পঞ্চম শ্রেণির বাংলা
প্রকাশ | ১২ জুন ২০২৪, ০০:০০
রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
ঘাসফুল
৫) হাওয়াতে কারা মাথা দোলাচ্ছে?
উত্তর: ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলাচ্ছে।
৬) ঘাসফুল আমাদের কাছে কী মিনতি করছে? কেন করছে?
উত্তর: ঘাসফুলদের আমরা যেন ছিঁড়ে বা পায়ে দলে কষ্ট না দিই আমাদের কাছে ঘাসফুল এই মিনতি করেছে। গাছে ফুল ফুটলে তা গাছেই সুন্দর মানায়। তাই গাছ থেকে ফুল ছেঁড়া উচিত নয়। গাছে ফোটা ফুলের সৌন্দর্য দেখে আমরা যেন আনন্দ পাই আর ফুল বা ফুলগাছকে যেন কষ্ট না দিই সেই মিনতি করেছে ঘাসফুলরা।
৭) ঘাসফুল কার সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেছে? কীভাবে তুলনা করেছে?
উত্তর: ঘাসফুল নিজেকে ধরার বুকের স্নেহ-কণার লাল-নীল-সাদা হাসি হিসেবে তুলনা করেছে।
পৃথিবীর বুকে ঘাসেরা যেন স্নেহের ছোট ছোট বিন্দু হিসেবে বেড়ে ওঠে। সে ঘাসে যে রঙবেরঙের ফুল ফোটে, তাদের দেখে যেন মনে হয় ঘাসের মুখে লেগে থাকা লাল-নীল-সাদা হাসির ঝলকানি।
৮) ফুল মানুষকে কীভাবে আনন্দ দেয়?
উত্তর: ফুল প্রকৃতির এক বিস্ময়। এর সৌন্দর্য তুলনাহীন। ফুলের সুগন্ধে আমাদের মন ভরে যায়। ফুল তার সৌন্দর্য ও সুবাস দিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়।
৯) ঘাসফুলেরা কী শোনে?
উত্তর: ঘাসফুলেরা রূপকথা আর নীল আকাশের বাঁশি শোনে।
১০) ঘাসফুলেরা হাওয়াতে কী করে? আকাশে তারা ফুটলে ঘাসফুলেরা কী করে?
উত্তর: ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলায়।
আকাশে তারা ফুটলে ঘাসফুলেরা রূপকথা ও নীল আকাশের বাঁশি শুনতে শুনতে শান্ত বাতাসে দোলে।
১১) লাল-নীল-সাদা হাসি বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? সূর্যের আলো ফুটে উঠলে ঘাসফুলেরা কী করে?
উত্তর: লাল-নীল-সাদা হাসি বলতে ঘাসফুলদের বোঝানো হয়েছে।
সূর্যের আলো ফুটলে ঘাসফুলেরা সেই আলোতে যেন হেসে ওঠে আর মনের আনন্দে মাথা নাড়িয়ে দুলতে থাকে।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
গাছপালা আমাদের পরম বন্ধু। আমাদের প্রাত্যহিক প্রয়োজন মেটাতে গাছের অবদান অনস্বীকার্য। গাছ থেকেই আমরা পাই খাদ্য, বস্ত্র তৈরির উপাদান, বাসগৃহ ও আসবাবপত্র নির্মাণের কাঠ। গাছ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য অক্সিজেনের জোগান দেয়।
আমরা নিঃশ্বাসের সঙ্গে যে বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি তা গাছ গ্রহণ করে পরিবেশ দূষণ রোধ করে। বৃক্ষ ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি প্রয়োজন হলেও আমাদের আছে মাত্র ১৭ ভাগ, যা আছে তাও মানুষের লোভের কারণে দ্রম্নত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। অবাধে গাছ কেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ না লাগালে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হবে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।
নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো।
উপযুক্ত শব্দ দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
প্রদত্ত শব্দ শব্দের অর্থ
নির্মাণ তৈরি করা।
হুমকি ভীতি প্রদর্শন।
অনস্বীকার্য অস্বীকার করা যায় না এমন।
প্রাত্যহিক দৈনিক, প্রতিদিনের।
অপরিহার্য আবশ্যক, যার কোনো বিকল্প নেই।
পর্যাপ্ত যথেষ্ট।
ক) আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান...।
খ) সবার জন্য ... খাবার রাখা আছে।
গ) চৌধুরী সাহেব একটি ভবন ... করছেন।
ঘ) মামাই আমাদের ... বাজার করে দেন।
ঙ) শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ...।
উত্তর : ক) অনস্বীকার্য; খ) পর্যাপ্ত; গ) নির্মাণ; ঘ) প্রাত্যহিক; ঙ) অপরিহার্য।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) গাছের চারটি উপকারিতা লেখ।
উত্তর : গাছের চারটি উপকারিতা হলো-
১) গাছ থেকে আমরা খাদ্য পাই।
২) গাছ থেকে আমরা বস্ত্র তৈরির উপাদান পাই।
৩) গাছ থেকে আমরা বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন পাই।
৪) গাছ বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশ দূষণ রোধ করে।
খ) আমাদের বেশি করে গাছ লাগাতে হবে কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের ভূমিকা অপরিসীম। একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা জরুরি। অথচ আমাদের আছে মাত্র ১৭ ভাগ। সেইটুকুও মানুষের লোভের ফলে দ্রম্নত বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ হুমকির সম্মুখীন। পরিবেশ রক্ষায় তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
গ) নিজের বাড়িতে গাছপালার যত্ন নিতে তুমি কী কী করবে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : নিজের বাড়িতে গাছপালার যত্ন নিতে আমি যা যা করব-
১) গাছগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করব।
২) সময় মতো গাছের গোড়ায় সার ও পানি দেব।
৩) নতুন লাগানো কোনো গাছ যেন সূর্যের তাপে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখব।
৪) কোনো চারাগাছ দুর্বল হলে তাতে খুঁটি বেঁধে দেব।
৫) গরু-ছাগল যেন চারাগাছের ক্ষতি না করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখব।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়