সপ্তম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
সপ্তম অধ্যায় অন্যের মতো বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করি, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ :সমালোচনা করতে শেখা নিজের মত দেই এবং অন্যের মত শুনি তোমাদের পাঠ্যবইয়ে নানা রকমের পাঠ অছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এমন দুটি পাঠ সম্পর্কে তোমার অভিমত দিতে হবে। অভিমত দেওয়ার আগে নিচের ছকে ভালো লাগার কারণগুলো লেখো। (মূল বইয়ের ১৮৬ নম্বর পৃষ্ঠা) অভিমত প্রদান ভালো লাগার কারণগুলো লেখা হয়ে গেলে সেই অনুযায়ী সবার সামনে দাঁড়িয়ে তোমার অভিমত দাও : চারপাশের লেখার সাথে পরিচিত হই : আমরা আমাদের চারপাশে প্রায়ই বিভিন্ন লেখা দেখে থাকি। এসব লেখাগুলো আমাদের বিভিন্ন পরিচিতিমূলক তথ্য প্রদান করে। যেমন- ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট, বিলবোর্ড ইত্যাদি। আমি আমার পাঠ্যবই থেকে 'চারপাশের লেখার সাথে পরিচিত হই' এই পাঠটি পড়ার পরে এসব লেখা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। আমি জানতে পেরেছি যে, ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট, বিলবোর্ড ইত্যাদি কী এবং কী কারণে এগুলো লেখা হয়। তাই এই পাঠটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। পিরামিড : আমি প্রাচীন স্থাপনা ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে অনেক আগ্রহী। আর আমার পাঠ্যবইয়ে থাকা 'পিরামিড' রচনাটি আমাকে নতুন একটি প্রাচীন বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। এই পাঠে আমি পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি অর্থাৎ পিরামিড সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমি জেনে অবাক হয়েছি যে, এই পিরামিড আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে তৈরি করা হয়েছিল। আমি তৎকালীন প্রকৌশলীদের নির্মাণকৌশল দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছি। কীভাবে এই পিরামিড নির্মিত হয়েছিল, কারা নির্মাণ করেছেন এসব তথ্য আমি এই 'পিরামিড' পাঠ থেকে জানতে পেরেছি। আর 'পিরামিড' যেহেতু একটি বিবরণমূলক লেখা- আমি এই পাঠ থেকে বিবরণমূলক লেখা কীভাবে লিখতে হয়, তা শিখেছি। আর এসব কারণেই আমার কাছে 'পিরামিড' পাঠটি অনেক ভালো লেগেছে। পক্ষ নিয়ে যুক্তি দেই ১৮৬ নম্বর পৃষ্ঠায় বর্ণিত কাহিনীতে দুই পক্ষের মধ্যে কোন পক্ষের যুক্তি তোমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে? তুমি এদের মধ্যে কোনো একটি পক্ষ অবলম্বন করো। সেই পক্ষের সমর্থনে তোমার যুক্তি দাও। অন্য পক্ষের যুক্তি ও তোমাকে খন্ডন করতে হবে। (মূল বইয়ের ১৮৭ নম্বর পৃষ্ঠা) নমুনা উত্তর : আমি মনে করছি, বড় ছেলে যে যুক্তি প্রদান করেছেন তা অধিক গ্রহণযোগ্য। নিচে আমার মতের পক্ষে যুক্তি এবং অপর পক্ষের যুক্তির খন্ডন করা হল। যুক্তি প্রদান ও খন্ডনের সময় খেয়াল রাখতে হবে : ১. নিজের কথা ও যুক্তি কাগজে টুকে রাখতে হয় : বিতর্কের সময় নিজের বলার মতো কথাগুলো কাগজে সংক্ষিপ্ত আকারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। যাতে করে যখন বলার সুযোগ আসবে, তখন খুব সহজেই বিষয়গুলো সম্পর্কে কথা বলা যায়। ২. নিজের পক্ষের যুক্তিগুলো একে একে তুলে ধরতে হয় : উলেস্নখযোগ্য যুক্তিগুলো পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে বলতে হবে। যুক্তিগুলো যেন এলোমেলো না হয়ে যায়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। ৩. নিজের যুক্তির পক্ষে উদাহরণ ও ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় : প্রয়োজনবোধে নিজের যুক্তির পক্ষে বিভিন্ন উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও যুক্তিটির গ্রহণযোগ্যতা বোঝাতে সূত্র ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। ৪. নিজের কথা সংক্ষেপে গুছিয়ে বলতে হয় : বিতর্কের সময়ে অনেক বেশি কথা না বলে শুধুমাত্র যুক্তিসঙ্গত কথাগুলা সাজিয়ে- গুছিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে বলতে হবে। এতে করে সময় এবং কম লাগবে এবং সবগুলো যুক্তি যথাসময়ের মধ্যে উপস্থাপন করা যাবে। ৫. অন্যের কথা ও যুক্তি মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয় : বিতর্কের সময় অন্যের কথা ও যুক্তি মনোযোগ দিয়ে শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে তার যুক্তি খন্ডন করতে সুবিধা হয়। ৬. অন্যের বক্তব্যের দুর্বল অংশ খুঁজে বের করতে হয় : প্রতিপক্ষের বক্তব্যের দুর্বল অংশ খুঁজে বের করতে পারলে বিতর্কে জয়ী হওয়া যায়। তাই প্রতিপক্ষের কোন যুক্তিটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল, কোন বিষয়টি এড়িয়ে গেল তা খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজের যখন কথা বলার সুযোগ আসবে, তখন না উপস্থাপন করতে হবে। ৭. বিনয়ের সঙ্গে অন্যের যুক্তি খন্ডন করতে হয় : বিতর্ক কিন্তু তর্ক নয়। তাই অবশ্যই বিনয়ের সাথে অন্যের যুক্তি খন্ডনের চেষ্টা করতে হবে। যুক্তি উপস্থাপন যেন মার্জিত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অবশ্যই কথার বলার মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষের মনে কষ্টা দেওয়া যাবে না। ৮. অন্যের কথার মাঝখানে কথা বলা যায় না : বিতর্কের সময় নিজের কথা বলার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কখনোই অন্যের কথা বলার মাঝখানে কথা বলা যাবে না। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, বিতর্কের পরিবেশ নষ্ট হবে।