অবাক জলপান
প্রশ্ন :'জলাতঙ্ক' কাকে বলে? এই রোগ কেমন করে হয়?
উত্তর :'জলাতঙ্ক' হলো এক ধরনের রোগ, যাতে আক্রান্ত হলে মানুষ জলের তৃষ্ণা পেলেও জল খেতে পারে না, বরং তা দেখলেই আতঙ্কিত হয়। ইংরেজিতে একে 'হাইড্রোফোবিয়া' বলে।
জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু বহনকারী কোনো পশু মানুষকে কামড়ালে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
প্রশ্ন : জলের তেষ্টায় পথিকের মনের ও শরীরের অবস্থা কী হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : জলের তেষ্টায় পথিকের মন খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। একটুখানি পানি পাওয়ার জন্য সে চঞ্চল হয়ে ওঠে।
পথিকের শরীর পানির অভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। চুল হয়ে গিয়েছিল উসকো-খুসকো। চেহারায় ছিল উদ্ভ্রান্ত ভাব।
প্রশ্ন : পথিককে ঝুড়িওয়ালা কত রকম জলের কথা শুনিয়েছিল? নামগুলো লেখো।
উত্তর : পথিককে ঝুড়িওয়ালা পাঁচ রকম জলের কথা শুনিয়েছিল। নামগুলো হলো- ১. কুয়োর জল, ২. নদীর জল, ৩. পুকুরের জল, ৪. কলের জল এবং ৫. মামাবাড়ির জল।
প্রশ্ন :পানিতে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের পরিমাণ কত?
উত্তর :পানিতে এক ভাগ অক্সিজেন আর দুই ভাগ হাইড্রোজেন।
প্রশ্ন :জলাতঙ্ক কী? এটি হলে কী সমস্যা হয়?
উত্তর : জলাতঙ্ক এক ধরনের রোগ। জলাতঙ্ক হলে পানি খাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। পানি খেতে গেলেই গলায় খিচ ধরে যায়।
প্রশ্ন :কার হাইড্রোফোবিয়া হয়েছিল? কীভাবে?
উত্তর : বদ্যিনাথের হাইড্রোফোবিয়া হয়েছিল। কুকুরের কামড়ে তার এই রোগ হয়েছিল।
অপেক্ষা
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
১) রুমা ও রুবার মধ্যে কেমন টান?
উত্তর : রুমা ও রুবা দুই বোনের মধ্যে ভীষণ টান। তারা এক সঙ্গে খেলা করে। ঝগড়া করে খুবই কম।
২) রুমার বয়স কত?
উত্তর : রুমার বয়স বারো বছর।
৩) রুমা ও রুবা বাবা-মায়ের কপালে ফুলের পাপড়ি ছুঁইয়ে কী বলে?
উত্তর : রুমা ও রুবা বাবার কপালে ফুলের পাপড়ি ছুঁইয়ে বলে, বাবা তোমার হাজার বছর আয়ু হোক। আর মায়ের কপালে লাগিয়ে বলে, মা তোমার ভাতের হাঁড়ি ভরা থাকুক।
৪) জসীম মিয়া মেয়েদের ঢাকা পাঠাতে চান কেন?
উত্তর : জসীম মিয়া মেয়েদের লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকা পাঠাতে চান।
৫) পাক মিলিটারিরা গ্রামে এসে কী করে?
উত্তর : পাক মিলিটারিরা গ্রামে এসে বাজারের দোকান আর ঘরবাড়িগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুলি ছুড়ে মানুষ মারতে মারতে তারা সামনে এগোতে থাকে।
৬) রুমা-রুবাদের বাড়ি আগুনের হাত থেকে বেঁচে যায় কেন?
উত্তর : রুমা-রুবাদের বাড়িতে ছিল বড় একটি আমগাছ। আমগাছটা ঘরের চাল আড়াল করে রেখেছিল বলে আগুন বাড়ি পর্যন্ত পেঁৗঁছতে পারেনি।
৭) জসীমের লাশ দেখে রাহেলা, রুমা ও রুবার কী অবস্থা হয়?
উত্তর : জসীমের লাশ দেখে রাহেলা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিল। রুমা আর রুবা বাবার লাশ দেখে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যায়।
৮) রাহেলা বানু ও তার মেয়েরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য কী কী জমিয়ে রাখে?
উত্তর : রাহেলা বানু ও তার মেয়েরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য সামান্য কিছু চাল, শুকনো লাকড়ি ইত্যাদি জমিয়ে রাখে।
৯) ট্রেনিংয়ের সময় জসীম মুক্তিযোদ্ধাদের কী বলেছিলেন?
উত্তর : ট্রেনিংয়ের সময় জসীম মুক্তিযোদ্ধাদের বলেছিলেন, যদি দরকার পড়ে তাহলে মুক্তিযোদ্ধারা যেন রাহেলা বানুর কাছে সাহায্য চাইতে আসে।
১০) রুমা ও রুবা কী কোলে নিয়ে বসে থাকে?
উত্তর : রুমা ও রুবা মুক্তিযোদ্ধা দু'জনের রাইফেল দু'টি কোলে নিয়ে বসে থাকে।
১১) রাহেলা মুক্তিযোদ্ধা দু'জনকে কী খেতে দেন?
উত্তর : রাহেলা মুক্তিযোদ্ধা দু'জনকে গরম ভাত ও ডিম আলুর তরকারি খেতে দেন।
১২) মুক্তিযোদ্ধারা গপগপিয়ে খায় কেন?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বেশি সময় ছিল না। নদীর ধারে তাদের জন্য অন্য মুক্তিযোদ্ধারা অপেক্ষা করছিলেন। তাই তারা গপগপ করে দ্রম্নত খেয়ে যায়।
১৩) মুক্তিযোদ্ধা দু'জন চলে যাওয়ার সময় কী করে?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধা দু'জন চলে যাওয়ার সময় রাহেলা বানুকে সালাম করে আর রুমা-রুবার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
১৪) মুক্তিযোদ্ধারা রুমা-রুবাদের বাড়িতে এসে কী করত?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা রুমা-রুবাদের বাড়িতে এসে ভাত খেত। কখনো কখনো একটু বিশ্রাম নিত।
১৫) 'বিবিসি' কী?
উত্তর : বিবিসি হলো যুক্তরাজ্যের একটি বেতার কেন্দ্রের নাম। এর পূর্ণরূপ হচ্ছে- ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন।
১৬) গভীর রাতে রুমা-রুবাদের বাড়িতে কারা আসতেন? তারা কাদের সঙ্গে লড়াই করছিলেন?
উত্তর : গভীর রাতে রুমা ও রুবাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আসতেন। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দখল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য তাদের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।
১৭) লোকজন গোল হয়ে বসে কী করছিলেন? তারা কী শুনতে পান?
উত্তর : লোকজন গোল হয়ে বসে রেডিওতে বিবিসির খবর শুনছিলেন। তারা শুনতে পেলেন যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় গণহত্যা শুরু করেছে।
পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়