চতুর্থ অধ্যায়
অভিধান দেখে বানানগুলো ঠিক করে নিচে লেখ।
উত্তর: অভিধান দেখে বানানগুলো ঠিক করে লেখা হলো-
জাতি স্থায়িত্ব বন্ধু স্কুলসমূহের
নির্ণয় গুরুত্ব জিনিস চাকরির
উৎকৃষ্ট মনোবৃত্তি পাখি ব্যয়
শিক্ষাব্যবস্থা উত্তরাধিকার ধরনের দেশীয়
আকাঙ্ক্ষা বয়স্ক অলক্ষে সম্মান
বৈশিষ্ট্য অস্তিত্ব প্রত্যেকটি বিদেশি
জাতীয় ভুল প্রবণতা পরিপুষ্ট
তৈরি ইংরেজি
প্রশ্ন : বানান কাকে বলে?
উত্তর: শব্দে বর্ণের বিন্যাসকে বানান বলে।
প্রশ্ন : অভিধান কী?
উত্তর: অভিধান হলো এমন একটি বই যেখানে কোনো ভাষার যাবতীয় শব্দের বানান, উচ্চারণ, অর্থ, গঠন, উৎস, ব্যবহার ইত্যাদি সংকলিত হয়।
প্রশ্ন : অভিধানের শব্দগুলো কীভাবে সাজানো থাকে?
উত্তর:অভিধানের শব্দগুলো বর্ণের ক্রম অনুযায়ী সাজানো থাকে।
প্রশ্ন :কাজী মোতাহার হোসেন কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:কাজী মোতাহার হোসেন ১৮৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন :কাজী মোতাহার হোসেন কত সালে মৃতু্যবরণ করেন?
উত্তর:কাজী মোতাহার হোসেন ১৯৮১ সালে মৃতু্যবরণ করেন।
প্রশ্ন :কাজী মোতাহার হোসেন মূলত একজন কে?
উত্তর:কাজী মোতাহার হোসেন মূলত একজন প্রাবন্ধিক।
প্রশ্ন :কাজী মোতাহার হোসেনের প্রবন্ধের প্রধান বিষয় কী?
উত্তর:কাজী মোতাহার হোসেন প্রবন্ধের প্রধান বিষয় হলো- বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি।
প্রশ্ন :কাজী মোতাহার হোসেন কোন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর:কাজী মোতাহার হোসেন 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ' নামক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
প্রশ্ন :'শিক্ষা-প্রসঙ্গে' কী ধরনের রচনা?
উত্তর:'শিক্ষা-প্রসঙ্গে' একটি প্রবন্ধ।
প্রশ্ন : 'নির্ণয়' শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: 'নির্ণয়' শব্দটির সঠিক বানান 'নির্ণয়'।
প্রশ্ন : 'উত্তরাধীকার' শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর:'উত্তরাধীকার' শব্দটির সঠিক বানান 'উত্তরাধিকার'।
প্রশ্ন :'ইংরেজী' শব্দটি সঠিক বানান কী?
উত্তর:'ইংরেজী' শব্দটির সঠিক বানান 'ইংরেজি'।
প্রশ্ন :'অস্তিত্ত' শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর:'অস্তিত্ত' শব্দটির সঠিক বানান 'অস্তিত্ব'।
প্রশ্ন : 'গুরুত্ব' শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: 'গুরুত্ব' শব্দটির সঠিক বানান 'গুরুত্ব'।
প্রশ্ন : 'বয়স্ক' শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: 'বয়স্ক' শব্দটি সঠিক বানান 'বয়স্ক'।
পঞ্চম অধ্যায়
বিবরণমূলক লেখা
যে ধরনের লেখায় কোনো স্থান, বন্ধু, প্রাণী, স্থাপনা, ঘটনা, ছবি, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি ইত্যাদি বিষয়ের বর্ণনা দেওয়া হয় তাকে বিবরণমূলক লেখা বলে। সাধারণত বিবরণের শুরুতে বিষয়টি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। বিবরণমূলক লেখা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন- ছবির বিবরণ, ঘটনার বিবরণ, স্থানের বিবরণ ইতাদি।
ছবি দেখে বিবরণ লিখি : ছবিগুলো ভালোভাবে দেখো। এরপর 'আমার বাংলা খাতায় ছবির বিষয়, চিত্রশিল্পী-চিত্রগ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দর্শক হিসেবে তোমার প্রতিক্রিয়া নিয়ে ১০০-১৫০ শব্দের মধ্যে একটি বিবরণ প্রস্তুত করো। বিবরণের শুরুতে একটি শিরোনাম দাও। নিজের কাজ শেষে বন্ধুদের সাথে আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো।
কাজের ধরন : দলগত।
উদ্দেশ্য : শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তু অনুযায়ী বিবরণমূলক লেখা প্রস্তুত করার দক্ষতা বৃদ্ধি করে তোলা।
উপকরণ : পাঠ্যবই, খাতা, সাদা কাগজ, কলম প্রভৃতি।
কাজের ধারা :
ক। শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসরণে প্রথমে সহপাঠীরা মিলে কয়েকটি দল গঠন কর।
খ। দলের ছাত্রছাত্রীরা আলোচনা করে কারা কোন নমুনা উত্তরটি তৈরি করবে তা ঠিক করে নেবে।
গ। ছবি দেখে ছবির দৃষ্টিভঙ্গি বুঝে লেখার চেষ্টা করবে।
ঘ। নমুনা উত্তরের জন্য প্রয়োজনে অভিভাবক, এলাকার ব্যক্তিবর্গের মতামত নাও।
ছবি-১
অষ্টম শ্রেণির বাংলা পৃষ্ঠা ১০৩
উত্তর :
শিরোনাম :দেশমাতৃকা রক্ষায় নারী/বীরাঙ্গনাদের অবদান।
ছবির বিষয় : এটি একটি ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি। এই ছবিতে মূলত মুক্তিযোদ্ধা একদল নারীর সারিবদ্ধ মিছিলের বিষয়টি উঠে এসেছে।
চিত্রগ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি : চিত্রগ্রাহক এই ছবিটি ধারণ করেছেন মূলত যুদ্ধের সময় নারীদের অবদানের বিষয়টি ধারণ করে রাখার জন্য যেন পরবর্তী প্রজন্ম নারীদের অবদানের চিত্রটি দেখতে পারে।
দর্শক হিসেবে আমার প্রতিক্রিয়া : চিত্রে দেখতে পাচ্ছি, একদল সাহসী নারীযোদ্ধা কাঁধে অস্ত্র এবং হাতে পড়াকা নিয়ে সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এই যে আমাদের আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ এর নেপথ্যে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের আত্মবলিদান। এই দেশকে সমুক্ত করতে শুধু পুরুষরা নয়; নারীরাও জীবন বাজি রেখেছিল। তারাও দিয়েছিল অদম্য সাহসের পরিচয়। এই ছবি দেখে বোঝা যায় যে, আসলে নারীরা অবলা নয়।
প্রয়োজনে তারাও পারে পুরুষের সাথে সমান তালে লড়াই করতে। নারী ও পুরুষের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার ফলেই এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এই ছবি দেখে নারীর মনের মধ্যে এক প্রকার শক্তির সঞ্চার হবে। সময়ের প্রয়োজনে তারাও সোচ্চার হওয়ার শক্তি পাবে। অধিকার আদায়ের প্রশ্নে তারা হবে আপসহীন। শুধু নারীরা নয়, যার প্রতিই অন্যায় করা হোক, তারই উচিত প্রতিবাদ করে নিজের অধিকার আদায় করে নেওয়া।
ছবি-২
অষ্টম শ্রেণির বাংলা পৃষ্ঠা ১০৪
উত্তর :
শিরোনাম :ফসল মাড়াই।
ছবির বিষয় : গ্রামীণ কৃষকদের ধান কেটে বাড়িতে আনার পরের কাজের 'একটা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
চিত্রশিল্পীর দৃষ্টিভঙ্গি : কৃষকদের সবচেয়ে আনন্দের সময় হলো ফসল কেটে ঘরে আনা। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন কৃষকদের সেই আনন্দঘন সময়টিকেই মূলত এই চিত্রে তুলে ধরেছেন।
দর্শক হিসেবে আমার প্রতিক্রিয়া : বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো কৃষি। অথচ আমরা অনেকেই সেই কৃষি সম্পর্কে উদাসীন। চিত্রটিতে ধান কেটে বাড়িতে আনার পরে সেই ধান মাড়াই করে ঝেড়ে ঘরে তোলার উপযোগী করা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পর সেই আঁটিগুলো স্তূপাকারে সাজিয়ে রাখছে। পাশেই একটি গ্রামীণ কৃষকবধূ কুলা দিয়ে ধান কেড়ে পরিষ্কার করছে। তার পাশে আরেকজন খড়গুলো রোদে শুকাচ্ছে।
প্রযুক্তির বিকাশের ফলে গ্রামীণ এ সকল কাজ আর দেখাই যায় না। দূরে একজন খেজুরের রস কিংবা কিছুর ভাঁড় নিয়ে যাচ্ছে। এগুলো হলো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির অংশ। সকলে মিলে ধদ মাড়াই করে ঝেড়ে পরিষ্কার করে এবং ঘরে তোলার কাজের যে আনন্দ তা আর এখন নেই। আধুনিক যন্ত্রপাতি গ্রামীণ এসব কাছের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। ফলে মানুষও যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। একে অপরকে কাজে সাহায্য করার মানসিকতা মানুষের ভেতর থেকে উঠে যাচ্ছে। চিত্রটি আমাদের শিকড়ের কথাগুলোই মূলত স্মরণ করিয়ে দেয়, যেখানে কোনো কৃত্রিমতা ছিল না।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়