গ. পথিককে ঝুড়িওয়ালা কত রকম জলের কথা নিয়েছিল? তার মধ্যে তিনটি জলের কথা লেখো। উত্তর : পথিককে ঝুড়িওয়ালা পাঁচ রকম জলের কথা শুনিয়েছিল। তার মধ্যে তিনটি হলো- কুয়ার জল, নদীর জল, পুকুরের জল। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও। জগদীশ চন্দ্র এক বছর ডাক্তারি পড়ার পর ১৮৮১ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এখান থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন তিনি। ১৮৮৫ সালে দেশে ফিরে এসে কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তখন দেশ ছিল পরাধীন। এ সময় একই পদে একজন ইংরেজি অধ্যাপক যে বেতন পেতেন ভারতীয়রা পেতেন তার তিন ভাগের দুই ভাগ। জগদীশচন্দ্র অস্থায়ীভাবে চাকরি করছিলেন বলে তার বেতন আরও এক ভাগ কেটে নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে তিনি দীর্ঘ তিন বছর বেতন না নিয়ে কর্তব্য পালন করেন। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার তাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। সব বকেয়া পরিশোধ করে চাকরিতে স্থায়ী করে তাকে। তখন থেকে তিনি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু হয়ে ওঠেন। ১. শব্দের অর্থ লেখো। \হপরিশোধ - পাওনা জিনিস দেওয়া \হপরাধীন - অন্যের অধীন \হপ্রতিবাদ - যে কোনো উক্তির বিরুদ্ধে আপত্তি \হস্বীকৃতি - মেনে নেওয়া \হকর্তব্য - দায়িত্ব \হবকেয়া - পাওনা \হঅস্থায়ী - স্থায়ী নয় এমন ২. প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : ক. জগদীশ চন্দ্র এক বছর ডাক্তারি পড়ার পর কখন, কোথায় গিয়েছিলেন? উত্তর :জগদীশ চন্দ্র এক বছর ডাক্তারি পড়ার ১৮৮১ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। খ. জগদীশচন্দ্র বেতন না নিয়ে কত বছর চাকরি করেছিলেন? কেন করেছিলেন? কখন থেকে তিনি বিজ্ঞানী হয়ে ওঠেন? দুটি বাক্য লেখো। উত্তর : জগদীশচন্দ্র দীর্ঘ তিন বছর বেতন না নিয়ে অধ্যাপনা করেন। একই পদে থাকলেও তিনি ভারতীয় হওয়ায় তাকে ইংরেজদের তুলনায় তিন ভাগের দুই ভাগ বেতন দেওয়া হতো বলে তিনি বেতন ছাড়াই চাকরি করেছেন। ইংরেজ সরকার ভুল বুঝতে পেরে তার সব বকেয়া পরিশোধ করে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করেন। তখন থেকে তিনি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু হয়ে ওঠেন। গ. শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার তাকে কী করল? জগদীশচন্দ্রের বেতন কম পাওয়ার কারণ কী? তিনটি বাক্য লেখো। উত্তর : শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার জগদীশচন্দ্রের বকেয়া পরিশোধ করে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করেন। জগদীশচন্দ্রের সময় ভারত ছিল ব্রিটিশ সরকারের কাছে পরাধীন। জগদীশচন্দ্র ভারতীয় হওয়ায় তিনিও ইংরেজ সরকারের বৈষম্যর শিকার হন। আর তাই তিনি ইংরেজদের তুলনায় কম বেতন পেতেন। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও। বিশ্ব-ভূমন্ডল বড়ই বিচিত্র্য। কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাতের নাম নায়াগ্রা। এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। সমতলের উপর দিয়ে একটি খরস্রোতা নদী বইছে। যে মাটির উপর দিয়ে এই নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে হঠাৎ করেই এক বিশাল ফাটল। একটা নদী যতখানি চওড়া হতে পারে ততখানি ফাঁকা। নায়াগ্রার জল এই ফাঁকার ভেতর দিয়ে চলে যাচ্ছে। এটাও তো প্রপাত, কারণ পানি পড়ছে। তবে সাধারণ জলপ্রপাতের মতো পাহাড় থেকে নিচে পড়ছে না। পড়ছে, সমতল থেকে বিশাল ফাটলের গহ্বরে। নায়াগ্রা তাই একেবার ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত। ১. শব্দের অর্থ লেখো। বৃহৎ - বড় বিচিত্র - বিভিন্ন রকম বিশাল - অনেক বড় গহ্বর - গর্ত অসম্ভব - সম্ভব নয় এমন পাহাড় - পর্বত প্রবাহিত - বয়ে চলেছে এমন ২. প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : ক. পৃথিবীর বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় কোনটিকে? এটি কোথায় অবস্থিত? উত্তর :পৃথিবীর বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে। এটি কানাডায় অবস্থিত। খ. নায়াগ্রা জলপ্রপাত কোথা থেকে প্রবাহিত হয়? এই জলপ্রপাতের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো। উত্তর :নায়াগ্রা জলপ্রপাত সমতল থেকে প্রবাহিত হয়। এই জলপ্রপাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এটির পানি সমতল থেকে এক বিশাল ফাটলের গহ্বরে চলে যাচ্ছে। এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। গ. নায়াগ্রাকে ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত বলা হয় কেন? উত্তর : নায়াগ্রা জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। এটি সমতলে খরস্রোতা নদীতে প্রবাহিত। হঠাৎ সেই নদীর পানি ভূগর্ভের বিশাল ফাটলে চলে যাচ্ছে। তাই এটি একটি ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও। ১৭৮২ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার চাঁদপুর গ্রামের বনেদি এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিতুমীর। তার প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নাসির আলী। সেকালে গ্রামে গ্রামে ডনকুস্তি আর শরীরচর্চার ব্যায়াম হতো। উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ তাড়ানোর জন্য শক্তি সঞ্চয়। তিনি ডনকুস্তি শিখে কুস্তিগীর ও পালোয়ান হিসেবে নাম করলেন। লাঠিখেলা, তীর ছোড়া আর অসি পরিচালনাও শিখলেন। তিতুমীরের গায়ে শক্তি ছিল প্রচুর। কিন্তু তিনি ছিলেন শান্ত ও ধীর স্বভাবের। একবার ওস্তাদের সঙ্গে তিনি বিহার সফর করলেন। মানুষের দুরবস্থা দেখে তার মনে দেশকে স্বাধীন করার চিন্তা এলো। হাজার হাজার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নারকেলবাড়িয়ায় তৈরি করলেন এক দুর্ভেদ্য বাঁশের দুর্গ। এটাই নারকেলবাড়িয়ার 'বাঁশের কেলস্না'। ১৮৩০ সালে ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডারকে পাঠানো হয় তিতুমীরকে দমন করার জন্য। কিন্তু আলেকজান্ডার তার সিপাহী বাহিনী নিয়ে পরাস্ত হন তিতুমীরের হাতে। পরবর্তীতে ১৮৩১ সালে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক তিতুমীরকে শায়েস্তা করার জন্য পাঠালেন বিরাট সৈন্যবহর আর গোলন্দাজ বাহিনী। এর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পাঠানো হয় কর্নেল স্টুয়ার্ডকে। প্রচন্ড যুদ্ধ হলো। তিতুমীর আর তার বীর সৈনিকরা প্রাণপণ যুদ্ধ করলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ইংরেজ সৈনিকদের গোলার আঘাতে ছারখার হয়ে গেল নারকেলবাড়িয়ার বাঁশের কেলস্না। শহীদ হলেন বীর তিতুমীর। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়