৪. 'আষাঢ়ের এক রাতে' গল্পের সঙ্গে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো।
উত্তর: 'আষাঢ়ের এক রাতে' গল্পের মতো আমাদের বাড়ির পেছনেও একটি বিল রয়েছে। বর্ষার শেষে পানি কমে গেলে সেখানে নানা ধরনের মাছ ধরা পড়ে। বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরতে হয়। পানি বেশি থাকলে রাতের বেলায় বড়শিতে টোপ দিয়ে বেঁধে রাখতে হয় সকালে গিয়ে মাছ নিয়ে আসা যায়। আবার 'আষাঢ়ের এক রাতে গল্পের আবুর মতো ছোটোবেলায় আমার ওপরেও কেউ ভরসা করতে চাইত না। ধীরে ধীরে তাদের ধারণার পরিবর্তন হয়েছে।
বড় প্রশ্ন
প্রশ্ন: কোনো গল্প বলতে হলে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়?
উত্তর: একটি গল্পের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকতে হয়-
ক. গল্পের কাহিনি ও চরিত্র থাকতে হবে।
খ. গল্পের কাহিনি বাস্তবজীবন ভিত্তিক হতে পারে আবার কল্পিতও হতে পারে।
গ. গল্পে একটিমাত্র বিষয় বা পস্নট থাকে।
ঘ. চরিত্রের সংখ্যা কম হতে হবে।
ঙ. গল্পের মধ্যে কোনো উপকাহিনি স্থান পায় না।
প্রশ্ন: এই গল্পের সঙ্গে কবিতার মিল ও অমিল কী?
উত্তর:গল্পের সঙ্গে কবিতার মিল ও অমিলসমূহ নিম্নরূপ:
গল্প ও কবিতার মিল: গল্পে একজন লেখকের চিন্তা ও অনুভূতিগুলোর সুস্পষ্ট রূপ প্রকাশ পায়। কবিতাতেও একই ঘটনা ঘটে। কবিতার মতো গল্পও হয় সংক্ষিপ্ত।
গল্প ও কবিতার অমিল : কবিতায় ছন্দের ব্যবহার করা হয়, গল্পে তা হয় না। সাধারণ কবিতা গল্পের চেয়েও সংক্ষিপ্ত হয়। গল্পের ভাষা হয় সরল, অপরদিকে কবিতার ভাষা হয় কাব্যিক।
প্রশ্ন: কোন ধরনের গল্প পড়তে তোমার ভালো লাগে? কেন ভালো লাগে তা লেখো।
উত্তর: আমার ডিটেকটিভ বা গোয়েন্দা গল্প পড়তে ভালো লাগে। গোয়েন্দা গল্পে অকুতোভয় গোয়েন্দারা বিভিন্ন রহস্যের সমাধান বের করে আনেন। তাদের অভিযানের কাহিনি পড়ে আমার ভেতরেও রোমাঞ্চ কাজ করে। এজন্য ডিটেকটিভ বা গোয়েন্দা গল্প আমার ভালো লাগে।
প্রশ্ন: প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখো। অসোয়াস্তি, কুঁচো, কাফেলা, জয়িফ, প্রৌঢ়।
উত্তর: অসোয়াস্তি ্ত খারাপ লাগা; কুঁচো- ছোটো; কাফেলা ্ত পথিকের দল; জয়িফ ু অতি বৃদ্ধ; প্রৌঢ় ু মধ্যবয়সি।
প্রশ্ন: 'তোলপাড়' গল্পটি পড়ে বুঝে নিয়ে দুটি দলে ভাগ হও। এরপর গল্পটি কেমন বুঝতে পেরেছ তা যাচাই করার জন্য একদল আরেক দলকে নিচের প্রশ্নগুলো করো এবং উত্তর দাও।
ক. 'তোলপাড়' গল্পটি কোন সময়ের প্রেক্ষাপটে রচিত?
উত্তর:গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত।
খ. পঁচিশে মার্চের রাতে কী ঘটেছিল?
উত্তর: পঁচিশে মার্চের রাতে পাঞ্জাবি বাহিনী ঢাকায় গণহত্যা চালিয়েছিল। যাকে যেখানে জীবন্ত পাচ্ছিল, গুলি করে হত্যা করছিল।
গ. পলায়নরত মানুষদের সাবু কীভাবে সাহায্য করছিল?
উত্তর: পলায়নরত মানুষের সাবু মুড়ি খাইয়ে ও পানি দিয়ে সাহায্য করেছিল।
ঘ. 'তোলপাড়' গল্পটির প্রধান বিষয় কী?
উত্তর: পঁচিশে মার্চের গণহত্যা শুরু হলে ঢাকার মানুষ যখন ঢাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করে নানা দুর্দশা ও সংকটে পড়ে তা-ই গল্পের প্রধান বিষয়।
ঙ. সাবুর বুকে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় কেন?
উত্তর: পাঞ্জাবি মিলিটারির মোকাবিলা করার জন্য সাবুর বুকে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। কেননা, ওরা জানোয়ার, ওরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি জুলুম করেছে; যাকে যেখানে পাচ্ছে গুলি করে হত্যা করছে। ভীত হয়ে, প্রাণের মায়ায় নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ সকলে ঘরহীন হয়ে পালাচ্ছে অজানার উদ্দেশে। তাই ক্রোধে ও আক্রোশে সাবুর বুকে তোলপাড় শুরু হয়।
প্রশ্ন: তোমার লেখা রচনাটি গল্প কি না তা তুমি কীভাবে বুঝবে? গল্পের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখাও।
উত্তর: আমার লেখা রচনাটি একটি গল্প। কারণ একটি গল্পের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকতে হয় তার সবক'টিই আমার গল্পে রয়েছে। রচনাটি একটি বিষয়ে কেন্দ্র করে লিখিত হয়েছে। একটি সুনির্দিষ্ট কাহিনি আছে এবং রচনাটির আয়তন ছোট। রচনাটির চরিত্র সংখ্যা কম এবং মানানসই সংলাপের ব্যবহার হয়েছে। তাই আমার লেখা রচনাটি একটি গল্প।
প্রশ্ন: তুমি কি কখনো অন্যকে সাহায্য করেছ? অন্যকে সাহায্য করলে মনে কী ধরনের বোধ তৈরি হয়?
উত্তর: আমি সুযোগ পেলেই অন্যকে সাহায্য করে থাকি। একবার একজন বৃদ্ধ চাচাকে সাহায্য করেছিলাম, বাজার করে বাড়ি ফেরার সময় ভারী ব্যাগ নিয়ে হেঁটে যেতে তার কষ্ট হচ্ছিল। আমি কিছু জিনিস তার কাছ থেকে নিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলাম। তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। অন্যকে সাহায্য করতে পারলে মনের মধ্যে আনন্দবোধ তৈরি হয়।
প্রশ্ন: 'তোলপাড়' গল্পের মতো আমাদের দেশে যদি আবারও যুদ্ধ শুরু হয়, তুমি কী করবে?
উত্তর: 'তোলপাড়' গল্পের মতো যদি আমাদের দেশে আবারও যুদ্ধ শুরু হয়, তবে আমি আমার সাধ্যমতো দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার অবস্থায় থাকে, আমি তাদের সাহায্য করব। আমার নিজ পরিবার ও প্রতিবেশীদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করব।
প্রশ্ন: প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখো। কিষাণ, খালুই, ফাতনা, মাথাল, হাল।
উত্তর: কিষাণ - কৃষি-মজুর; খালুই-মাছ রাখার ঝুড়ি; ফাতনা- বড়শির সুতায় বাঁধা ভাসমান কাঠি বা শোলা; মাথাল ু রোদ-বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচানোর জন্য বাঁশ বা পাতা দিয়ে তৈরি টুপি;
হাল- নৌকার দিক ঠিক রাখার জন্য বিশেষ বৈঠা।
প্রশ্ন : 'আষাঢ়ের এক রাতে' গল্পটি পড়ে বুঝে নিয়ে দুটি দলে ভাগ হও। এরপর গল্পটি কেমন বুঝতে পেরছ তা যাচাই করার জন্য একদল আরেক দলকে নিচের প্রশ্নগুলো করো এবং উত্তর দাও।
ক. 'আষাঢ়ের এক রাতে' গল্পটি কোন প্রেক্ষাপটে রচিত?
উত্তর: গল্পটি গ্রামের প্রেক্ষাপটে রচিত।
খ. গল্পের মূল বিষয়বস্তু কী?
উত্তর: বর্ষা রাতে মৌরী বিলে কয়েকজন কিশোরের মাছ ধরার ঘটনা।
গ. আবু নৌকার খোলের মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে শুয়েছিল কেন?
উত্তর: আবু ছোট বলে রাতের বেলা তাকে মাছ ধরতে বিলে নেওয়া হবে না বলে চুপিচুপি গিয়ে নৌকার খোলের মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে শুয়েছিল।
ঘ. আবু ছাড়া আর কে কে বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিল?
উত্তর: আবুর ভাই সাজেদ, বিপুল, বায়েজিদ ও তিন বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিল।
ঙ. মাছ ধরতে সাজেদরা কী কী জিনিস সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল?
উত্তর: মাছ ধরতে সাজেদরা সঙ্গে নিয়েছিল কয়েক রকম জাল, হারিকেন, মাছ আনার বড় বড় খালুই, রাতের খাবার ও অতিরিক্ত দুটো বৈঠা।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়