রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

সপ্তম শ্রেণির বাংলা

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
  ২২ জুন ২০২৪, ০০:০০
সপ্তম শ্রেণির বাংলা

অনুচ্ছেদ লিখে প্রত্যয়-সাধিত শব্দ খুঁজি

গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠে ১ জানুয়ারি আমি প্রথম মাধ্যমিক স্কুলে যাই। এটিই ছিল আমার মাধ্যমিক স্কুল জীবনের প্রথম দিন। স্কুলে প্রবেশের গেটেই দারোয়ানের সাথে আমার দেখা হয়। তিনি আমাকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর আমি শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করলাম। আমি দেখতে পেলাম সবাই নতুন শিক্ষার্থী। এদের কাউকেই আমি চিনি না। প্রথমদিন শ্রেণিশিক্ষক পরিচয়পর্ব শেষে অল্পকিছু পড়া দিলেন। এরপর থেকে আমি দৈনিক স্কুলে যেতাম। স্কুলে আমার অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হলো। আমার বন্ধুরা বেশ দয়াবান ও বুদ্ধিমান। আমাদের স্কুলের মধ্যে রয়েছে বড় একটি বেলিফুল গাছ। যার সৌন্দর্য এবং গন্ধ আমাকে মাতাল করে তোলে। এখন আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। ফেলে আসা একটি বছর আমার স্মৃতিতে মধুর সময় হিসেবে জমা রয়েছে। আমি আমার স্কুলকে অনেক ভালোবাসি।

দারো + আন = দারোয়ান

পড়্‌ + আ = পড়া

দিন + ইক = দৈনিক

বন্ধু + ত্ব = বন্ধুত্ব

দয়া + বান = দয়াবান

বুদ্ধি + মান = বুদ্ধিমান

সুন্দর + য = সৌন্দর্য

মাত্‌ + আল = মাতাল

মধু + র = মধুর

সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি

নাটক

সেই ছেলেটি

গুরুত্বপূর্ণ শব্দের অর্থ

অনুসরণ করা: লক্ষ রাখা।

অবশ হয়ে আসা: চলার শক্তি হারিয়ে ফেলা।

ফেরি করা: পথে পথে ঘুরে জিনিস বিক্রি করা।

এক্ষুনি: এখনই।

মতলব: ফন্দি।

ওয়ার্নিং বেল: সতর্ক করার জন্য বাজানো ঘণ্টা।

শালিক: পাখির নাম।

চন্দনা: পাখির নাম।

স্কুল কামাই করা: স্কুল ফাঁকি দেওয়া।

নাটকের চরিত্র

এই নাটকে যেসব চরিত্র আছে, তাদের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় লেখ। (মূল বইয়ের ১৭৫ নম্বর পৃষ্ঠা)

১. সাবু: সাবু আরজুর বন্ধু। সাবু আর আরজু একই ক্লাসে পড়ে। আরজুর পায়ে ব্যথা থাকায় সে বেশিক্ষণ হাঁটতে পারে না। ফলে তাদের স্কুলে যেতে দেরি হয়। আর এজন্য সাবু প্রায়ই স্যারের কাছে বকা খায়।

২. আরজু : 'সেই ছেলেটি' নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র আরজু। তাকে কেন্দ্র করেই এই নাটকের ঘটনাগুলো এগিয়ে চলে।

৩. আইসক্রিমওয়ালা : তিনি আইসক্রিম বিক্রি করেন। আইসক্রিম বিক্রির সময়ে তিনি আরজুকে পথের পাশে বসে থাকতে দেখে তাকে জানান যে, স্কুল ফাঁকি দেওয়া ভালো না। কারণ স্কুল ফাঁকি দেওয়ার কারণেই আজ তিনি আইসক্রিম বিক্রি করছেন।

৪. লতিফ স্যার : লতিফ স্যার সাবু এবং আরজুদের শ্রেণিশিক্ষক। তিনি প্রায়ই লক্ষ্য করেন যে আরজু ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। পরে তিনি আরজুর সমস্যার কথা জানতে পেরে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।

৫. সোমেন: সাবুর মতো মোমেনও আরজুর বন্ধু। তারা একই শ্রেণিতে পড়ে। তবে পায়ের ব্যথার কারণে আরজু পথে বসে পড়লে মোমেন তাকে পথে রেখেই স্কুলে চলে যায়। যদিও পরে সে তার ভুল বুঝতে পারে।

৬. হাওয়াই মিঠাইওয়ালা : তিনি গ্রামে ঘুরে ঘুরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন। তার হাওয়াই মিঠাই ওজনে অনেক হালকা আর ঠিক সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে হয়। কারণ, ঠিক সময়ের মধ্যে বিক্রি না হলে হাওয়াই মিঠাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই তিনি আরজুর কথায় সাড়া দিতে চান না। পাছে তার সময় নষ্ট হয়ে যায়।

নাটক বুঝি

শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী তোমরা দলে ভাগ হও। 'সেই ছেলেটি' নাটকে কী বলা হয়েছে, তা দলে আলোচনা করে বোঝার চেষ্টা করো। কোন দল কেমন বুঝতে পেরেছে, তা যাচাই করার জন্য এক দল অপর দলকে প্রশ্ন করবে। এজন্য আগেই দলে আলোচনা করে কাগজে প্রশ্নগুলো লিখে রাখো। (মূল বইয়ের ১৭৬ নম্বর পৃষ্ঠা)

১. 'সেই ছেলেটি' কোন ধরনের রচনা?

উত্তর: 'সেই ছেলেটি' একটি নাটক।

২. 'সেই ছেলেটি' নাটকের রচয়িতা কে?

উত্তর: মামুনুর রশীদ।

৩. স্কুলে যাওয়ার পথে বন্ধুরা আরজুকে রেখে চলে যায় কেন?

উত্তর: আরজুর পায়ে ব্যথা হওয়ায় সে পথে বসে পড়ে। এদিকে ক্লাসে যেতে দেরি হওয়ায় বন্ধুরা আরজুকে রেখেই স্কুলে চলে যায়।

৪. আইসক্রিমওয়ালাকে কেন আইসক্রিম বিক্রি করতে হয়?

উত্তর: কারণ সে ছোটবেলায় স্কুল ফাঁকি দিত এবং ঠিকমত পড়াশোনা করত না।

৫. আরজুর পায়ে ব্যথার কারণ কী?

উত্তর: ছোটবেলার এক অসুখে আরজুর দু'পা চিকন হয়ে যায়। এর ফলে আরজু কিছুটা পথ হাঁটলেই পায়ে ব্যথা অনুভব করে।

৬. আরজু স্কুলে পৌঁছানোর জন্য কাদের সাহায্য চায়?

উত্তর: পাখি ও মেঘের।

'সেই ছেলেটি' নাটকটির কাহিনী প্রথমে গল্পের মতো বলো, তারপর লেখো। (মূল বইয়ের ১৭৬ নম্বর পৃষ্ঠা)

মোমেন, সাবু আর আরজু একই শ্রেণিতে পড়ে। তারা একসঙ্গে স্কুলে যায়। কিন্তু কিছুটা পথ হাঁটার পরেই আরজুর পা ব্যথা শুরু হয়ে যায়, তাই সে পথে বসে পড়ে। তখন মোমেন তাকে রেখেই চলে যায়। এদিকে সাবু ফিরে এসে আরজুকে পথে বসে থাকতে দেখে এবং কারণ জানতে চায়। আরজু তাকে বলে যে, 'আমি আর হাঁটতে পারছি না।' তখন সাবু তাকে বলে, রোজ রোজ তার জন্য স্যারের বকুনি খেতে হয়। সাবুও তখন আরজুকে ফেলে চলে যায়। আর আরজু পথে বসে পড়ে।

কিছুক্ষণ পর আইসক্রিম ওয়ালার সাথে দেখা হয় আরজুর। আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে বলে যে, স্কুল ফাঁকি দেওয়া মোটেই ভালো কোনো কাজ নয়। ছোটবেলায় সে স্কুল ফাঁকি দিত বলে আজ সে আইসক্রিম বিক্রি করছে। আইসক্রিমওয়ালার পরে আসে হাওয়াই মিঠাইওয়ালা। সেও আরজুর ডাকে সাড়া দিতে চায় না। কারণ তার সময় নষ্ট হলে হাওয়াই মিঠাইও নষ্ট হয়ে যাবে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে