মিতার সুবিধা উলেস্নখ কর।

উত্তর : সহমর্মী আচরণ আমাদের মনে শান্তি দেয়। আমরা আনন্দ পাই। সহমর্মিতা আচরণে আমরা ভালোবাসাবোধ করি। মনে শক্তি পাই। আমাদের প্রতি তাদের এমন অনুভূতি ও আচরণ দ্বারা আমরা উপকৃত হই। সহমর্মী হলে আমরা একে অপরকে সম্মান করতে পারি, হৃদয়ে স্থান করে দেই। সম্পর্কের মধ্যে সন্তুষ্টি কাজ করে, জোরদার হয়। ফলে দ্বন্দ্ব ও ঝগড়াবিবাদ কমে যায়। নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়। একে অপরের সমস্যায় পাশে থাকি, দায়িত্ববোধ বাড়ে। সহমর্মী আচরণের ফলে মানুষের মধ্যে অসম্মান ও হয়রানিমূলক আচরণ, উত্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানিমূলক আচরণের প্রবণতা কমে যায়। সম্পর্কের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ, দায়িত্বশীলতা ও কৃতজ্ঞতাবোধ বাড়ে।

প্রশ্ন : সহমর্মিতার অভাবে কী কী অসুবিধা হতে পারে?

উত্তর : সহমর্মিতার অভাবে আমরা অন্যদের অনুভূতি প্রয়োজন বুঝতে পারি না। অন্যের পরিস্থিতি ও অনুভূতি বোঝার চেষ্টা না করেই কোনো কথা বলে ফেলি। কখনো দুষ্টুমির মধ্য দিয়ে এমন কিছু করে ফেলি যা তার মনে কষ্ট দেয়। মাঝে মাঝে না বুঝেই মা বাবার সাথে এমন কিছু করি যাতে তারা কষ্ট পান। আবার ভাইবোন, আত্মীয়, সহপাঠী, বন্ধুরা কষ্ট পায়। কখনো আমাদের কোনো কোনো আচরণে মনে তীব্র আঘাত পান। এভাবে কষ্ট পেয়ে কেউ কেউ আমাদের থেকে নিজেকে গুটিয়েও নেয়। সবার সাথে মিশতে পারে না। বিশ্বাস করতে পারে না। এতে তাদের পক্ষে বন্ধুত্ব তৈরি করা, পড়াশোনা, এমনকি অন্যান্য কাজেও সমস্যা হয়। মনোযোগ দিতে পারে না। কারো কারো মধ্যে বড় হলেও এই সমস্যা থেকে যায়।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে