প্রশ্ন : ধর্ম সম্পর্কে মহানবী (সা.) কী উপদেশ দিয়েছেন?
উত্তর : ধর্ম সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, 'ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। নিজের ধর্ম পালন করবে। যারা অন্য ধর্ম পালন করে, তাদের ওপর তোমরা ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করো না।'
প্রশ্ন : কোন চারটি কথা নবীজি (সা.) বিশেষভাবে মনে রাখতে বলেছেন?
উত্তর : নবীজি (সা.) যে চারটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে বলেছেন সেগুলো হলো-
১. আলস্নাহ্ ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না;
২. অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করো না;
৩. পরের সম্পদ আত্মসাৎ করো না;
৪. কারও ওপর অত্যাচার করো না।
প্রশ্ন : তিনি আমাদের কাছে কোন দুইটি জিনিস রেখে গেছেন?
উত্তর : মহানবী (সা.) আমাদের কাছে যে দুইটি জিনিস রেখে গেছেন। সেগুলো হলো-
১. আলস্নাহর বাণী অর্থাৎ আল কোরআন এবং
২. আলস্নাহর প্রেরিত পুরুষ রাসূলের জীবনের আদর্শ।
সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখো।
১. বিদায় হজ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
ক. মদিনায় খ. মক্কায়
গ. আরাফাতের ময়দানে ঘ. জেদ্দায়
উত্তর : গ. আরাফাতের ময়দানে
২. আরাফাতের ময়দানে কত লাখ মানুষ হজ পালন করতে আসেন?
ক. প্রায় এক লাখ খ. প্রায় দুই লাখ
গ. প্রায় তিন লাখ ঘ. প্রায় চার লাখ
উত্তর : খ. প্রায় দুই লাখ
৩. হজরত মুহাম্মদ (সা.) কাদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতে নিষেধ করেছেন?
ক. সৈন্যদের খ. সাহাবিদের
গ. আলেমদের ঘ. ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীদের
উত্তর : ঘ. ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীদের
৪. মহানবী (সা.) কয়টি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে বললেন?
ক. দুইটি খ. চারটি
গ. ছয়টি ঘ. আটটি
উত্তর : খ. চারটি
৫. মহানবীর (সা.) চোখ-মুখ আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠল কেন?
ক. মানুষের কাছে আলস্নাহর বাণী পৌঁছে দেওয়ার জন্য
খ. মক্কা জয়ের আনন্দে
গ. সাহাবিদের নিয়ে হজ পালন করতে পারায়
ঘ. বিদায় হজের ভাষণে বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখে
উত্তর : ক. মানুষের কাছে আলস্নাহর বাণী পৌঁছে দেওয়ার জন্য
নিচের বাক্যগুলো এককথায় প্রকাশ করি।
যার তুলনা হয় না - অতুলনীয়
যার শত্রম্ন জন্মায়নি - অজাতশত্রম্ন
আকাশে যে উড়ে বেড়ায় - খেচর
বিদেশে থাকে যে - প্রবাসী
যা কষ্টে লাভ করা যায় - দুর্লভ
যা জলে চরে - জলচর।
৬. বিরামচিহ্নগুলো চিনে নিই।
বিরামচিহ্নের নাম ু চিহ্নের আকৃতি
কমা ু,
সেমিকোলন ু ;
দাঁড়ি ু।
জিজ্ঞাসা-চিহ্ন ু ?
বিস্ময়-চিহ্ন ু !
বাক্যের অর্থ স্পষ্টভাবে বোঝানোর জন্য বাক্যের মধ্যে বা শেষে আমরা বিরামচিহ্ন ব্যবহার করি। নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্যও এই চিহ্নের জায়গায় আমরা থামি।
নিচের বাক্যগুলো পড়ি এবং ঠিক জায়গায় বিরামচিহ্ন বসাই :
এত বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখে নবীজীর (সা.) মন আনন্দে ভরে গেল এত মানুষ এরা সবাই ইসলাম গ্রহণ করেছে তার মনে হলো হয়তো এটাই তার জীবনের শেষ হজ।
উত্তর : এত বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখে নবীজির (সা.) মন আনন্দে ভরে গেল। এত মানুষ। এরা সবাই ইসলাম গ্রহণ করেছে। তার মনে হলো, হয়তো এটাই তার জীবনের শেষ হজ।
'বিদায় হজ' রচনাটি থেকে শিক্ষণীয় বিষয়গুলো লেখো।
উত্তর : দশম হিজরির যিলকদ মাসে আরাফাতের ময়দানে বিপুল সংখ্যক মানুষের সামনে জাবালে রাহমাত নামক পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে ভাষণ দেন তা-ই বিদায় হজের ভাষণ হিসেবে পরিচিত। এ ভাষণের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো-
১. মানুষ পৃথিবীতে যা কিছু করছে আলস্নাহর কাছে তার হিসাব দিতে হবে।
২. ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা যাবে না।
৩. ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীদের বেলায় খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি ক্ষেত্রে বৈষম্য করা যাবে না।
৪. ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীরা নিজের যোগ্যতায় আমির হলে তাকে যোগ্য মর্যাদা দিতে হবে।
৫. প্রত্যেক মুসলমান ভাই ভাই। কারও সম্পত্তি জোর করে দখল করা যাবে না।
৬. কখনো অন্যায়-অবিচার করা যাবে না।
৭. একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে দায়ী করা যাবে না।
৮. ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না, জোর করে কারও ওপর ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
৯. আলস্নাহ ছাড়া অন্য কারও উপাসনা করা যাবে না।
১০. অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা যাবে না।
১১. কারও ওপর অত্যাচার, কারও সম্পদ অপহরণ করা যাবে না।
১২. জীবনের সব কর্মকান্ডে আলস্নাহর বাণী কোরআন আর তার প্রেরিত পুরুষ রাসূলের জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে।