পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
১৬. দিনাজপুরে নিচের কোনটি অবস্থিত? ক. ষাটগম্বুজ মসজিদ খ. মহাস্থানগড় গ. শালবন বিহার ঘ. কান্তজির মন্দির উত্তর :ঘ. কান্তজির মন্দির ১৭. অনুচ্ছেদে মূলত বলা হয়েছে- ক. বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের সম্ভাবনার কথা খ. বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের অবনতির কথা গ. মৃৎশিল্প তৈরির কৌশল সম্পর্কে ঘ. মৃৎশিল্পীদের জীবনযাপন সম্পর্কে উত্তর :গ. মৃৎশিল্প তৈরির কৌশল সম্পর্কে; ১৮. কুমোর কারা? ক. যারা মাটি নিয়ে গবেষণা করেন খ. যারা প্রত্নতত্ত্বের সন্ধান করেন গ. যারা মাটি দিয়ে জিনিস তৈরি করেন ঘ. যারা মাটি কাটার কাজ করেন উত্তর :গ. যারা মাটি দিয়ে জিনিস তৈরি করেন ১৯. মৃৎশিল্পের জন্য সবচেয়ে উপযোগী কোনটি? ক. বেলে-দোঁআশ মাটি খ. দোঁআশ মাটি গ. বেলে মাটি ঘ. এঁটেল মাটি উত্তর :ঘ. এঁটেল মাটি ২০ 'সরঞ্জাম' শব্দের অর্থ কী? ক. উপকরণ খ. গবেষণা গ. কৌশল ঘ. নৈপুণ্য উত্তর :ক. উপকরণ ২১. বেলে মাটি দিয়ে মাটির জিনিস তৈরি করলে কী ঘটবে? ক. অনেক দিন টিকবে খ. খুব দ্রম্নত ভেঙে যাবে গ. রং চমৎকারভাবে ফুটবে ঘ. মৃৎশিল্পের উন্নতি হবে উত্তর :খ. খুব দ্রম্নত ভেঙে যাবে ২২ কুমোরপাড়ায় গিয়ে কী দেখা গেল? ক. সবাই গল্পগুজবে ব্যস্ত খ. সবাই অতিথি বরণে ব্যস্ত গ. সবাই মাটির কাজে ব্যস্ত ঘ. সবাই খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত উত্তর :সবাই মাটির কাজে ব্যস্ত ২৩. 'কদর' শব্দটির অর্থ হলো- ক. সৌন্দর্য খ. মর্যাদা গ. নৈপুণ্য ঘ. কৌশল উত্তর :খ. মর্যাদা ২৪. কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত? ক. রাজশাহীতে খ. বগুড়ায় গ. দিনাজপুরে ঘ. নওগাঁয় উত্তর :গ. দিনাজপুরে ২৫. আনন্দপুর গ্রামের কোনদিকে কুমোরপাড়ার অবস্থান? ক. পশ্চিম দিকে খ. পূর্ব দিকে গ. দক্ষিণ দিকে ঘ. উত্তর দিকে উত্তর : ঘ. উত্তর দিকে ২৬. 'মৃৎ' শব্দটির অর্থ কী? ক. মাটি খ. মূল্য গ. পানি ঘ. জীবন উত্তর : ক. মাটি নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো। ১) মাটির শিল্প বলতে কী বুঝি? উত্তর : মাটির শিল্প বলতে আমরা বুঝি মাটি দিয়ে তৈরি শিল্পকর্মকে। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। কুমোররা তাদের হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এ ধরনের শিল্পকর্ম তৈরি করেন। ২) বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি? উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্ম হলো মৃৎশিল্প। এ দেশের কুমোর সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মৃৎশিল্পের চর্চা করে আসছেন। ৩) শখের হাঁড়ি কী রকম? উত্তর : শখের হাঁড়ি হলো মাটি দিয়ে তৈরি এক ধরনের হাঁ হাঁড়ি। এই হাঁড়িতে অপূর্ব সুন্দর সব কাজ করা থাকে। শখ করে পছন্দের জিনিস এ হাঁড়িতে রাখা হয় বলে এর নাম শখের হাঁড়ি। ৪) বৈশাখী মেলায় কী কী পাওয়া যায়? উত্তর : বৈশাখী মেলায় বিচিত্র সব জিনিস পাওয়া যায়। বাঁশের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- কুলো, ডালা, ঝুড়ি, চালন, মাছ ধরার চাঁই ইত্যাদি মেলে বৈশাখী মেলায়। মাটির তৈরি খেলনা, পুতুল ও বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্রও পাওয়া যায় এ মেলায়। এ ছাড়া পাওয়া যায় বাঙি, তরমুজ, মুড়ি-মড়কি, জিলাপি, বাতাসা ইত্যাদি মজার মজার খাবার। ৫) মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান কী? উত্তর : মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান হলো মাটি। ৬) কয়েকটি মৃৎশিল্পের নাম বলি। উত্তর : আমাদের দেশের কুমোররা নানা ধরনের মৃৎশিল্প তৈরি করেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মাটির হাঁড়ি, কলস, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির ছাঁচ, নানা ধরনের খেলনা, টেরাকোটা ইত্যাদি। ৭) টেরাকোটা কী? উত্তর : টেরাকোটা একটি ল্যাটিন শব্দ। 'টেরা' অর্থ মাটি, আর 'কোটা' অর্থ হলো পোড়ানো। পোড়ামাটির তৈরি মানুষের ব্যবহারের সামগ্রীগুলো টেরাকোটা হিসেবে পরিচিত। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে এ শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়। টেরাকোটা বাংলাদেশের প্রাচীন মৃৎশিল্প। ৮) বাংলাদেশের কোথায় পোড়ামাটির প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়? উত্তর : বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পোড়ামাটির প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুরের সোমপুর বিহার ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে টেরাকোটার কাজ রয়েছে। ৯) মাটির শিল্প কেন আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়? উত্তর : আমাদের কুমোর সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে এ দেশের প্রাচীনতম শিল্পটিকে বহন করে চলেছেন। মাটির তৈরি নানা শিল্পকর্মে আমাদের দেশের ঐতিহ্যের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। পোড়ামাটির শিল্প বা টেরাকোটাগুলোতেও দেখা যায় অপূর্ব সুন্দর কারুকার্য। এ দেশের মানুষের মন যে শিল্পীর মন আমাদের মৃৎশিল্প সে পরিচয় বহন করে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে ও দেখা যায় মৃৎশিল্পের চমৎকার সব নিদর্শন। এগুলো আমাদের সভ্যতার ইতিহাসকেই তুলে ধরে। মৃৎশিল্প তাই আমাদের ঐতিহ্য ও গর্বের বিষয়। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়