রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

অবাক জলপান

শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।

গেরস্ত - গৃহস্থ, সংসারী লোক।

বরকন্দাজ - পাহারাদার।

তেষ্টা - তৃষ্ণা, পিপাসা।

খাটিয়া - কাঠের তৈরি খাট।

এক্সপেরিমেন্ট- পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

রুক্ষমূর্তি - দেখে ভয় লাগে এরকম শুকনো চেহারা।

খালি জায়গায় সঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।

এক্সপেরিমেন্ট, রুক্ষমূর্তি, খাটিয়ার

তেষ্টায়, গেরস্ত, বরকন্দাজ

ক. ্ত বাড়ি, দুপুর রোদে দরজা এঁটে সব ঘুম দিচ্ছে।

খ. বরকে কি আপনি ্ত বলেন?

গ. একটা লোক ্ত জল জল করছে, তবু জল খেতে পায় না।

ঘ. পথিক ক্লান্ত হয়ে অবশেষে ্ত ওপর বসে পড়ল।

ঙ. নোংরা জলের ভিতর কী আছে তা ্ত করে বলা যাবে।

চ. ্ত লোকটিকে দেখলেই ভয় লাগে।

উত্তর : ক. গেরস্ত; খ. বরকন্দাজ; গ. তেষ্টায়; ঘ. খাটিয়ার; ঙ. এক্সপেরিমেন্ট; চ. রুক্ষমূর্তি।

প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

প্রশ্ন : 'বোবা জল' বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : বোবা জল বলতে 'ডিস্টিল ওয়াটার' বা 'পরিশ্রম্নত জল'কে বোঝায়। এ জলে কোনোরকম স্বাদ থাকে না বলে এর নাম 'বোবা জল'।

প্রশ্ন : 'জলাতঙ্ক' কাকে বলে? এই রোগ কেমন করে হয়?

উত্তর : 'জলাতঙ্ক' হলো এক ধরনের রোগ, যাতে আক্রান্ত হলে মানুষ জলের তৃষ্ণা পেলেও জল খেতে পারে না, বরং তা দেখলেই আতঙ্কিত হয়। ইংরেজিতে একে 'হাইড্রোফোবিয়া' বলে। জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু বহনকারী কোনো পশু মানুষকে কামড়ালে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।

প্রশ্ন : জলের তেষ্টায় পথিকের মনের ও শরীরের অবস্থা কী হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : জলের তেষ্টায় পথিকের মন খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। একটুখানি পানি পাওয়ার জন্য সে চঞ্চল হয়ে ওঠে।

পথিকের শরীর পানির অভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। চুল হয়ে গিয়েছিল উসকো-খুসকো। চেহারায় ছিল উদ্ভ্রান্ত ভাব।

প্রশ্ন : মনে করো এই পথিকের সঙ্গে তুমি কথা বলছ। তোমাদের দু'জনের কথোপকথন কেমন হতে পারে তা তোমার নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর : এই পথিকের সঙ্গে আমার কথোপকথন যেমন হতে পারে তা নিচে তুলে ধরা হলো-

পথিক : এই যে ভাই, শুনছেন?

আমি : জ্বি বলুন, আপনাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে।

পথিক : ঠিকই ধরেছেন। সকাল থেকে একটু জল খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গেলাম। কেউ একটু জল দিল না।

আমি : আপনি কি খাবার জলের সন্ধান করছেন?

পথিক : হঁ্যা, হঁ্যা। বলতে পারেন, কোথায় গেলে পাব!

আমি : আমার সঙ্গে আসুন। ওই তো আমাদের বাড়ি। আমি আপনাকে জল এনে দিচ্ছি।

পথিক : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

প্রশ্ন : পথিককে ঝুড়িওয়ালা কত রকম জলের কথা শুনিয়েছিল? নামগুলো লেখো।

উত্তর : পথিককে ঝুড়িওয়ালা পাঁচ রকম জলের কথা শুনিয়েছিল। নামগুলো হলো- ১. কুয়োর জল, ২. নদীর জল, ৩. পুকুরের জল, ৪. কলের জল এবং ৫. মামাবাড়ির জল।

প্রশ্ন : তুমি তোমার পাশের শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করে তোমাদের ইচ্ছেমতো একটি নাটিকা লেখো।

উত্তর : শিক্ষকের সহযোগিতা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে নিজেরা চেষ্টা করো।

সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখো।

১. অবাক জলপান কোন ধরনের রচনা?

ক. নাটিকা খ. ছোটগল্প

গ. প্রবন্ধ ঘ. উপন্যাস

উত্তর :ক. নাটিকা

২. পথিক ঝুড়িওয়ালার কাছে কী চেয়েছিল?

ক. কাঁচা আম খ. জল

গ. জলপাই ঘ. পাকা আম

উত্তর :খ. জল

৩. কুকুরে কামড়ালে মামা কোন রোগের কথা বলেছিল?

ক. ডিপথেরিয়া খ. আমাশয়

গ. জলাতঙ্ক ঘ. টাইফয়েড

উত্তর :গ. জলাতঙ্ক?

৪. পথিক কয়জনের কাছে খাবার জল চেয়েছিল?

ক. ৪ জন খ. ৩ জন

গ. ২ জন ঘ. ৫ জন

উত্তর :খ. ৩ জন

৫. বৃদ্ধ পথিককে কয় ধরনের জলের কথা বলতে চেয়েছিল?

ক. পঁচিশ খ. ত্রিশ

গ. দশ ঘ. সাতাশ

উত্তর :ক. পঁচিশ

৬. পথিক শেষ পর্যন্ত কার কাছ থেকে খাবার জল পেয়েছিল?

ক. বালক খ. মামা

গ. ঝুড়িওয়ালা ঘ. বৃদ্ধ

উত্তর :খ. মামা?

৭. নাটিকাটিতে বিজ্ঞানীর চরিত্রে কাকে দেখানো হয়েছে?

ক. ঝুড়িওয়ালা খ. বৃদ্ধ

গ. বালক ঘ. মামা

উত্তর :ঘ. মামা

প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন :পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল কেন?

উত্তর : জলের তৃষ্ণায় পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল।

প্রশ্ন : নেপথ্যের বালক কী পাঠ করছিল?

উত্তর : নেপথ্যের বালক পাঠ করছিল- 'পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল। সমুদ্রের জল লবণাক্ত, অতি বিস্বাদ'।

প্রশ্ন : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে কী পাওয়া যায়?

উত্তর : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন পাওয়া যায়।

প্রশ্ন : 'ডিস্টিল ওয়াটার' কী?

উত্তর : ডিস্টিল ওয়াটারকে বাংলায় বলে পরিশ্রম্নত জল। এ জল পরিষ্কার হলেও খাওয়া যায় না। কেননা এতে কোনো স্বাদ নেই।

প্রশ্ন :পথিক কীভাবে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন?

উত্তর : পথিক বিজ্ঞানীর নানা রকম জ্ঞানের কথা অবিশ্বাস করার ভান করলেন। বিজ্ঞানীকে দিয়ে তিনি কৌশলে এক গস্নাস খাবার জল আনালেন। জল নিয়ে আসামাত্র বিজ্ঞানীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পথিক পুরো গস্নাস সাবাড় করে দিলেন। এভাবেই পথিক কৌশলে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন।

প্রশ্ন : 'বোবা জল' বলতে কী বোঝায়?

উত্তর :বোবা জল বলতে 'ডিস্টিল ওয়াটার' বা 'পরিশ্রম্নত জলকে বোঝায়। এ জলে কোনো রকম স্বাদ থাকে না বলে এর নাম 'বোবা জল'।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে