ঘাসফুল
ঘ) 'গাছ আমাদের পরম বন্ধু'- কথাটি চারটি বাক্যে বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : গাছ থেকে আমরা খাদ্য, বস্ত্র, কাঠ, অক্সিজেনসহ জীবন ধারণের নানা উপাদান পাই। গাছপালা আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অপরিহার্য। গাছপালা ছাড়া পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকাই অসম্ভব হতো। তাই গাছকে আমাদের পরম বন্ধু বলা হয়েছে।
যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ
নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
কৃ, দ্র, প্ত, স্ব,ম্ম।
উত্তর :
কৃ = ক্ + ঋ -কার ( ৃ )কৃপণ- লোকটি বেজায় কৃপণ।
দ্র =দ্ + র-ফলা ( ্র ) -ভদ্র - ছেলেটি খুব ভদ্র।
প্ত =প্ + ত-গুপ্তধন- সমুদ্রের নিচে গুপ্তধন আছে।
স্ব =স্ + ব-ফলা ( ্ব ) স্বাধীন- বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ।
ম্ম =ম্ + ম- সম্মান - গুরুজনদের সম্মান করব।
এক কথায় প্রকাশ/ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লিখন
এক কথায় প্রকাশ করো :
যা মাটি ভেদ করে উঠে - উদ্ভিদ
আকাশের তারকাবাজি - তারারা
ঘাসের ছোট ছোট ফুল - ঘাসফুল
ফুটে আছে যা - প্রস্ফুটিত।
নিচের ক্রিয়াপদগুলোর চলিত রূপ লেখ :
সাধুরূপ চলিতরূপ
ছিড়িয়া ছিঁড়ে
উঠিয়া উঠে
ফুটিয়া ফুটে
হইয়া হয়ে
ফেলিয়া ফেলে
মারিয়া মেরে
চাহিয়া চেয়ে
দোলাইতে দোলাতে
করিয়া করে
বাক্যে সাধুরীতির ক্রিয়াপদের চলিত রূপ :
সাধুরূপ
জোড়ে মাথা দোলাইতে নাই।
মাথা দোলালে ঘাড়ে ব্যথা হইবে।
গাছে গাছে ফুল ফুটিয়াছে।
ঘাসফুল আমাদের কাছে কী মিনতি করিতেছে?
ফুল ছিঁড়ে ফেলাইও না।
ফুলেরও প্রাণ রহিয়াছে।
গাছে গাছে ফুল ফুটিলে আনন্দ পাওয়া যায়।
চলিতরূপ
জোড়ে মাথা দোলাতে নেই।
মাথা দোলালে ঘাড়ে ব্যথা হবে।
গাছে গাছে ফুল ফুটেছে।
ঘাসফুল আমাদের কাছে কী মিনতি করছে?
ফুল ছিঁড়ে ফেলিও না।
ফুলেরও প্রাণ রয়েছে।
গাছে গাছে ফুল ফুটলে আনন্দ পাওয়া যায়।
সমার্থক/বিপরীত শব্দ লিখন
প্রদত্ত শব্দের সমার্থক শব্দ লেখ :
শব্দ সমার্থক শব্দ
হাওয়া - বায়ু, বাতাস, সমীরণ।
পা - চরণ, পদ।
সূর্য - রবি, দিবাকর, প্রভাকর।
ধরা - পৃথিবী, জগৎ।
আকাশ - অম্বর, নভ।
মাথা - মস্তক, শির।
মন - হৃদয়, অন্তর।
কিরণ - আলো, রশ্মি।
ফুল - পুষ্প, কুসুম।
গাছ - বৃক্ষ, উদ্ভিদ।
নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
ছোট, নরম, হাসি, শান্ত, কষ্ট।
উত্তর :
প্রদত্ত শব্দ বিপরীত শব্দ
হাসি - কান্না
শান্ত - অশান্ত
কষ্ট - দুঃখ
ছোট - বড়
লাল - নীল
নিজ - পর
নরম - শক্ত
সাদা - কালো
খুশি - অখুশি
আনন্দ - বেদনা
পাঠ্যবইবহির্ভূত অনুচ্ছেদ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
যানজট বর্তমানে রাজধানী ঢাকাবাসীর জীবনে এক ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যানজটের দুঃসহ যাতনা ভোগ করে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে বা গন্তব্যে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের দ্রম্নতগতি ও আধুনিক মানুষের কর্মব্যস্ততাকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে দুঃসহ যানজট। যানজট ঢাকার নাগরিক জীবনের নিত্যদিনের এক অসহনীয় ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। যতই ক্ষোভ ও বিরক্তির কারণ হোক, এর হাত থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না। ঢাকা শহরের যানজটের কারণ অনেক। যান চলাচলের রাস্তার স্বল্পতা, অপরিসর রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা ও নামানো, অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থা, হকারদের ফুটপাত দখল ইত্যাদি ছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। যানজট নিরসন করে নাগরিক জীবনকে স্বস্তিদানের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন : রাস্তার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান রাস্তাগুলো প্রশস্তকরণ, রাস্তার ওপর গাড়ি ও নির্মাণসামগ্রী রাখা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধকরণ, মোড়ে মোড়ে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা ও ট্রাফিক আইনের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল করার জন্য ব্যাপক প্রচারাভিযানের ব্যবস্থাকরণ। বর্ণিত পদক্ষেপগুলো আন্তরিকভাবে গৃহীত হলে আমাদের বিশ্বাস যানজট সমস্যার অনেকটা সুরাহা করা যাবে।
পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়