১০) 'মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি'- প্রচলিত এই কথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয়?
উত্তর : মামার বাড়ি সবার কাছেই স্বপ্নময় একটি জায়গা। মামার বাড়িতে আদর, ভালোবাসা আর আপ্যায়নের মাত্রা অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে বেশি হয়। এ বাড়ির লোকজনের কাছে আমাদের আবদারের পরিমাণও হয় বেশি। ইচ্ছেমতো যা খুশি করা যায়। শাসন-বারণের ভয় থাকে না। মামার বাড়িতে কাটানো পুরোটা সময়ই আনন্দে ভরপুর থাকে বলে 'মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি'- কথাটি বলা হয়।
১১) টেপা পুতুল বলতে কী বোঝ?
উত্তর : আমাদের কুমোররা নরম এঁটেল মাটি হাত দিয়ে টিপে টিপে নানা ধরনের ও নানা আকারের পুতুল তৈরি করেন। টিপে টিপে তৈরি করা হয় বলে এগুলোর নাম টেপা পুতুল।
১২) মাটির শিল্পকর্ম তৈরি করতে কী কী প্রয়োজন?
উত্তর : মাটির শিল্পকর্ম তৈরি করতে প্রয়োজন পরিষ্কার এঁটেল মাটি, কাঠের চাকা এবং আরও কিছু ছোটখাটো যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম। কুমোররা কাঠের চাকায় মাটির তাল লাগিয়ে তাদের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মাটির জিনিসপত্র তৈরি করেন।
১৩) নকশা করার কাজে ব্যবহৃত রংগুলো কুমোররা কীভাবে সংগ্রহ করেন?
উত্তর : নকশা করার কাজে ব্যবহৃত রংগুলো কুমোররা শিম, সেগুন পাতার রস, কাঁঠাল গাছের বাকল ইত্যাদি থেকে তৈরি করেন। তা ছাড়া বাজার থেকে কিনে আনা রংও ব্যবহার করা হয় এ কাজে।
১৪) আনন্দপুর গ্রামে কয় ঘর কুমোরের বাস?
উত্তর : আনন্দপুর গ্রামে আট-দশ ঘর কুমোরের বাস।
১৫) আনন্দপুর গ্রামের কুমোরপাড়ার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তর : আনন্দপুর গ্রামের উত্তর দিকে আট-দশ ঘর কুমোরের বাস। কুমোরপাড়ায় ছোট-বড় সবাই নানা রকম মাটির জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করে। কেউ মাটির তাল চাক করে সাজিয়ে রাখে, কেউ চাকায় মাটি লাগিয়ে নানা আকারের পাত্র বানায়। কেউ কেউ পাত্রগুলোকে রোদে শুকোতে দেয়। পাত্রগুলোকে পরে মাটির চুলায় পোড়ানো হয়।
১৬) মামার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে কী কী থাকে?
উত্তর : মামার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে ছবি আঁকার নানা জিনিস। আর থাকে একটা বাঁশি।
১৭) পুতুলের পাশে ঘোলা চোখে কী তাকিয়ে ছিল?
উত্তর : পুতুলের পাশে ঘোলা চোখে তাকিয়ে ছিল মাটির তৈরি একটা চকচকে রুপালি ইলিশ।
১৮) মৃৎশিল্পের জন্য কেমন মাটি প্রয়োজন? কেন প্রয়োজন?
উত্তর : মৃৎশিল্পের জন্য পরিষ্কার এঁটেল মাটি প্রয়োজন। এ মাটি আঠালো হওয়ায় সহজেই আকৃতি দেওয়া যায়। যা অন্য মাটি দিয়ে করা যায় না।
১৯) মৃৎশিল্প কাকে বলে?
উত্তর : মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে মৃৎশিল্পকে বলে।
২০) মৃৎশিল্পের জন্য কোন সরঞ্জামটি সবার আগে প্রয়োজন?
উত্তর : মৃৎশিল্পের জন্য সবার আগে প্রয়োজন একটা কাঠের চাকা।
২১) দোঁআশ ও বেলে মাটি দিয়ে মৃৎশিল্পের কাজ হয় না কেন?
উত্তর : মৃৎশিল্পের জন্য প্রয়োজন আঠালো মাটি। কিন্তু দোআঁশ মাটি খুব একটা আঠালো নয়। আর বেলে মাটি ঝরঝরে। তাই এগুলো দিয়ে মৃৎশিল্পের কাজ হয় না।
২২) মৃৎশিল্পের চর্চায় কাঠের চাকা কীভাবে কাজে লাগে?
উত্তর : মৃৎশিল্পের চর্চায় কাঠের চাকা সবচেয়ে জরুরি উপাদান। এই চাকায় প্রথমে নরম মাটির তাল লাগানো হয়। তারপর কুমোররা চাকাটি জোরে ঘোরান। আর হাত দিয়ে ধরেন মাটির তাল। এভাবে চাকার সাহায্যে তারা নানা আকারের মাটির জিনিস তৈরি করেন।
২৩) আজকাল কী কাজে নকশা করা মাটির ফলক ব্যবহার করা হচ্ছে?
উত্তর : আজকাল সরকারি-বেসরকারি ভবনে সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজে নকশা করা মাটির ফলক ব্যবহৃত হচ্ছে।
২৪) কুমোরপাড়ার লোকদের কাজ সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখো?
উত্তর : কুমোরপাড়ার লোকদের কেউ মাটির তাল চাক করে সাজিয়ে রাখছেন। কেউ-বা কাঠের চাকায় মাটি লাগিয়ে নানা আকারের পাত্র বানাচ্ছেন।
২৫) পোড়ামাটির এই ফলক বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্প- কথাটি বুঝিয়ে লেখো?
উত্তর :এ দেশে পোড়ামাটির ফলক বা টেরাকোটা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে হাজার বছর আগে। নানা ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে পাওয়া গেছে টেরাকোটার কাজ। তাই একে বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্প বলা হয়েছে।
অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখো।
উত্তর : মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান হলো মাটি। এঁটেল মাটিই এ শিল্পের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এ দেশের কুমোররা যুগ যুগ ধরে এই শিল্পের সাথে যুক্ত। হাতের নৈপুণ্য আর কারিগরি জ্ঞানের মাধ্যমে খুব সহজেই তারা নানা আকারের মাটির জিনিস তৈরি করেন। এসব কাজে তারা ব্যবহার করেন বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
তাঁত হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র, যা দিয়ে তুলা বা তুলা হতে উৎপন্ন সুতার মাধ্যমে কাপড় বানানো যায়। সাধারণত তাঁত নামক যন্ত্রটিতে সুতা কুন্ডলী আকারে টানটান করে ঢুকিয়ে দেওয়া থাকে। যখন তাঁত চালু করা হয় তখন নির্দিষ্ট সাজ অনুসারে সুতা টেনে নিয়ে সেলাই করা হয়। তাঁতে কাপড় বোনা যার পেশা সে হলো তন্তুবায় বা তাঁতি। তাঁতশিল্পের ইতিহাস থেকে জানা যায়, আদি বসাক সম্প্রদায়ের তাঁতিরাই আদিকাল থেকে তন্তুবায়ী গোত্রের লোক। এদেরকে এক শ্রেণির যাযাবর বলা চলে। শুরুতে এরা সিন্ধু অববাহিকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে এসে তাঁতের কাজ শুরু করে। কিন্তু সেখানকার আবহাওয়ায় শাড়ির মান ভালো না হওয়ায় চলে আসে বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে। পরবর্তীকালে তারা নানা অংশে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, ঢাকার ধামরাই ইত্যাদি এলাকায়। বাংলাদেশের মনিপুরী সম্প্রদায়ের তাঁতশিল্পের বেশ সুনাম রয়েছে। নিজেদের বস্ত্রের চাহিদা মেটাতে এরা দীর্ঘকাল ধরে তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত। শাড়ি, ওড়না, তোয়ালে, গামছাসহ নানা রকম শৌখিন বস্ত্র তৈরি করে মণিপুরীরা। বর্তমানে তাদের তৈরি তাঁতের নানা জিনিসপত্র বাঙালি সমাজে বেশ জনপ্রিয়।
সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো।
১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-
ক) তাঁতিদের জীবন যাপনের কথা
খ) তাঁতে তৈরি জিনিসপত্র সম্পর্কে
গ) বিভিন্ন আকারের তাঁত যন্ত্রের কথা
ঘ) তাঁতশিল্পের পরিচয় সম্পর্কে
উত্তর :ঘ) তাঁতশিল্পের পরিচয় সম্পর্কে
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়