সপ্তম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ১২ জুন ২০২৪, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
৪র্থ অধ্যায় পস্ন্যাকার্ডের বৈশিষ্ট্য পস্ন্যাকার্ডের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেগুলো হলো- ঙ্ পস্ন্যাকার্ড হলো সহজে বহনযোগ্য এক ধরনের নোটিশ। ঙ্ এর মাধ্যমে সহজে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। ঙ্ মিছিল বা শোভাযাত্রার বক্তব্য-বিষয়কে সহজে উপস্থাপন করা যায়। ঙ্ পস্ন্যাকার্ড রাস্তার দিক নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পস্ন্যাকার্ড তৈরির কৌশল পস্ন্যাকার্ড তৈরির জন্য বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। সেগুলো হলো- ঙ্ যে বিষয়ের পস্ন্যাকার্ড বানাতে চাই তা ঠিক করে নেওয়া। ঙ্ পস্ন্যাকার্ড তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ। ঙ্ শক্ত কাগজ, ধাতব পাত, কাঠ প্রভৃতি দিয়ে লেখার জন্য ফলক তৈরি। ঙ্ ফলকের ওপরে রং-তুলি, কলম, পেনসিল বা মার্কার দি দিয়ে বিষয়বস্তু অনুযায়ী লেখা। ঙ্ বহনের জন্য পস্ন্যাকার্ডের সঙ্গে কাঠ, পাইপ প্রভৃতি দিয়ে হাতল লাগানো। পাঠ মূল্যায়ন প্রশ্ন : কারো দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রকাশ্যে বহনযোগ্য লিখিত বা মুদ্রিত ফলক কোনটি? উত্তর : পস্ন্যাকার্ড। প্রশ্ন : পস্ন্যাকার্ড বহনের জন্য এতে কী লাগানো থাকে। উত্তর : হাতল। প্রশ্ন : সাধারণত পস্ন্যাকার্ড কীসের ওপর লিখে তৈরি করা হয়? উত্তর : শুক্ত কাগজ, ধাতব পাত, কাঠ বা পস্নাস্টিক পর্দায়। প্রশ্ন : কাদের পস্ন্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়? উত্তর : বিভিন্ন মিছিল, শোভাযাত্রা, সমাবেশ প্রভৃতিতে অংশগ্রহণকারীদের। ৫. বিলবোর্ড বিলবোর্ড হচ্ছে একটি সমতল পৃষ্ঠ বা বোর্ড, যেখানে বড় বিজ্ঞাপন বা বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করা হয়। সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের ফলককে বিলবোর্ড বলে। আমরা রাস্তাঘাটে কিংবা ভবনের ছাদে নানা রকম পণ্য ও অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার জন্য বিলবোর্ড দেখে থাকি। এগুলোতে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন থাকে, তেমনি পণ্য ও সেবার বিবরণও থাকে। বিলবোর্ড বড় ধাতব পাত ব্যবহার করে তৈরি করা হয়ে থাকে। তাছাড়া বর্তমানে ডিজিটাল বিলবোর্ডও দেখা যায়। সেগুলোতে টেলিভিশনের মতো পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বিলবোর্ডকে ব্রিটিশ ইংরেজিতে হোর্ডিং বলে। বিলবোর্ডের বৈশিষ্ট্য বিলবোর্ডের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেগুলো হলো- ঙ্ বিলবোর্ড একটি প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের প্রচারণা-সংক্রান্ত বোর্ড। ঙ্ বিলবোর্ডে পণ্য, সেবা ও প্রতিষ্ঠানের পরিচয় থাকে। ঙ্ কোনো কোনো বিলবোর্ডে প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগের ঠিকানা থাকে। ঙ্ প্রতিষ্ঠানটি বা পণ্যটি কী ধরনের সেই বিষয়ে ধারণা থাকে বিলবোর্ডে। বিলবোর্ড তৈরির কৌশল বিলবোর্ড তৈরির জন্য বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। সেগুলো হলো- ঙ্ যে বিষয়ের বিলবোর্ড বানাতে চাই তার তথ্য সংগ্রহ। ঙ্ বিলবোর্ড তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ। টিন, কাঠ, স্টিল প্রভৃতি দিয়ে লেখার জন্য ফলক তৈরি। ঙ্ ফলকের ওপরের দিকে পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় লেখা। ঙ্ নিচে পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য লেখা। ঙ্ নিচে যোগাযোগের ঠিকানা লেখা। পাঠ মূল্যায়ন প্রশ্ন : একটি সমতল পৃষ্ঠ বা বোর্ড যেখানে বড় বিজ্ঞাপন বা বিজ্ঞাপ্তি প্রপোস্ট করা হয়, তাকে কী বলে? উত্তর : বিলবোর্ড। প্রশ্ন : বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের ফলককে কী বলে? উত্তর : বিলবোর্ড। প্রশ্ন : আমরা কোথায় বিলবোর্ড দেখে থাকি? উত্তর : রাস্তাঘাটে কিংবা ভবনের ছাদে। প্রশ্ন : বিলবোর্ডে কী কী থাকে? উত্তর : প্রয়োজনীয় তথ্য এবং পণ্য ও সেবার বিবরণ। প্রশ্ন : বিলবোর্ড তৈরি করতে কী ব্যবহার করা হয়? উত্তর : বড় ধাতব পাত। প্রশ্ন : টেলিভিশনের মতো পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় কোন ধরনের বিলবোর্ডে? উত্তর : ডিজিটাল বিলবোর্ডে। ৬. নোটিশ নোটিশ একটি ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা অর্থ বিজ্ঞপ্তি। এটি মূলত লেখা হয় অন্যকে কোনো তথ্য সম্পর্কে অবগত করার জন্য। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত কিংবা অন্যান্য জায়গায় মানুষকে তথ্য জানানোর জন্য নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। নোটিশ টাঙানোর জন্য একটি বোর্ড থাকে। একে নোটিশ বোর্ড বলে। কোথাও কোথাও আবার বেশি জরুরি নোটিশ পাঠ করেও শোনানো হয়। দূরের মানুষের কাছে অনেক সময় নোটিশ চিঠির আকারে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করেও পাঠানো হয়। নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন : পাবলিক নোটিশ, প্রকৃত নোটিশ, গঠনমূলক নোটিশ ইত্যাদি। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়