১৬. দিনাজপুরে নিচের কোনটি অবস্থিত?
ক. ষাটগম্বুজ মসজিদ খ. মহাস্থানগড়
গ. শালবন বিহার ঘ. কান্তজির মন্দির
উত্তর :ঘ. কান্তজির মন্দির
১৭. অনুচ্ছেদে মূলত বলা হয়েছে-
ক. বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের সম্ভাবনার কথা
খ. বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের অবনতির কথা
গ. মৃৎশিল্প তৈরির কৌশল সম্পর্কে
ঘ. মৃৎশিল্পীদের জীবনযাপন সম্পর্কে
উত্তর :গ. মৃৎশিল্প তৈরির কৌশল সম্পর্কে;
১৮. কুমোর কারা?
ক. যারা মাটি নিয়ে গবেষণা করেন
খ. যারা প্রত্নতত্ত্বের সন্ধান করেন
গ. যারা মাটি দিয়ে জিনিস তৈরি করেন
ঘ. যারা মাটি কাটার কাজ করেন
উত্তর :গ. যারা মাটি দিয়ে জিনিস তৈরি করেন
১৯. মৃৎশিল্পের জন্য সবচেয়ে উপযোগী কোনটি?
ক. বেলে-দোঁআশ মাটি খ. দোঁআশ মাটি
গ. বেলে মাটি ঘ. এঁটেল মাটি
উত্তর :ঘ. এঁটেল মাটি
২০ 'সরঞ্জাম' শব্দের অর্থ কী?
ক. উপকরণ খ. গবেষণা
গ. কৌশল ঘ. নৈপুণ্য
উত্তর :ক. উপকরণ
২১. বেলে মাটি দিয়ে মাটির জিনিস তৈরি করলে কী ঘটবে?
ক. অনেক দিন টিকবে খ. খুব দ্রম্নত ভেঙে যাবে
গ. রং চমৎকারভাবে ফুটবে ঘ. মৃৎশিল্পের উন্নতি হবে
উত্তর :খ. খুব দ্রম্নত ভেঙে যাবে
২২ কুমোরপাড়ায় গিয়ে কী দেখা গেল?
ক. সবাই গল্পগুজবে ব্যস্ত
খ. সবাই অতিথি বরণে ব্যস্ত
গ. সবাই মাটির কাজে ব্যস্ত
ঘ. সবাই খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত
উত্তর :সবাই মাটির কাজে ব্যস্ত
২৩. 'কদর' শব্দটির অর্থ হলো-
ক. সৌন্দর্য খ. মর্যাদা
গ. নৈপুণ্য ঘ. কৌশল
উত্তর :খ. মর্যাদা
২৪. কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত?
ক. রাজশাহীতে খ. বগুড়ায়
গ. দিনাজপুরে ঘ. নওগাঁয়
উত্তর :গ. দিনাজপুরে
২৫. আনন্দপুর গ্রামের কোনদিকে কুমোরপাড়ার অবস্থান?
ক. পশ্চিম দিকে খ. পূর্ব দিকে
গ. দক্ষিণ দিকে ঘ. উত্তর দিকে
উত্তর : ঘ. উত্তর দিকে
২৬. 'মৃৎ' শব্দটির অর্থ কী?
ক. মাটি খ. মূল্য
গ. পানি ঘ. জীবন
উত্তর : ক. মাটি
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
১) মাটির শিল্প বলতে কী বুঝি?
উত্তর : মাটির শিল্প বলতে আমরা বুঝি মাটি দিয়ে তৈরি শিল্পকর্মকে। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। কুমোররা তাদের হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এ ধরনের শিল্পকর্ম তৈরি করেন।
২) বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পকর্ম হলো মৃৎশিল্প। এ দেশের কুমোর সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মৃৎশিল্পের চর্চা করে আসছেন।
৩) শখের হাঁড়ি কী রকম?
উত্তর : শখের হাঁড়ি হলো মাটি দিয়ে তৈরি এক ধরনের হাঁ হাঁড়ি। এই হাঁড়িতে অপূর্ব সুন্দর সব কাজ করা থাকে। শখ করে পছন্দের জিনিস এ হাঁড়িতে রাখা হয় বলে এর নাম শখের হাঁড়ি।
৪) বৈশাখী মেলায় কী কী পাওয়া যায়?
উত্তর : বৈশাখী মেলায় বিচিত্র সব জিনিস পাওয়া যায়। বাঁশের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- কুলো, ডালা, ঝুড়ি, চালন, মাছ ধরার চাঁই ইত্যাদি মেলে বৈশাখী মেলায়। মাটির তৈরি খেলনা, পুতুল ও বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্রও পাওয়া যায় এ মেলায়। এ ছাড়া পাওয়া যায় বাঙি, তরমুজ, মুড়ি-মড়কি, জিলাপি, বাতাসা ইত্যাদি মজার মজার খাবার।
৫) মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান কী?
উত্তর : মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান হলো মাটি।
৬) কয়েকটি মৃৎশিল্পের নাম বলি।
উত্তর : আমাদের দেশের কুমোররা নানা ধরনের মৃৎশিল্প তৈরি করেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মাটির হাঁড়ি, কলস, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির ছাঁচ, নানা ধরনের খেলনা, টেরাকোটা ইত্যাদি।
৭) টেরাকোটা কী?
উত্তর : টেরাকোটা একটি ল্যাটিন শব্দ। 'টেরা' অর্থ মাটি, আর 'কোটা' অর্থ হলো পোড়ানো। পোড়ামাটির তৈরি মানুষের ব্যবহারের সামগ্রীগুলো টেরাকোটা হিসেবে পরিচিত। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে এ শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়। টেরাকোটা বাংলাদেশের প্রাচীন মৃৎশিল্প।
৮) বাংলাদেশের কোথায় পোড়ামাটির প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তর : বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পোড়ামাটির প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুরের সোমপুর বিহার ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে টেরাকোটার কাজ রয়েছে।
৯) মাটির শিল্প কেন আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়?
উত্তর : আমাদের কুমোর সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে এ দেশের প্রাচীনতম শিল্পটিকে বহন করে চলেছেন। মাটির তৈরি নানা শিল্পকর্মে আমাদের দেশের ঐতিহ্যের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। পোড়ামাটির শিল্প বা টেরাকোটাগুলোতেও দেখা যায় অপূর্ব সুন্দর কারুকার্য। এ দেশের মানুষের মন যে শিল্পীর মন আমাদের মৃৎশিল্প সে পরিচয় বহন করে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে ও দেখা যায় মৃৎশিল্পের চমৎকার সব নিদর্শন। এগুলো আমাদের সভ্যতার ইতিহাসকেই তুলে ধরে। মৃৎশিল্প তাই আমাদের ঐতিহ্য ও গর্বের বিষয়।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়