সুন্দরবনের প্রাণী
৩. কথাগুলো বুঝে নিই।
অস্ট্রেলিয়া :এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার মতো একটি মহাদেশ।
ক্যাঙ্গারু :একমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই পাওয়া যায় এমন একটি প্রাণী। এদের চারটি পা, কিন্তু পেছনের দু-পা বড় আর সামনের দু-পা ছোট। এর ফলে অন্যান্য চতুষ্পদ প্রাণীর মতো হাঁটাচলা করতে পারে না, পেছনের দু-পায়ে ভর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। ক্যাঙ্গারু তার বুকের নিচে একটা থলিতে বাচ্চা রাখে।
চিতাবাঘ : একপ্রকার বাঘ। অন্য বাঘের সঙ্গে চিতাবাঘের পার্থক্য হলো, চিতাবাঘ গাছে উঠতে পারে, অন্যান্য বাঘ পারে না। অন্যান্য বাঘের চেয়ে এরা সবচেয়ে দ্রম্নত দৌড়াতে পারে।
গন্ডার : কালো রঙের চতুষ্পদ প্রাণী, উচ্চতায় ও লম্বায় প্রায় গরুর আকারের। এদের নাকের উপরে শিং থাকে।
প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন :ক্যাঙ্গারু ও সিংহ বললেই কোন কোন দেশের কথা মনে হয়?
উত্তর :ক্যাঙ্গারু বললেই মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার কথা। আর সিংহ বললেই মনে হয় আফ্রিকা মহাদেশের কোনো একটি দেশের কথা।
প্রশ্ন :বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে তুমি যা জানো লেখো।
উত্তর :বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে আমি যা জানি তা নিচে উলেস্নখ করা হলো-
১। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার : এই বাঘের চেহারা ও স্বভাব রাজার মতো। তাই এর নাম রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনে এদের বাস। শিকার করে জীবজন্তু, সুযোগ পেলে মানুষও।
২। চিতাবাঘ : অন্য বাঘের সাথে এর পার্থক্য হলো এটি গাছে উঠতে পারে। অন্যান্য বাঘের চেয়ে দ্রম্নত দৌড়াতে পারে।
৩। ওলবাঘ :একসময় সুন্দরবনে এ বাঘ দেখা যেত। এখন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
৪। মেছোবাঘ :দেখতে অনেকটা চিতাবাঘের মতো। এরা মাছ শিকার করে খায়। তবে নাম মেছো বাঘ হলেও মাছ এদের মূল খাদ্য নয়। এরাও এখন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী।
প্রশ্ন :দেশের জন্য পশুপাখি, জীবজন্তু কী উপকার করে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর :পশুপাখি ও জীবজন্তু দেশের অমূল্য সম্পদ। এরা নানাভাবে দেশের উপকার করে। যেমন-
-পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-এদের থেকে ডিম, দুধ, মাংস ইত্যাদি পাওয়া যায়। এগুলো আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
প্রশ্ন : শকুন কীভাবে মানুষের উপকার করে?
উত্তর : মানুষের পক্ষে যা অনুপযোগী ও ক্ষতিকর সেগুলোকে শকুন নিজের খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এর ফলে আমরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দ্বারা আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাই। এভাবে শকুন মানুষের উপকার করে।
প্রশ্ন : পশুপাখি জীবজন্তু না থাকলে প্রকৃতির কী বিপর্যয় ঘটবে বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর : পশুপাখি জীবজন্তু পরিবেশের প্রাণ। এরা না থাকলে প্রকৃতিতে নানা বিপর্যয় ঘটবে। বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে। এতে মানুষের জীবনও মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।
নিচের বাক্য দুটি পড়ি।
মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর সেইসব আবর্জনা শকুন খেয়ে ফেলে। সে সত্যিকার অর্থে মানুষের উপকার ছাড়া অপকার করে না।
উপরের বাক্য দুটিতে অনেকগুলো শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক-একটি পদ :
শকুন : বিশেষ্য পদ
ক্ষতিকর : বিশেষণ পদ
সে : সর্বনাম পদ
খেয়ে ফেলে : ক্রিয়া পদ
ছাড়া : অব্যয় পদ।
পদ পাঁচ প্রকার : বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, অব্যয়।
নিচের বাক্যগুলোতে কী কী পদ আছে তা লেখো।
সুন্দরবনে বাঘ ছাড়াও আছে নানা রকমের হরিণ। কোনোটার বড় বড় শিং, কোনোটার গায়ে ফোটা ফোটা সাদা দাগ। এদের বলে চিত্রা হরিণ।
সুন্দরবন : বিশেষ্য
বাঘ : বিশেষ্য
হরিণ : বিশেষ্য
শিং : বিশেষ্য
দাগ : বিশেষ্য
বড় : বিশেষণ
সাদা : বিশেষণ
চিত্রা : বিশেষণ
এদের : সর্বনাম
ছাড়াও : অব্যয়
বলে : ক্রিয়া
সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখো।
১. ক্যাঙ্গারু বললেই মনে পড়ে যে দেশের কথা-
ক. ভারত খ. বাংলাদেশ
গ. অস্ট্রেলিয়া ঘ. আফ্রিকা
উত্তর : গ. অস্ট্রেলিয়া
২. আফ্রিকার কথা উঠলে কোন প্রাণীর কথা মনে হয়?
ক. সিংহ খ. হাতি
গ. বাঘ ঘ. উট
উত্তর :ক. সিংহ
৩. বাংলাদেশের কোন জঙ্গলে হাতি দেখতে পাওয়া যায়?
ক. সিলেট ও খুলনার
খ. ভাওয়াল ও মধুপুরের
গ. রাঙামাটি ও বান্দরবানের
ঘ. উপরের সবখানে
উত্তর :গ. রাঙামাটি ও বান্দরবানের
৪. কোন পাখি ক্ষতিকর আবর্জনা খেয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে?
ক. ঈগল খ. শকুন গ. চিল ঘ. কাক
উত্তর : খ. শকুন
৫. কোনোটার বড় বড় শিং, কোনোটার গায়ে ফোটা ফোটা সাদা দাগ, প্রাণীটির নাম কী?
ক. চিতা বাঘ খ. চিত্রা হরিণ গ. ভালস্নুক ঘ. গন্ডার
উত্তর :খ. চিত্রা হরিণ
আমি এমন প্রাণীদের একটি তালিকা তৈরি করি- যাদের নাম শুনেছি, কিন্তু চোখে দেখিনি। পরে শ্রেণির সকলের সাথে তা মিলিয়ে দেখি।
উত্তর : এখানে একটি নতুন তালিকা দেওয়া হলো। নিজে এভাবে একটি তালিকা তৈরি করে বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে দেখো।
ক্যাঙ্গারু, অ্যানাকোন্ডা, গরিলা,র্ যাটল স্নেক, তিমি, হাঙর, ডলফিন, গিনিপিগ, উট, পান্ডা, পেঙ্গুইন, হায়েনা, লেমুর, ঈগল পাখি।
প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন :ক্যাঙ্গারু ও সিংহ বললেই কোন কোন দেশের কথা মনে হয়?
উত্তর :ক্যাঙ্গারু বললেই মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার কথা। আর সিংহ বললেই মনে হয় আফ্রিকা মহাদেশের কোনো একটি দেশের কথা।
প্রশ্ন :বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে তুমি যা জানো লেখো।
উত্তর :বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে আমি যা যা জানি তা নিচে উলেস্নখ করা হলো-
১। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার : এই বাঘের চেহারা ও স্বভাব রাজার মতো। তাই এর নাম রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনে এদের বাস। শিকার করে জীবজন্তু, সুযোগ পেলে মানুষও।
২। চিতাবাঘ : অন্য বাঘের সাথে এর পার্থক্য হলো এটি গাছে উঠতে পারে। অন্যান্য বাঘের চেয়ে দ্রম্নত দৌড়াতে পারে।
৩। ওলবাঘ : একসময় সুন্দরবনে এ বাঘ দেখা যেত। এখন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
৪। মেছোবাঘ : দেখতে অনেকটা চিতাবাঘের মতো। এরা মাছ শিকার করে খায়। তবে নাম মেছো বাঘ হলেও মাছ এদের মূল খাদ্য নয়। এরাও এখন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়