হাতি আর শেয়ালের গল্প
৫. হাতিকে বাঁচানোর জন্য কেউ এগিয়ে এলো না কেন?
ক. হাতির অত্যাচারের জন্য
খ. হাতি খুব বড় বলে
গ. হাতির ভয়ে
ঘ. হাতি সাঁতার জানে বলে
উত্তর : ক. হাতির অত্যাচারের জন্য
৬. বিপরীত শব্দ লিখি এবং তা দিয়ে একটি করে বাক্য লিখি।
শান্তি : অশান্তি
অসৎ প্রতিবেশীর কারণে তার অশান্তি লেগেই আছে।
সভ্য : অসভ্য
লোকটির অসভ্য আচরণে সবাই অবাক হলো।
ধ্বনি : প্রতিধ্বনি
তার কথাটি দেয়ালে প্রতিধ্বনি তুলল।
শক্তিশালী : দুর্বল
পুষ্টির অভাবে মানুষ দুর্বল হয়ে যায়।
নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লিখি।
দুষ্টু - বিশেষণ
হাতি - বিশেষ্য
বুদ্ধিমান - বিশেষণ
এবং - অব্যয়
আমি - সর্বনাম
চায় - ক্রিয়া
যে কোনো একটা প্রাণী সম্পর্কে পাঁচটি বাক্যের একটা অনুচ্ছেদ রচনা করি।
উত্তর : জিরাফ
জিরাফ একটি বন্য প্রাণী। এটি স্থলভাগের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী হিসেবে পরিচিত। এরা প্রায় ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এরা বসতে বা শুতে পারে না। জিরাফ খুব নিরীহ স্বভাবের হয়ে থাকে।
প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন : অমিত শক্তিধর কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর : অমিত শক্তিধর বলা হয়েছে অহংকারী হাতিটাকে।
প্রশ্ন : বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী?
উত্তর : বনের পশুরা খুব সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিল। এমন সময় মস্ত এক হাতি তাড়া খেয়ে বনে এসে ঢোকে। অহংকারী সেই হাতিটার অত্যাচারে বনের পশুদের সবসময় শঙ্কিত থাকতে হয়। তাই তাদের মন থেকে শান্তি হারিয়ে যায়।
প্রশ্ন : গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে বোঝানো হয়েছে অত্যাচারী হাতিটার কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার অনুভূতিকে। হাতিটার অত্যাচারে বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে এসেছিল। শেয়ালের বুদ্ধিতে হাতিটা চরম সাজা পায়। পশুরাও হাতির অত্যাচার থেকে মুক্তি পায়।
প্রশ্ন : শেয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের কী হতো ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : শেয়াল হাতিটাকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের মহাবিপদে পড়তে হতো। দিন দিন হাতিটার অহংকার বেড়েই চলত। একে একে সব পশুই তার অত্যাচারের শিকার হতো। অনেকেই জঙ্গল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হতো।
প্রশ্ন : হাতির এই শাস্তির জন্য তার চরিত্রের কোন বিষয়গুলো দায়ী বলে তুমি মনে করো?
উত্তর : হাতির এই শাস্তির জন্য দায়ী তার অহংকার ও নিষ্ঠুরতা।
প্রশ্ন : মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন?
উত্তর : মিলেমিশে থাকলে মানুষের মধ্যে একতা সৃষ্টি হয়। এতে মানুষের শক্তি বেড়ে যায়। মানুষ একা সব কাজ করতে পারে না। কিন্তু মিলেমিশে করলে অনেক কঠিন কাজও খুব সহজে করা যায়। মানুষ যখন সভ্য হচ্ছিল তখন তারা এ বিষয়টি বুঝতে পারে। তাই তারা মিলেমিশে থাকার নিয়ম শিখতে শুরু করে।
প্রশ্ন : সবাই মিলে শেয়ালকে দায়িত্ব দিল কেন?
উত্তর : পশুদের মধ্যে শেয়াল সবচেয়ে বুদ্ধিমান। তাই সবাই মিলে শেয়ালকে দায়িত্ব দিল।
প্রশ্ন : শেয়াল কীভাবে বনের পশুপাখিকে রক্ষা করল?
উত্তর : শেয়াল নানা রকম মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে হাতিটাকে নদীর কিনারে নিয়ে এলো। শেয়ালের কথায় হাতিটা না বুঝেই নদী পার হওয়ার জন্য পানিতে নেমে গেল। কিন্তু সাথে সাথেই তার মস্ত, ভারী শরীরটা পানিতে একটু একটু করে তলিয়ে যেতে লাগল। এভাবেই শেয়াল বুদ্ধি খাটিয়ে বনের পশুপাখিকে হাতির অত্যাচার থেকে রক্ষা করল।
প্রশ্ন : অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?
উত্তর : অহংকারী ও অত্যাচারীকে শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়। সে যাদের ওপর অত্যাচার চালায় তারা একসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অহংকারী আর অত্যাচারীরা এভাবে নিজেদের পতন ডেকে আনে।
প্রশ্ন : হাতির ভাব দেখে কী মনে হলো?
উত্তর : হাতির ভাব দেখে মনে হলো সে-ই বুঝি বনের রাজা।
প্রশ্ন : হাতিটার অত্যাচারে বনের প্রাণীদের কী অবস্থা হলো?
উত্তর : হাতিটার অত্যাচারে বনের প্রাণীদের মনের শান্তি উধাও হলো। চোখের ঘুম হারিয়ে গেল। সব সময় হাতিটার অত্যাচারের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত সবাই।
প্রশ্ন : বনের প্রাণীরা কোথায়, কেন জড়ো হলো?
উত্তর : বনে প্রাণীরা হাতিটার অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শলা-পরামর্শ করতে সিংহের গুহায় জড়ো হলো।
প্রশ্ন : হাতিটার শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হলো?
উত্তর : হাতিটা শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি বরণ করল। নদীতে ডুবে যেতে দেখেও কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে এলো না।
প্রশ্ন : হাতিটাকে কেউ বাঁচাতে এলো না কেন?
উত্তর : হাতিটা ছিল খুব অহংকারী আর অত্যাচারী স্বভাবের। বনে আসার পর থেকেই হাতিটা প্রাণীদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাতে লাগল। প্রাণীরা সব সময় তার ভয়ে শঙ্কিত হয়ে থাকত। বনের প্রাণীরাই শেয়ালের মাধ্যমে হাতিটাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। এ কারণেই তার বিপদে কেউ তাকে বাঁচাতে এলো না।
প্রশ্ন : বাঘ আর সিংহ হাতিটার কাছে আসতে চায় না কেন?
উত্তর : হাতিটা ছিল বাঘ আর সিংহের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। আর সে ছিল খুব নিষ্ঠুর স্বভাবের। বনের পশুদের ওপর হাতিটা নির্মম অত্যাচার চালাত। এ কারণেই বাঘ আর সিংহ হাতিটার ধারে-কাছে যেতে সাহস পেত না।
প্রশ্ন : বনের সবাই সিংহের গুহায় জড়ো হলো কেন?
উত্তর : অহংকারী হাতিটার অত্যাচারে বনের পশুদের মনে শান্তি নেই। তারা এর একটা সমাধান চায়। সে ব্যাপারে শলা-পরামর্শ করতেই সবাই সিংহের গুহায় জড়ো হলো।
প্রশ্ন : অনেক দিন আগে মানুষ কী শিখছিল?
উত্তর : অনেক দিন আগে মানুষ অল্প অল্প করে সভ্য হচ্ছিল। কীভাবে সবার সাথে মিলেমিশে থাকা যায় সেসব নিয়মকানুন শিখছিল তারা।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়