শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

সপ্তম শ্রেণির বাংলা

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
  ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
সপ্তম শ্রেণির বাংলা

যতিচিহ্ন ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ লিখি

একটি অনুচ্ছেদ লেখো যেখানে বিভিন্ন রকম যতিচিহ্নের ব্যবহার আছে : (মূল বইয়ের ৫৪ নম্বর পৃষ্ঠা)

একদেশে ছিল এক রাজা, তার নাম ইন্দ্রজিৎ। তিনি ছিলেন শান্তিপ্রিয়, প্রজাদরদী এবং মহানুভব। পাশাপাশি জ্ঞান-বুদ্ধিতেও তার ছিল অনেক নাম-ডাক। যেহেতু তিনি প্রজাদের অনেক ভালোবাসতেন; প্রজারাও তাদের মহারাজকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসত। যার কারণে রাজ্যের যেকোন প্রয়োজনে রাজা ইন্দ্রজিৎ প্রজাদের পাশে পেতেন। কিন্তু হায়! রাজার ছোট ভাই ছিলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী। সিংহাসন লাভে তার ছিল প্রচন্ড লোভ।

তার ষড়যন্ত্রে রাজ্যে বহিশত্রম্ন আক্রমণ করে। এসময় রাজা ইন্দ্রজিৎ তার প্রজাদের ডেকে বলেন, 'আজ আমাদের এ রাজ্যে বহিশত্রম্নর কুদৃষ্টি পড়েছে। তাই আমাদের এই মা-মাটি বাঁচাতে সবাইকে একত্রিত হয়ে শত্রম্নর মোকাবিলা করতে হবে।' তিনি প্রজাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চান, 'তোমরা কি দেশ রক্ষার এ যুদ্ধে আমার পাশে থাকবে?' তখন প্রজারা চিৎকার করে তাদের সমর্থনের কথা রাজার কানে পৌঁছে দেয়; রাজা এবং তার প্রজারা মিলে দেশরক্ষায় শত্রম্নর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়- প্রচুর প্রাণহানি এবং সম্পদহানী ঘটে। কিন্তু তারপরেও রাজা ইন্দ্রজিৎয়ের যোগ্য নেতৃত্ব এবং প্রজাদের অসীম সাহসিকতায় তারা জয়লাভ করে। ফলে তাদের রাজ্য শত্রম্নমুক্ত হয়।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ

শামসুজ্জামান খানের জন্ম ১৯৪০ সালে এবং মৃতু্য ২০২১ সালে। প্রবন্ধ রচনায় ও লোকসাহিত্য গবেষণায় তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। তাঁর উলেস্নখযোগ্য বইয়ের মধ্যে আছে 'ফোকলোর চর্চা', 'বাংলা সন ও তার এতিহ্য' 'গ্রাম বাংলার রঙ্গরসিকতা' ইত্যাদি। নিচে তাঁর লেখা একটি প্রবন্ধ দেওয়া হলো।

শব্দের অর্থ

আবহমান : চিরকালীন।

আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা : সব বয়সের নারী-পুরুষ

ইলাহি সন : সম্রাট আকবরের চালু করা সাল।

ঐতিহ্য : গর্ব করার মতো পুরাতন বিষয়।

কবিগান :প্রতিযোগিতামূলক এক ধরনের লোকগান।

কারুপণ্য :কাঠ, বাঁশ, বেত ও মাটি দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র।

কীর্তন : রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গান।

গম্ভীরা : অভিনয়-ভিত্তিক এক ধরনের লোকগান।

চান্দ্র হিজরি সন : চাঁদের হিসাবের সাথে মিল রেখে তৈরি হিজরি সন।

ছায়ানট : ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।

জাতিসত্তা : জাতির নিজস্ব পরিচয়।

'জোলুস : জঁকজমক।

ঝালর কাটা : নকশা করে কাটা।

ধুমধাম : আড়ম্বর।

ধূপধুনা : সুগন্ধি দ্রব্য।

নাগরদোলা : চত্রাকারে ঘোরার দোলনা।

নেকমরদ : জায়গার নাম।

পরিপন্থী : বিরোধী।

পাকিস্তান আমল : ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। অনুষ্ঠান।

পুতুল নাচ : কাপড় দিয়ে তৈরি করা পুতুল দিয়ে দেখানো নাচ।

পূর্ববাংলা : পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশ যে নামে পরিচিত ছিল।

প্রতীকধর্মী : যা কোনো বিষয়কে ইঙ্গিত করে।

প্রবর্তন করা : চালু করা।

ফুঁসে ওঠা : প্রতিবাদী হওয়া।

বর্ণাঢ্য : বিচিত্র রঙযুক্ত।

বৈসাবি : বৈসুব, সাংগ্রাই ও বিজু নামের তিনটি অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত নাম।

মঙ্গল শোভাযাত্রা : পহেলা বৈশাখে আয়োজিত আনন্দ মিছিল।

মুখর : কোলাহলপূর্ণ।

মুখ্যমন্ত্রী : পাকিস্তান আমলে পূর্ববাংলার সরকার-প্রধানের পদ।

যাত্রা : এক ধরনের লোকনাটক।

যুক্তফ্রন্ট সরকার : ১৯৫৪ সালে পূর্ববাংলায় গঠিত একটি বহুদলীয় সরকার।

রমনা : ঢাকার একটি জায়গার নাম।

লুপ্ত হওয়া : হারিয়ে যাওয়া।

সমকালীন : একই সময়ের।

সমন্বয় করা : মিল করা।

প্রবন্ধ বুঝি

শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী তোমরা দলে ভাগ হও। উপরের প্রবন্ধে কী বলা হয়েছে, তা দলে আলোচনা করে বোঝার চেষ্টা করো। কোন দল কেমন বুঝতে পেরেছ, তা যাচাই করার জন্য এক দল অপর দলকে প্রশ্ন করবে। এজন্য আগেই দলে আলোচনা করে কাগজে প্রশ্নগুলো লিখে রাখো। (মূল বইয়ের ১৬৭ নম্বর পৃষ্ঠা)

১. 'বাংলা নববর্ষ' রচনাটির লেখক কে?

উত্তর : 'বাংলা নববর্ষ' রচনাটির লেখক শামসুজ্জামান খান।

২. 'বাংলা নববর্ষ' কোন ধরনের রচনা?

উত্তর : এটি একটি প্রবন্ধ।

৩. বাঙালিদের প্রধান জাতীয় উৎসব কোনটি?

উত্তর : 'বাংলা নববর্ষ'

৪. কখন বাঙালিকে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে বাধা প্রদান করা হয়?

উত্তর : পাকিস্তানি আমলে।

৫. কে এবং কখন বাংলা সন চালু করেন?

উত্তর : সম্রাট আকবর ১৫৫৬ সালে বাংলা সন চালু করেন।

৬. 'সন' বা 'সাল' শব্দ কোন ভাষার শব্দ?

উত্তর : ফারসি ভাষার শব্দ।

৭. কখন থেকে রমনা বটমূলে নববর্ষ উৎসব শুরু হয়?

উত্তর : ১৯৬৭ সাল থেকে।

৮. 'পুণ্যাহ' অনুষ্ঠানকে চালু করেন?

উত্তর : 'পুণ্যাহ' অনুষ্ঠান নবাব এবং জমিদারগণ চালু করেন।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে