মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

ঘ. শব্দদূষণ নিরসনে তুমি কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পার তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।

উত্তর : শব্দদূষণ নিরসনে আমারও অনেক কিছু করার আছে। যেমন-

১. বাড়িতে টিভি, সিডি, কম্পিউটার ইত্যাদি উচ্চশব্দে চালাব না।

২. বাড়িতে বা স্কুলে অকারণে হইচই করব না।

৩. সাইকেল চালানোর সময় অপ্রয়োজনে হর্ন বাজাব না।

৪. মাইক ব্যবহার করে শব্দদূষণ ঘটাব না।

৫. শব্দদূষণ বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করব।

যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ

নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ

লস্ন, জ্ব, ব্দ, ন্ত, ত্র।

উত্তর :

লস্ন = ল + ল - উলেস্নখ - বিজ্ঞপ্তিতে সুমনের নাম উলেস্নখ করা হয়েছে।

জ্ব = জ + ব - ফলা ( ্ব ) - জ্বর - সকাল থেকেই জ্বর জ্বর লাগছে।

ব্দ = ব + দ - শতাব্দী - একশ বছরে হয় এক শতাব্দী।

ন্ত = ন + ত - ঘুমন্ত - ঘুমন্ত শিশুটিকে জাগিও না।

ত্র = ত + র-ফলা ( ্র ) - পুত্র - সেলিম চৌধুরী সাহেবের পুত্র।

এককথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন

ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখো।

ডাকিয়া, বাজিতেছে, শুনিলাম, ঘুমাইতেছে, ঘুরিয়া।

উত্তর :

সাধুরূপ চলিত রূপ

ডাকিয়া - ডেকে

বাজিতেছে - বাজছে

শুনিলাম - শুনলাম

ঘুমাইতেছে - ঘুমুচ্ছে

ঘুরিয়া - ঘুরে

বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন

নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখো।

দিন, রাত, ঘুম, গাছ, কবুতর।

উত্তর :

মূল শব্দ সমার্থক শব্দ

দিন - দিবা, দিবস।

রাত - নিশি, যামিনী।

ঘুম - নিদ্রা, তন্দ্রা।

গাছ - তরু, উদ্ভিদ।

কবুতর - পায়রা, কপোত।

নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো।

দিন, ভোর, পলিস্ন, ঘুম, ছোট, গলিপথ।

উত্তর :

মূল শব্দ বিপরীত শব্দ

দিন - রাত

গলিপথ - রাজপথ

ভোর -সন্ধ্যা

ছোট -বড়

পলিস্ন - শহর

ঘুম - জাগরণ

কবিতার চরণ সাজিয়ে লিখন এবং কবিতা, কবির নাম ও প্রশ্নোত্তর লিখন

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

দরজায় বেল বাজে, কান পেতে শোন।

ছোটদের হইচই ইশকুল মাঠে।

ঘুম দেয়া মুশকিল হর্নের হাঁকে।

সিডি চলে, টিভি চলে, বাজে টেলিফোন

গলিপথে ফেরিঅলা হাঁকে আর হাঁটে

শহরের পাতি কাক ডাকে ঝাঁকে ঝাঁকে

ক) কবিতার লাইনগুলো পর পর সাজিয়ে লেখো।

খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?

গ) কবিতাটির কবির নাম কী?

ঘ) শহরে ঘরের ভেতর কীভাবে শব্দদূষণ ঘটে?

উত্তর :

ক) কবিতার লাইনগুলো নিচে পর পর সাজিয়ে লেখা হলো-

\হশহরের পাতি কাক ডাকে ঝাঁকে ঝাঁকে

\হঘুম দেয়া মুশকিল হর্নের হাঁকে।

\হসিডি চলে, টিভি চলে, বাজে টেলিফোন

\হদরজায় বেল বাজে, কান পেতে শোন।

\হগলিপথে ফেরিওয়ালা হাঁকে আর হাঁটে

\হছোটদের হইচই ইশকুল মাঠে।

খ) কবিতাংশটি 'শব্দদূষণ' কবিতার অংশ।

গ) কবিতাটির কবির নাম সুকুমার বড়ুয়া।

ঘ) শহরে ঘরের ভেতর সিডি, টিভি ইত্যাদি শব্দ করে চলে। টেলিফোন ও দরজার বেল যখন তখন বেজে ওঠে। এভাবেই শহরে ঘরের ভেতর শব্দদূষণ ঘটে।

কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।

আষ্টেপৃষ্ঠে - সর্বাঙ্গে, সারা শরীরে।

গর্দান - ঘাড়ের ওপর থেকে মাথা।

গর্জে ওঠা - হুংকার দিয়ে ওঠা।

স্বাদ - খেতে ভালো লাগে এমন।

বিস্বাদ - খেতে মজা নয় এমন।

পুঁটলি - বোঁচকা।

ফরমাস - হুকুম, আদেশ।

ঘোর - অত্যন্ত, অনেক বেশি, গভীর।

আঁস্তাকুড় - ময়লা, আবর্জনা ফেলার জায়গা।

ফুরসত - অবসর, অবকাশ, ছুটি।

টনটন - যন্ত্রণা বোঝায় এমন অনুভূতি।

চিনচিন - অল্প অল্প ব্যথা বা জ্বালা বোঝায় এমন শব্দ।

মায়াবতী - দয়া, মমতা আছে যে নারীর।

কাঁকন - হাতে পরার গহনা।

রক্ষী - প্রহরী, সেনা।

রাজপ্রাসাদ - রাজপুরী বা রাজবাড়ি।

পরস্পর - একের সঙ্গে অন্যের।

২. শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।

ক. তার হাতের রান্না এমন ্ত যে মুখেই তোলা যায় না।

খ. বৃদ্ধ লোকটি তার ্ত সযত্নে একপাশে রেখে দিল।

গ. লোকটির কাজের চাপ এত বেশি যে দম ফেলার ্ত নেই।

ঘ. তার সমস্ত শরীর ব্যথায় ্ত করছে।

ঙ. তারা দুজন ্ত বন্ধু।

চ. গ্রামের মায়া ছেলেটিকে ্ত বেঁধে রেখেছে।

উত্তর : ক. বিস্বাদ; খ. পুঁটলিটি; গ. ফুরসত; ঘ. টনটন; ঙ. পরস্পরের; চ. আষ্টেপৃষ্ঠে।

প্রশ্নের উত্তর :

প্রশ্ন : রাজপুত্র কোথায় বসে রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনত?

উত্তর : রাজপুত্র গাছতলায় বসে রাখালবন্ধুর বাঁশি শুনত।

প্রশ্ন :রাজপুত্র রাখালবন্ধুর কথা ভুলে যায় কেন?

উত্তর : রাজপুত্র একসময় রাজা হয়। লোকলস্কর আর সৈন্য সামন্তে তার রাজপুরী গমগম করে। রাজপুরী আলো করে থাকে রানী কাঞ্চনমালা। চারদিকে সুখ আর সুখ। এমন সুখের মাঝে, রাখালবন্ধুর কথা আর মনে থাকে না রাজার।

প্রশ্ন :রাজা কেন মনে করলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তার এই দশা?

উত্তর : ছোটবেলায় রাখাল বন্ধুর কাছে রাজা একটি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। তা হলো, রাজা হলে তিনি রাখালবন্ধুকে তার মন্ত্রী বানাবেন। কিন্তু রাজা হওয়ার পর তিনি বন্ধুকে ভুলে যান। হঠাৎ একদিন রাজা ঘুম ভেঙে দেখেন তার সারা শরীরে সুচ বেঁধা। রাজা বোঝেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন বলেই তার এই দশা। কথা দিয়ে কথা না রাখলে এভাবেই কষ্ট পেতে হয়। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে