পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ১০ জুন ২০২৪, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
অপেক্ষা ১৮) রুমার জন্মদিনের গল্পটি কী? উত্তর : রুমার যেদিন জন্ম হয় সেদিন বাড়ির উঠোনের শিউলিগাছটা ফুলে ফুলে ভরে ছিল। এত ফুল একসঙ্গে ওদের বাড়িতে কখনো ফোটেনি। ফুলের সুগন্ধে চারদিক মেতে উঠেছিল। ১৯) রুবার জন্মদিনের গল্পটি কী? উত্তর : রুবার যেদিন জন্ম হয় সেদিন বাড়ির বাইরের আমগাছটা বোলে ভরে উঠেছিল। এত বোল এ গাছে আগে কখনো দেখা যায়নি। আমের বোলের সুবাসে চারদিক ভরে উঠেছিল। ২০) প্রতিদিন দুই মুঠো চাল উঠিয়ে রেখে কী লাভ হয়েছিল? উত্তর : রাহেলা বানু দুমুঠো চাল কলসিতে জমিয়ে রাখতেন। কোনো মুক্তিযোদ্ধা যদি রাতে হঠাৎ চলে আসেন তখন তাকে যেন ভাত রান্না করে খাওয়াতে পারেন সে জন্যই তিনি এ কাজটি করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা প্রায়ই তার বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে যেতেন। দুই মুঠো চাল উঠিয়ে রাখায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতে পেরেছিলেন। ২১) গভীর রাত পর্যন্ত দুই বোন কেন জেগে থাকত? উত্তর : রুমা ও রুবা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপেক্ষা করত। মুক্তিযোদ্ধারা মাঝেমধ্যে সাহায্যের জন্য রুমা, রুবাদের বাড়িতে আসত। গভীর রাতে এসে তারা ভাত খেত, নয়তো একটুখানি জিড়িয়ে নিত। রুমা ও রুবা সবসময় অপেক্ষায় থাকত কখন মুক্তিযোদ্ধারা আসবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ডাক শোনার প্রতীক্ষায় তাদের চোখে ঘুম আসত না। তাই তারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকত। ২২) মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে জসীম মিয়ার পরিবারের সম্পর্কটি ব্যাখ্যা কর। উত্তর : জসীম মিয়া ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মিলিটারির গুলিতে প্রাণ হারান। সহযোদ্ধাদের জসীম মিয়া বলে গিয়েছিলেন কোনো সাহায্য লাগলে তার স্ত্রীর কাছে আসতে। মুক্তিযোদ্ধারা তাই জসীমের স্ত্রীর কাছে সাহায্য চায়। জসীমের স্ত্রী রাহেলা বানু ও তার দুই মেয়ে রুমা ও রুবা তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে। ২৩) 'আমার মেয়েগুলোর অনেক বুদ্ধি। অনেক বড় হ মা'-'অনেক বুদ্ধি' এবং 'বড় হ' বলতে তুমি কী বোঝ? উত্তর : কথাগুলো জসীম মিয়া তার দুই মেয়ে রুমা ও রুবা সম্পর্কে বলেছে। রুমা ও রুবা খুব বুদ্ধিমতি। আশপাশের সবকিছু তারা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে ও বুঝতে চেষ্টা করে। এ কারণেই জসীম মিয়া বলেছেন যে, তার মেয়েদের মাথায় অনেক বুদ্ধি। জসীম মিয়া আশা করেন তার মেয়েরা মানুষের মতো মানুষ হবে। 'বড় হ' বলে তিনি তাদের আশীর্বাদ করেন। ২৪) একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ করার জন্য কী কী যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা দরকার? উত্তর : একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ করার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। যেমন- ক. দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি গভীর টান খ. অস্ত্র চালনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান গ. কঠিন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ঘ. শারীরিক শক্তি ঙ. দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার মানসিকতা চ. প্রখর বুদ্ধিমত্তা ২৫) দুই বোন কোথা থেকে কুচো চিংড়ি ধরে আনে? উত্তর : দুই বোন ধান খেতের আলের পাশ দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া পানি থেকে কুচো চিংড়ি ধরে আনে। ২৬) রাহেলা বানু কে? মুক্তিযোদ্ধারা যে রাতে তার বাড়িতে এলো সে রাতটি কেমন ছিল? উত্তর : রাহেলা বানু জসীমের স্ত্রী; রুমা ও রুবার মা। মুক্তিযোদ্ধারা যে রাতে রাহেলা বানুর বাড়িতে এলো সে রাতটি ছিল বৃষ্টিহীন। আকাশে ছিল ভরা জ্যোৎস্নার আলো। ২৭) দুই বোন অধীর অপেক্ষায় থাকে কেন? উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা যে কোনো সময় সাহায্যের আশায় বাড়িতে আসতে পারে। তাই দুই বোন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করে থাকে। ২৮) লোকজন বিবিসির খবরে কী শুনতে পেল? উত্তর : লোকজন বিবিসির খবরে শুনতে পেল, ঢাকা শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে গণহত্যা শুরু করেছে। ২৯) বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে কী বলেছিলেন? উত্তর : বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' ৩০) জসীম কে? কারা, কীভাবে তাকে হত্যা করে? উত্তর : 'অপেক্ষা' গল্পে জসীম হলেন রুমা ও রুবার বাবা। জসীমদের গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারি এসেছিল। তারা বাজারের দোকান আর ঘর-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসছিল। একটি বুলেট এসে জসীমের বুকে লাগলে তিনি শহীদ হন। এভাবেই পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে প্রাণ হারান জসীম। ঘাসফুল ১) ঘাসফুলগুলো কোন কোন রঙের হয়? উত্তর: ঘাসফুলগুলো লাল, নীল ও সাদা রঙের হয়। ২) ঘাসফুলেরা হাওয়াতে মাথা দোলায় কেন? উত্তর: ঘাসফুলেরা আনন্দে বেঁচে থাকতে ভালোবাসে। হাওয়াতে মাথা দুলিয়ে তারা তাদের মনের আনন্দকে প্রকাশ করে। ৩) ঘাসফুলেরা কীভাবে হেসে ওঠে? উত্তর: সকালে সূর্যের আলোয় চারদিকে আলোকিত হয়। নানা রঙের ঘাসফুলগুলোও তখন ঝকমক করে ওঠে। দেখে মনে হয়, সূর্যের কিরণ লেগেছে বলে তারা যেন হাসছে। ৪) ঘাসফুলদের প্রতি আমরা কেমন আচরণ করব? কেন? উত্তর: ঘাসফুলদেরও প্রাণ রয়েছে। তাই আমরা তাদের ছিঁড়ে কষ্ট দেব না। ঘাসফুলের আনন্দময় জীবন দেখে আমরা জীবনকে উপভোগ করতে শিখব। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়