সপ্তম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
প্রশ্ন: একটি গল্প লেখার সময় তোমাকে কী কী বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করতে হবে তা বুঝিয়ে লেখো। উত্তর: একটি গল্প লেখার সময় একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে লিখতে হবে। কাহিনি খুব দীর্ঘ করা যাবে না। গল্পে চরিত্র সংখ্যা কম থাকতে হবে। কাহিনির ভেতরে কোনো উপকাহিনি আনা যাবে না। গল্পে মানানসই সংলাপ রাখতে হবে। একটি গল্প লেখার সময় এই বিষয়গুলো আমাকে অনুসরণ করতে হবে। প্রশ্ন: আষাঢ়ের এক রাতে' রচনাটিকে গল্প কেন বলব? বুঝিয়ে লেখো। উত্তর: 'আষাঢ়ের এক রাতে' রচনাটি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর রচিত। ছোট একটি ঘটনা নিয়ে এর কাহিনি নির্মিত হয়েছে। এই গল্পের চরিত্রসংখ্যাও কম। এই রচনায় কোনো শাখা কাহিনি বা উপকাহিনি নেই। এখানে আবুর জীবনের পুরো ঘটনা উঠে আসেনি। শুধু আষাঢ়ের সেই রাতে ভাইয়ের সঙ্গে মৌরী বিলে মাছ ধরার ঘটনাটির বর্ণনা আছে। গল্পটি শেষ হয়েছে নাটকীয়ভাবে, যা পাঠকের মনে অতৃপ্তির জন্ম দেয়। আবু বাড়ি ফিরে গেলে কী হয়েছিল তা জানার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। একটি আদর্শ গল্পের সকল বৈশিষ্ট্যই 'আষাঢ়ের এক রাতে' গল্পে রয়েছে। তাই এই রচনাটিকে আমরা গল্প বলব। ৩য় অধ্যায় ৪র্থ পরিচ্ছেদ যতিচিহ্ন যতিচিহ্নকে বিরাম চিহ্নও বলা হয়। বিরাম অর্থ থামা বা বিশ্রাম নেওয়া। আমরা এক নাগাড়ে বিরতিহীনভাবে পড়তে পারি না। আবার কোনো কিছু একটানা পড়া সম্ভবও নয়। এজন্য বাক্যের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী থামার সংকেত প্রদান করে যেসব সাংকেতিক চিহ্ন, তাদের যতিচিহ্ন বলে। সহজভাবে বললে দাড়ি (।), কমা (,), হাইফেন (-), সেমিকোলন (;) ইত্যাদি যতিচিহ্ন। এরা বাক্যের অন্তর্নিহিত ভাব বুঝতেও সাহায্য করে। যেমন, কোনো বাক্যে আবেগসূচক চিহ্ন দ্বারা ওই বাক্যের অন্তর্নিহিত ভাব বোঝা যাবে। উদাহরণস্বরূপ : বাহ! কি চমৎকার কবিতা। যথাযথ বিরামচিহ্ন বসাও:(মূল বইয়ের ৫০ নম্বর পৃষ্ঠা) ১. এক দেশে ছিল এক রাজা। ২. লোকটিকে মুদি দোকান থেকে চাল, ডাল, ডিম আর আলু কিনতে দেখলাম। ৩. পারুল গল্প লেখে, আমি কবিতা লিখি। ৪. আপনি কখন এলেন? ৫. বলো কী! এই কলমের দাম একশ' টাকা? ৬. ভালো-মন্দ নিয়েই আমাদের সমাজ। ৭. আমার বড় চাচা; যিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন, গতকাল বাড়ি ফিরেছেন। ৮. প্রমিত ভাষার দুই রূপ; কথ্য ও লেখ্য। ৯. মা বললেন, 'তুমি দাঁড়াও, আমি আসছি'। সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করো :(মূল বইয়ের ৫০ নম্বর পৃষ্ঠা) ১. যতিচিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয়? উত্তর: বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝার জন্য বাক্যের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়। ২. মুখের ভাষায় যতিচিহ্ন লাগে না কেন? উত্তর: মানুষ যখন কথা বলে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সে প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে বিরাম নেয়। তাই মুখের ভাষায় যতিচিহ্নের প্রয়োজন নেই। ৩. লেখার ভাষায় যতিচিহ্ন কেন দিতে হয়? উত্তর: লেখক কী লিখেছেন তা স্পষ্টাভাবে বোঝার জন্য লেখার ভাষায় যতিচিহ্ন দিতে হয়। ৪. বাক্যের শেষে কোন কোন যতিচিহ্ন বসে? উত্তর: বাক্যের শ্রেণি অনুযায়ী বাক্যের শেষে বিভিন্ন প্রকার যতিচিহ্ন বসে। যেমন- ক. বিবৃতিমূলক বাক্যের শেষে (।) দাঁড়ি যতিচিহ্ন বসে। খ. প্রশ্নবোধাক বাক্যের শেষে (?) জিজ্ঞাসা যতিচিহ্ন বসে। গ. আশ্চর্যবোধক বাক্যের শেষে (!) আবেগসূচক যতিচিহ্ন বসে। ৫. বাক্যের ভেতরে কোন কোন যতিচিহ্ন বসে? উত্তর: বাক্যের ভেতরে বিভিন্ন প্রকার যতিচিহ্ন বসে। যেমন- কমা (,), কোলন (:), সেমি-কোলন (;), হাইফেন (-), ড্যাশ (্ত), উদ্ধারচিহ্ন (''), বিন্দু (.) ইত্যাদি। কোথায় কোন যতিচিহ্ন বসে ১. আবেগ শব্দ ও আবেগবাচক বাক্যের শেষে- বিস্ময়চিহ্ন (!) ২. উদাহরণ দেওয়ার আগে- কোলন (:) ৩. এক ধরনের কয়েকটি শব্দ পরপর থাকলে- কমা (,) ৪. একজোড়া শব্দের মাঝখানে- হাইফেন (-) ৫. দুটি বাক্য এক করতে- ড্যাশ (্ত) ৬. নাটকের সংলাপে চরিত্রের নামের পরে- কোলন (:) ৭. পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটি বাক্যের মাঝে- সেমিকোলন (;) ৮. প্রশ্নবাচক বাক্যের শেষে- প্রশ্নচিহ্ন (?) ৯. বইয়ের নামে- উদ্ধারচিহ্ন ('') ১০. বক্তার সরাসরি কথা বোঝাতে- উদ্ধারচিহ্ন ('') ১১. বাক্যের বিভিন্ন অংশকে আলাদা করতে- কমা (,) ১২. বিবৃতিবাচক ও অনুজ্ঞাবাচক বাক্যের শেষে- দাঁড়ি (।) ১৩. শব্দ সংক্ষেপ করার কাজে- বিন্দু (.) যতিচিহ্ন বসাই নিচের অনুচ্ছেদে কিছু যতিচিহ্ন বসানো আছে, কিছু যতিচিহ্ন বসানো নেই। বাদ পড়া যতিচিহ্নগুলো বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখো :(মূল বইয়ের ৫৪ নম্বর পৃষ্ঠা) আকমল স্যার সেদিন ক্লাসে এসে বললেন, শোনো ছেলে মেয়েরা, তোমাদের জন্য একটা খুশির খবর আছে সব শিক্ষার্থী খুশির খবরটা শোনার জন্য তাঁর দিকে তাকিয়ে রইল। স্যার বললেন, স্কুল থেকে প্রতিটি শ্রেণিতে একটি করে বুক-সেলফ দেওয়া হচ্ছে বিনু বলল বুক-সেলফ দিয়ে কী হবে, স্যার? স্যার বললেন, এই বুক-সেলফে আমরা নানা রকম বই রাখব। গল্প কবিতা প্রবন্ধ নাটক পছন্দমতো যে কোনো ধরনের বই আমরা রাখতে পারি। শানু প্রশ্ন করল বইগুলো আমরা কোথায় পাব, স্যার স্যার বললেন, তোমরা প্রত্যেকে একটি করে বই জমা দেবে সেসব বই এই সেলফে থাকবে। এভাবে আমরা একটি ক্লাসরুম লাইব্রেরি গড়ে তুলব এই সেলফ থেকে বই নিয়ে সবাই পড়তে পারবে। মিতু খুশি খুশি গলায় বলল, বাহ্‌ দারুণ হবে। উত্তর: আকমল স্যার সেদিন ক্লাসে এসে বললেন, শোনো ছেলে-মেয়েরা, তোমাদের জন্য একটা খুশির খবর আছে। সব শিক্ষার্থী খুশির খবরটা শোনার জন্য তার দিকে তাকিয়ে রইল। স্যার বললেন, স্কুল থেকে প্রতিটি শ্রেণিতে একটি করে বুক-সেলফ দেওয়া হচ্ছে। বিনু বলল, 'বুক-সেলফ দিয়ে কী হবে, স্যার'? স্যার বললেন, 'এই বুক-সেলফে আমরা নানা রকম বই রাখব। গল্প কবিতা প্রবন্ধ নাটক পছন্দমতো যে কোনো ধরনের বই আমরা রাখতে পারি'। শানু প্রশ্ন করল, 'বইগুলো আমরা কোথায় পাব, স্যার'? স্যার বললেন, 'তোমরা প্রত্যেকে একটি করে বই জমা দেবে, সেসব বই এই সেলফে থাকবে। এভাবে আমরা একটি ক্লাসরুম লাইব্রেরি গড়ে তুলব; এই সেলফ থেকে বই নিয়ে সবাই পড়তে পারবে'। মিতু খুশি-খুশি গলায় বলল, 'বাহ্‌ দারুণ হবে'! হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়