বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
  ২৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা

১ম অধ্যায়

প্রশ্ন : সংক্রামক রোগ কয়ভাবে বিস্তার লাভ করে? সেগুলো কী কী?

উত্তর: সংক্রামক রোগ সাধারণত পানি, বায়ু ও পতঙ্গ এ তিন মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। পানিবাহিত সংক্রামক রোগ যেমন- টাইফয়েড, কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি। বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ যেমন- জলবসন্ত, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড-১৯ ইত্যাদি এবং পতঙ্গবাহিত সংক্রামক রোগ যেমন- ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি।

প্রশ্ন: বয়ঃসন্ধিকাল কী?

উত্তর: বয়ঃসন্ধিকাল বলতে বাল্যাবস্থা ও যৌবনকালের মধ্যবর্তী সময়কে বোঝায়। এ সময় কিশোর ও কিশোরীর শরীর পরিবর্তন হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রশ্ন : বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের যত্ন সম্পর্কে লেখ।

উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে শরীর দ্রম্নত বৃদ্ধি পায়। শরীর ও মনের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনও শুরু হয়। এজন্য শরীর যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের যত্নে যেসব বিষয় পালন করা উচিত সেগুলো নিম্নে তুলে ধরছি:

ঙ্ সারাদিনের শক্তির জন্য পরিমাণমতো খাবার খেতে হবে।

ঙ্ মাত্রাতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

ঙ্ বিশুদ্ধ পানি, তাজা ফল ও ফলের রস খেতে হবে। সেই সাথে কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।

ঙ্ পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম ও খেলাধুলা করতে হবে।

ঙ্ প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

প্রশ্ন: শরীর চর্চা ও খেলাধুলা কী?

উত্তর: আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রয়েছে। আর এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে যথাযথভাবে নড়াচড়া করাকে শরীরচর্চা বলে। আর আনন্দ লাভের জন্য স্বনির্বাচিত কোনো কাজে অংশগ্রহণই হলো খেলা। খেলায় জয়-পরাজয় বড় কথা নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।

প্রশ্ন: সামাজিক ও ব্যক্তিজীবনে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: শরীরচর্চা ও খেলাধুলার জন্য সময় এবং শক্তি প্রয়োজন হয়। খেলাধুলার মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়ে। পাঠে একঘেয়েমি দূর হয়। শ্রেণিকক্ষে একটানা পড়ালেখা করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্লান্তি ও একঘেয়েমি ভাব আসে। যা পাঠে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই শিক্ষার্থীরা যদি লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা চালিয়ে যায় তাহলে পাঠে একঘেয়েমি ও মানসিক ক্লান্তি দূর হবে, মনে সজীবতা আসবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হবে। শরীরচর্চা ও খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্য ও সঠিক ওজন বজায় রাখতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের রাত জাগা, অনিয়ম করার মতো ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে থাকার অনুপ্রেরণা দেয়। শরীরচর্চা ও খেলাধুলা মাধ্যমিক কঠোর পরিশ্রম শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্য অর্জন করতে উচ্চমাত্রায় আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলে। এই আত্মবিশ্বাস পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের সংঘর্ষ মোকাবিলায় সাহায্য করবে। তাছাড়া শরীরচর্চা, ব্যায়াম ও খেলাধুলার একটা ভালো দিক হলো এতে মানসিক চাপ কমে। ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত থেকে লেখাপড়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে।

প্রশ্ন: ওয়ার্ম আপ কী?

উত্তর: যেকোনো শরীরচর্চা ও খেলাধুলার আগে শিক্ষার্থীদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ওয়ার্ম আপ বলে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে যথাযথভাবে ওয়ার্ম আপ করলে ৫০% ক্রীড়াজনিত আঘাতের আশঙ্কা হ্রাস পায়।

প্রশ্ন: ওয়ার্ম আপের প্রয়োজনীয়তা লেখ।

উত্তর: যেকোনো শরীরচর্চা ও খেলাধুলার আগে ওয়ার্ম আপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে। নিচে ওয়ার্ম আপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হলো:

১. দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

২. পেশির সমন্বয়সাধন বৃদ্ধি পায়।

৩. কাজের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করা যায়।

৪. পেশিতে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

৫. পেশিকে শক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৬. মাংসপেশির সম্প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৭. আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।

৮. হৃদপিন্ড ও ফুসফুসসহ সব অভ্যন্তরীণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৯. মানসিক উত্তেজনা কমে যায় এবং ক্রীড়া প্রদর্শন সহজতর হয়।

তৃতীয় অধ্যায়

মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে একা বাস করতে পারে না। এজন্য সমাজের মানুষের সাথে বসবাস করতে হয়। এ সমাজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মানুষ। সব মানুষের আচার-আচরণ, চলাফেরা, কথাবার্তা, লেনদেন একরকম নয়। তাই সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক সহমর্মিতা।

একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া সহমর্মিতার ফলে অন্যের অনুভূতি ও পরিস্থিতি বুঝে তার প্রতি আন্তরিক মনোভাব, নিজের অনুভূতির প্রকাশ করা যায়। আর এতে মানুষ পরম্পরকে ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং বন্ধুত্বের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন : প্রিয় বন্ধু হওয়ার গন্তব্যে পৌছাতে আমরা কয়টি ধাপ পার হবো?

উত্তর : ছয়টি ধাপ।

প্রশ্ন : কীসের অভাবে আমরা অন্যদের অনুভূতি ও প্রয়োজন বুঝতে পারি না?

উত্তর : সহমর্মিতার।

প্রশ্ন : নিজে কোনো ভুল আচরণ করলে তার জন্য কী করা উচিত?

উত্তর : ক্ষমা চাওয়া।

প্রশ্ন : প্রিয় বন্ধু হওয়ার জন্য ধাপ অনুযায়ী কী করব?

উত্তর : কাজের পরিকল্পনা।

প্রশ্ন :আমরা বন্ধুদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে কী হই?

উত্তর : উপকৃত।

\হপরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে