১০. 'পলিস্নর সেই সুরে ভরে যায় মন'-বাক্যটিতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : গ্রামে শব্দ অনেক কম। আর সামান্য যা কিছু শব্দ হয় তা করে নানা রকম পশুপাখি। সেই শব্দে সবার মন ভরে যায়। তাই গ্রামে মনের শান্তি বজায় থাকে।
১১. কোথায় ঘুম দেওয়া মুশকিল?
উত্তর : শহরে ঘুম দেওয়া মুশকিল।
১২. গ্রামে কোন কোন পাখির ডাক শোনা যায়?
উত্তর : গ্রামে দিনভর নানা রকমের পাখির ডাক শোনা যায়। এদের মধ্যে রয়েছে- হাঁস, কবুতর, মোরগ, দোয়েল, চড়ুই, ঘুঘু, টুনটুনি ইত্যাদি।
১৩. শহরের জীবন-জ্বালা কী? পলিস্নর সাথে শহরের পার্থক্য কোথায়?
উত্তর : শব্দদূষণ শহরের জীবন-জ্বালা। পলিস্নতে শব্দদূষণ নেই বলে মনের শান্তি বজায় থাকে। অন্যদিকে শহরে শব্দদূষণের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
কবিতাংশটির মূলভাব লেখো।
উত্তর : কবিতাংশে গ্রাম আর শহরের জীবনের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে। গ্রামে সারাদিন নানা রকম পশু আর পাখির ডাকাডাকির শব্দ শোনা যায়। তা শুনে সবার মন ভরে যায়। অন্যদিকে শহরে নানা রকম বিরক্তিকর শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। এতে মনের শান্তি নষ্ট হয়।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর নির্দিষ্ট একটা শ্রম্নতিসীমা রয়েছে। এই সীমা অতিক্রমকারী কোনো শব্দ আমাদের কানে এসে পৌঁছলে আমাদের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বিষয়টিকেই আমরা শব্দ দূষণ বলি। আমাদের পরিবেশে যদি অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত শব্দ থাকে, তখন তাকে শব্দদূষণ বলা হয়। যানবাহন, কলকারখানা, যন্ত্রপাতি, মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি ইত্যাদি কারণে তীব্র শব্দ উৎপন্ন হয়ে শব্দদূষণ ঘটায়। বাড়িতে উচ্চ শব্দে সিডি, টেলিভিশন ইত্যাদি বাজলে শব্দদূষণ হয়। কান যেকোনো শব্দের ব্যাপারে যথেষ্ট সংবেদী। তাই যে তীব্র শব্দ কানের পর্দাতে বেশ জোরে ধাক্কা দেয় তা কানের পর্দাকে নষ্ট করেও দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ওপর এর প্রভাব অনেক বেশি। শব্দদূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য এবং আচার-আচরণ উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত শব্দের কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাভাবিক কার্যকলাপ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শব্দদূষণের ফলে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ নানা ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। শব্দদূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার জন্য আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। অপ্রয়োজনে গাড়ির হর্ন না বাজানো, বাড়িতে নানা রকম যন্ত্রপাতি জোরে না চালানো, অকারণে হইচই না করা, রাস্তাঘাটে মাইক না বাজানো ইত্যাদির প্রতি মনোযোগী হতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারবে।
সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো।
১. শব্দদূষণ কখন ঘটে?
ক. যখন অপ্রয়োজনীয় ও অনেক বেশি শব্দ সৃষ্টি হয়
খ. যখন খুব কম শব্দ হয়
গ. যখন কোনো শব্দ শোনা যায় না
ঘ. যখন প্রয়োজনীয় ও সীমিত পরিমাণে শব্দ সৃষ্টি হয়
২ . 'হ্রাস' শব্দটির বিপরীত শব্দ কোনটি?
ক. কম খ. বৃদ্ধি
গ. উঁচু ঘ. নিচু
৩. অনুচ্ছেদে মূলত কী প্রকাশিত হয়েছে?
ক. শব্দদূষণের উপকারী দিক খ. শব্দদূষণের সমাধান
গ. শব্দদূষণের অপকারিতা ঘ. শব্দদূষণের কারণ
৪. শব্দদূষণ কমানোর জন্য সবচেয়ে জরুরি কোনটি?
ক. গাড়ি চলা বন্ধ করা খ. জনসচেতনতা সৃষ্টি
গ. কলকারখানা বন্ধ করা ঘ. রাস্তায় বের না হওয়া
৫) আমরা বাড়িতে উচ্চশব্দে গান বাজাব না। কেননা এতে-
ক. গান ঠিকমতো বোঝা যায় না খ. দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়
গ. পরিবেশ দূষিত হয় ঘ. সময় নষ্ট হয়
উত্তর : ১) (ক) যখন অপ্রয়োজনীয় ও অনেক বেশি শব্দ সৃষ্টি হয়; ২) (খ) বৃদ্ধি; ৩) (গ) শব্দদূষণের অপকারিতা; ৪) (খ) জনসচেতনতা সৃষ্টি; ৫) (গ) পরিবেশ দূষিত হয়।
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
নির্দিষ্ট নির্ধারিত।
অবাঞ্ছিত অপ্রিয়, অনাকাঙ্ক্ষিত।
সংবেদী অনুভূতিপ্রবণ।
ব্যাঘাত বাধা, বিঘ্ন।
উগ্র অসহিষ্ণু।
উৎপন্ন সৃষ্ট, উৎপাদিত।
ক. বৃষ্টি আসায় খেলায় ঘটল।
খ. অনুষ্ঠানের জন্য একটি দিন করা হয়েছে।
গ. আচরণকারীদের সবাই অপছন্দ করে।
ঘ. এ বছর দেশে প্রচুর ধান হয়েছে।
ঙ. কিছু আসবাবের কারণে ঘরটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে।
উত্তর : ক) ব্যাঘাত; খ) নির্দিষ্ট; গ) উগ্র; ঘ) উৎপন্ন; ঙ) অবাঞ্ছিত।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. শব্দদূষণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : শ্রম্নতিসীমার চেয়ে উচ্চ মাত্রার শব্দ উৎপন্ন হলে তা আমাদের শ্রবণশক্তির ক্ষতি করতে পারে। এই বিষয়টির নামই শব্দদূষণ। পরিবেশে অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত শব্দ থাকলে শব্দদূষণ সৃষ্টি হয়।
খ. কীভাবে শব্দদূষণ ঘটে? পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : যেভাবে শব্দদূষণ ঘটে তা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো-
১. পরিবেশে যখন প্রয়োজনীয় শব্দের বাইরে অনেক উচ্চমাত্রার শব্দের উৎপত্তি হয় তখনই শব্দদূষণ ঘটে।
২. মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি শব্দদূষণ ঘটাতে পারে।
৩. শব্দদূষণের জন্য মূলত যানবাহন, কলকারখানা, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন বিকট শব্দই দায়ী।
৪. নানা ধরনের পশুপাখির বিরক্তিকর ডাক শব্দদূষণ ঘটায়।
৫. সিডি, টেলিভিশন, রেডিও, দরজার বেল ইত্যাদির উচ্চ আওয়াজে বাড়িতে শব্দদূষণ ঘটে।
গ. শব্দদূষণের ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে? পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : শব্দদূষণের ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে তা নিচে উলেস্নখ করা হলো :
১. শব্দদূষণের ফলে আমাদের কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২. এতে শ্রম্নতিশক্তি কমে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
৩. বিশেষত শিশুদের ওপর এর প্রভাব মারাত্মক।
৪. শব্দদূষণের ফলে মানুষের দুশ্চিন্তা, উচ্চ রক্তচাপ, ঘুমের ব্যাঘাতসহ নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. মানসিক জটিলতা ও নানা আচরণগত সমস্যার উৎপত্তি হতে পারে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়