ভাবুক ছেলেটি
১৪) 'বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর :বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলতে বোঝায় এমন কাহিনী, যা বিজ্ঞানকে প্রধান করে কল্পনার সাহায্য নিয়ে লেখা হয়।
১৫) 'নাইট' উপাধি কী?
উত্তর :'নাইট' উপাধি হলো আগের যুগে ব্রিটিশরাজের অত্যন্ত সম্মানসূচক উপাধি। এই উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের 'স্যার' বলে সম্বোধন করতে হতো।
১৬) জগদীশচন্দ্র বসুর বাবার বাড়ি কোথায়?
উত্তর :জগদীশচন্দ্র বসুর বাবার বাড়ি বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে।
১৭) জগদীশচন্দ্র বসু কোন শাখায় বিএস পাস করেন?
উত্তর :জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞান শাখায় বিএস পাস করেন।
১৮) জগদীশচন্দ্র বসু দীর্ঘ তিন বছর বেতন না নিয়ে কর্তব্য পালন করেন কেন?
উত্তর : জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তখন দেশ ছিল পরাধীন। এ সময় একই পদে একজন ইংরেজ অধ্যাপক যে বেতন পেতেন ভারতীয়রা পেতেন তার তিন ভাগের দুই ভাগ। জগদীশচন্দ্র বসু অস্থায়ীভাবে চাকরি করছিলেন বলে তার বেতনের আরও এক ভাগ কেটে রাখা হতো। এ সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই দীর্ঘ তিন বছর বেতন না নিয়ে কর্তব্য পালন করেন তিনি।
১৯) জগদীশচন্দ্র বসু বিলেতে অধ্যাপনার আমন্ত্রণ পেয়েও সেখানে থাকলেন না কেন?
উত্তর :জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক। তাই বিলেতে অধ্যাপনার আমন্ত্রণ পেলেও তাতে তিনি সাড়া দিলেন না। দেশের কল্যাণের জন্য নিজ দেশে ফিরে এলেন।
২০) জগদীশচন্দ্র বসু কত সালে অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণ করেন?
উত্তর :জগদীশচন্দ্র বসু ১৯১৬ সালে অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
২১) কত সালে জগদীশচন্দ্র দেশে ফিরে আসেন?
উত্তর :১৮৮৫ সালে জগদীশচন্দ্র দেশে ফিরে আসেন।
২২) শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার তাকে কী করেছিলেন?
উত্তর :শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার জগদীশচন্দ্রকে স্বীকৃতি দেন। এরপর সব বকেয়া পরিশোধ করে চাকরিতে স্থায়ী করেন।
২৩) স্যার জগদীশচন্দ্র বসুকে কারা নাইট উপাধি দেয়?
উত্তর : স্যার জগদীশচন্দ্র বসুকে ব্রিটিশ-ভারত সরকার নাইট উপাধি দেয়।
২৪) জগদীশচন্দ্র বসুর কর্মজীবন সম্পর্কে দুইটি বাক্য লেখো।
উত্তর : জগদীশচন্দ্র বসু অধ্যাপনা করতেন। তিনি অবসর গ্রহণের পর বিজ্ঞানমন্দিরে গবেষণা পরিচালনা করতেন।
২৫) কিসের মাধ্যমে জগদীশচন্দ্র বসু সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন?
উত্তর : জগদীশচন্দ্র বসু সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন 'গাছেরও প্রাণ আছে'- এই সত্য প্রমাণ করে।
২৬) ১৮৯৫ সালে জগদীশচন্দ্র বসু কোন ব্যাপারে সাফল্য লাভ করেন?
উত্তর : ১৮৯৫ সালে জগদীশচন্দ্র বসু অতিক্ষুদ্র তরঙ্গসৃষ্টি আবিষ্কার করেন। তারের সাহায্য ছাড়াই তরঙ্গ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণে সাফল্য লাভ করেন।
২৭) বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক অলিভার লজ ও লর্ড কেলভিন জগদীশচন্দ্র বসুকে কিসের আমন্ত্রণ জানান? তাদের আমন্ত্রণে তিনি সাড়া দেননি কেন?
উত্তর : জগদীশচন্দ্র বসুর পান্ডিত্যপূর্ণ বক্তৃতা শুনে চমৎকৃত হন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক অলিভার লজ ও লর্ড কেলভিন। তারা জগদীশচন্দ্র বসুকে বিলেতে অধ্যাপনার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু দেশের কল্যাণের কথা ভেবে তিনি তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দেননি।
২৮) নাইট উপাধি পাওয়ার পর জগদীশচন্দ্র বসুর নামের আগে যুক্ত হয়?
উত্তর : নাইট উপাধি পাওয়ার পর জগদীশচন্দ্র বসুর নামের আগে 'স্যার' উপাধি যুক্ত হয়।
২৯) বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলতে কী বোঝ?
উত্তর : বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলতে বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পনা প্রধান লেখাকে বোঝায়। এতে বিজ্ঞানকে আশ্রয় করে লেখা হলেও এর বাস্তব কোনো ভিত্তি থাকে না।
৩০) জগদীশচন্দ্র বসু আমাদের গৌরব কেন?
উত্তর : মহান বাঙালি বিজ্ঞানী। জগদীশচন্দ্র বসু তার কাজের মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। বিজ্ঞান গবেষণায় তার কৃতিত্ব বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তুলনীয়। তাই জগদীশচন্দ্র বসু আমাদের গৌরব।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ব্রজেন দাস একজন স্বনামধন্য বাংলাদেশি সাঁতারু। তিনিই প্রথম দক্ষিণ এশীয় ব্যক্তি যিনি সাঁতার কেটে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে অবস্থিত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। ১৯৫৮ সালের ১৮ আগস্ট তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৯৫৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমের সাঁতার প্রতিযোগিতায় মোট ২৩টি দেশ অংশ নেয়। পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে তাতে অংশ নেন ব্রজেন দাস। ১৮ আগস্ট প্রায় মধ্যরাতে ফ্রান্সের তীর থেকে প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। প্রচন্ড প্রতিকূল পরিবেশে সাঁতার কেটে তিনি পরদিন বিকাল বেলা প্রথম সাঁতারু হিসেবে ইংল্যান্ড তীরে এসে পৌঁছান। পরের মাসেই তিনি ইংলিশ চ্যানেলকে ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্সে সাঁতার কেটে পার করেন। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়