গ) ইতিহাস বিখ্যাত স্থান পরিদর্শনের গুরুত্ব পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর :ইতিহাস বিখ্যাত স্থান পরিদর্শনের গুরুত্ব নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো-
১) ঐতিহাসিক স্থানটির অতীত সম্পর্কে জানা যায়।
২) অতীত ও বর্তমানের মধ্যে তুলনা করা যায়।
৩) ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করা যায়।
৪) অতীতের ভুল পর্যালোচনা করে শিক্ষা নেওয়া যায়।
৫) ঐতিহাসিক অনেক কিছু সরাসরি দেখা যায়।
ঘ) বাংলাদেশের পুরাকীর্তিগুলোর উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
উত্তর :বাংলাদেশের পুরাকীর্তিগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেমন-
১) বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।
২) পুরাকীর্তিগুলো সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে এসব বিখ্যাত স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
নিচের যুক্ত বর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
হ্ম, শ্ব, ষ্ক, দ্ম, ত্ন, ত্ত্ব, ষ্ঠ, স্থ, শ্চ।
উত্তর :
হ্ম = হ + ম- ব্রাহ্মণ
ব্রাহ্মণরা নিজেদের উঁচু শ্রেণির মানুষ বলে ভাবে।
শ্ব = শ + ব-ফলা ( ্ব ) - বিশ্ব
বিশ্বে সাতশ' কোটির বেশি মানুষের বাস।
ষ্ক = ষ + ক - দুষ্কর
কাজটি খুব দুষ্কর।
দ্ম = দ + ম - ছদ্মবেশ
ছদ্মবেশের কারণে তাকে চিনতে পারিনি।
ত্ন = ত + ন - যত্ন - মা আমাকে অনেক যত্ন করেন।
ত্ত্ব = ত + ত + ব - তত্ত্বাবধান
সেলিম স্যার বনভোজনের তত্ত্বাবধান করছেন।
ষ্ঠ = ষ + ঠ -গোষ্ঠী
বাংলাদেশে আছে নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ।
স্থ = স + থ - অস্থির
চড়ুই অস্থির স্বভাবের পাখি।
শ্চ = শ + চ - পশ্চিম
শিক্ষাগুরুর মর্যাদা
শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
কুমার, শাহজাদা, বারি, চরণ, শির, শাহানশাহ, প্রক্ষালন, কুর্নিশ
উত্তর :
প্রদত্ত শব্দ অর্থ
কুমার পুত্র, ছেলে
শাহজাদা রাজার ছেলে
বারি পানি
চরণ পা
শির মাথা
শাহানশাহ বাদশাহ, রাজা
প্রক্ষালন ধৌত করা
কুর্নিশ মাথা নিচু করে শ্রদ্ধা জানানো
শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
কুমার বারি চরণ শির শাহানশাহ কুর্নিশ
ক. পিতার ---- হাত রেখে পুত্র দোয়া চাইল।
খ. বর্ষাকালে প্রবল ---- বর্ষণ হয়।
গ. আগের দিন হাতি-ঘোড়া চড়ে----শিকারে যেতেন।
ঘ. উজির বাদশাহকে ----- করলেন।
\হঙ. ----আলমগীর ছিলেন একজন মহৎপ্রাণ শাসক।
\হচ. অন্যায়ের কাছে কখনো -----নত করব না।
\হউত্তর :
\হক. পিতার চরণে হাত রেখে পুত্র দোয়া চাইল।
\হখ. বর্ষাকালে প্রবল বারি বর্ষণ হয়।
গ. আগের দিনে হাতি-ঘোড়া চড়ে কুমার শিকারে যেতেন।
\হঘ. উজির বাদশাহকে কুর্নিশ করলেন।
\হঙ. শাহানশাহ আলমগীর ছিলেন একজন মহৎপ্রাণ শাসক।
\হচ. অন্যায়ের কাছে কখনো শির নত করব না।
প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি।
প্রশ্ন :বাদশাহ আলমগীরের পুত্রকে কে পড়াতেন?
উত্তর :বাদশাহ আলমগীরের পুত্রকে পড়াতেন এক মৌলবি।
প্রশ্ন :একদিন সকালে বাদশাহ কী দেখতে পেলেন?
উত্তর :একদিন সকালে বাদশাহ আলমগীর দেখতে পেলেন, রাজকুমার তার মৌলবি শিক্ষকের পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছে আর শিক্ষক নিজে হাত দিয়ে পা ধৌত করছেন।
প্রশ্ন :বাদশাহকে দেখে শিক্ষক প্রথমে কী ভাবলেন?
উত্তর :বাদশাহকে দেখে শিক্ষক প্রথমে খানিকটা ভয় পেয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন দিলিস্নর শাহানশাহের পুত্রকে দিয়ে নিজ পায়ে পানি ঢালিয়েছেন এটা খুবই স্পর্ধার কাজ। এ জন্য হয়তো তিনি শাস্তিও পেতে পারেন।
প্রশ্ন : 'প্রাণের চেয়েও মান বড়'- শিক্ষক এ কথা বললেন কেন?
উত্তর : মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব মর্যাদা রয়েছে। এ মর্যাদা প্রাণের চেয়ে অনেক সময় বড় হয়ে দাঁড়ায়। আলোচ্য কবিতায় আমরা দেখি, এক শিক্ষক দিলিস্নর শাহানশাহের পুত্রকে দিয়ে নিজ পায়ে পানি ঢালিয়েছেন; এটা খুবই স্পর্ধার কাজ। এ জন্য হয়তো তিনি শাস্তিও পেতে পারেন। কিন্তু একটু পরেই তার মাথায় অন্য ভাবনা এলো। তিনি চিন্তা করলেন, শিক্ষক হিসেবে তার মর্যাদা সবার উপরে, তাই বাদশাহকে ভয় করার কোনো কারণ নেই। বাদশাহ অন্যায়ভাবে প্রাণদন্ড দিতে চাইলেও তিনি ভীত হবেন না। কারণ প্রাণের চেয়েও সম্মান অনেক বড়।
প্রশ্ন : বাদশাহ আলমগীর শিক্ষককে প্রথমে কী বললেন?
উত্তর : বাদশাহ আলমগীর মৌলবিকে রাজদরবারে ডেকে নিয়ে বললেন, জনাব আমার পুত্র আপনার কাছ থেকে ভদ্রতা বা সৌজন্য কিছুই শেখে নাই। বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনদের প্রতি অবহেলা। তিনি বোঝাতে চাইলেন যে, রাজকুমার নিজ হাতে শিক্ষকের পা ধুইয়ে না দিয়ে বেয়াদবি করেছে। আর এজন্য দায়ী হচ্ছেন স্বয়ং শিক্ষক।
প্রশ্ন : শিক্ষক কী বলে বাদশাহর সুনাম করলেন?
উত্তর : শিক্ষক বাদশাহকে কুর্নিশ করে বলে উঠলেন, বাদশাহ আপনি অনেক মহৎ, অনেক উদার। আজ থেকে আপনি শিক্ষাগুরুর মর্যাদাকে চির উন্নত করলেন। কবির ভাষায়,
\হ'আজ হতে চির উন্নত হলো শিক্ষাগুরুর শির
\হসত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর।'
পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়