সপ্তম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
সপ্তম অধ্যায় আলোচনার বিষয়-৩ : বনভোজনের ব্যবস্থা করা। ১. কী উপলক্ষে বনভোজনের আয়োজন করা হচ্ছে? উত্তর : পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে। ২. বনভোজনটি কারা আয়োজন করছে? উত্তর : এলাকার তরুণরা সবাই মিলে। ৩. বনভোজনের চাঁদা কত? উত্তর : ৫০০ টাকা। ৪. বনভোজনটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে? উত্তর : স্থানীয় খেলার মাঠে। ৫. বনভোজনে কী কী খাবার ব্যবস্থা থাকবে? উত্তর : ইলিশ মাছ, বিভিন্ন পদের ভর্তা, মাংস, পোলাও ইত্যাদি। ৬. বনভোজনটি কখন শুরু হবে? উত্তর : দুপুরে শুরু হবে। ছবি দেখে আলোচনা করি দলে ভাগ হও। নিচের ছবিগুলো দেখে কী বুঝতে পারছ, তা দলে আলোচনা করো। আলোচনা শেষ হলে দলের একজন সবার সামনে দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে দুই মিনিট কথা বলবে। তার কথার গুরুত্বপূর্ণ অংশ অন্যরা খাতায় টুকে রাখবে। এবার অন্য দলের শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী দলের অভিমতের সাথে একমত না হলে তাদের নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করবে। (মূল বইয়ের ১৮৫ নম্বর পৃষ্ঠা) ছবি-১ নিয়ে আলোচনা শিক্ষার্থী-১ : ছবিটি দেখে তুমি কী বুঝতে পারছ? শিক্ষার্থী-২ : আমার কাছে মনে হচ্ছে, এটি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের ছবি। শিক্ষাথী-৩ : আমারও ঠিক তাই মনে হচ্ছে। পাকিস্তানি সেনারা এমন নির্মমভাবেই নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করে ফেলে রেখেছিল। শিক্ষার্থী-৪ : হঁ্যা, ঠিক তাই। এই বীর বাঙালিদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে দুই মিনিট আলোচনা : ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদ এ যুদ্ধে দেশের জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন। যার একটি খন্ডচিত্র আমরা এ ছবিতে দেখতে পাই। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে এ দেশের সূর্যসন্তানদের হত্যা করে ফেলে রাখে। নদীতে ভাসিয়ে দেয় তাঁদের মৃতদেহ। বিভিন্ন বদ্ধভূমিতে স্তুপ করে ফেলে রাখা হয় স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের লাশ। আমরা বাংলাদেশের এসব বীর সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করব। ছবি-২ নিয়ে আলোচনা শিক্ষার্থী-১ : তোমার কী মনে হয়? এই ছবিটি দেখে কী বুঝতে পারছ? শিক্ষার্থী-২ : আমার মনে হয় কিছু সহপাঠী একসাথে বসে দলগত পাঠ অনুশীলন করছে। শিক্ষার্থী-৩ : সম্ভবত তারা আসন্ন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং একে অন্যকে পড়া শিখতে সাহায্য করছে। শিক্ষার্থী-৪ : হঁ্যা, আমিও ঠিক তাই ভাবছি। শিক্ষার্থী-৫ : তোমাদের কী মনে হয়, যে দলগত পড়াশোনা ভালো একটি অভ্যাস? শিক্ষার্থী-৬ : হঁ্যা, আমি মনে করি। সবাই মিলে দলগত হয়ে পড়াশোনা করলে পড়া খুব দ্রম্নত বোঝা যায়। এতে করে কেউ কোন পাঠ না বুঝলে অপরজন তাকে সাহায্য করতে পারে। শিক্ষার্থী-৭ : তুমি ঠিক বলেছ। আমাদের উচিত দলগতভাবে আমাদের পাঠ্যবিষয়গুলোর সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা। দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে দুই মিনিট আলোচনা : দলগত পড়াশোনা বা গ্রম্নপ স্টাডি পড়ালেখার একটি কার্যকরী পদ্ধতি। আমরা উপরোক্ত ছবিতে এমনই একটি দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি, যেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থী একটি লাইব্রেরিতে বসে পড়াশোনা করছে। এ পদ্ধতিতে এক জায়গায় বসে পাঁচ-ছয় জন বা তার অধিক সহপাঠিরা ক্লাসের পড়া তৈরি করে। দলগত পড়াশোনার অনেক ভালো দিক রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে- একে অন্যকে সাহায্য করার মনোভাব তৈরি হওয়া। দলগত পড়াশোনার সময় যদি কেউ কোনো পড়া বুঝতে না পারে, তাহলে অন্যরা তাকে সাহায্য করতে পারে। তাই দলগত পড়াশোনার মাধ্যমে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব। ছবি-৩ নিয়ে আলোচনা শিক্ষার্থী-১ : তোমাদের কী মনে হচ্ছে? ছবিটি দেখে তোমরা কী বুঝতে পারছ? শিক্ষার্থী-২ : আমার মনে হচ্ছে, কিছু জেলে নদী থেকে মাছ ধরছে। শিক্ষার্থী-৩ : আমারও ঠিক তাই মনে হচ্ছে। শিক্ষার্থী-৪ : হঁ্যা, ঠিক তাই। আচ্ছা, তোমরা কী বলতে পারো- এই জেলেরা কীভাবে আমাদের উপকার করছে? শিক্ষার্থী-৫ : অবশ্যই। জেলেরা মাছ সরবারহের মাধ্যমে আমাদের আমিষের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। শিক্ষার্থী-৬ : তুমি ঠিক বলেছ। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এসব জেলেদের ভূমিকা অপরিসীম। দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে দুই মিনিট আলোচনা : আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ আমাদের প্রিয় খাবার। আর এই মাছ যারা সরবারহ করেন, তাদের মৎস্যজীবী বলা হয়। এসব মৎস্যজীবী মাছ শিকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। এই ছবিতে আমরা তিনজন জেলেকে নদী থেকে মাছ শিকার করতে দেখতে পাচ্ছি। তারা এভাবে প্রতিদিন মাছ শিকার করেন এবং তা বাজারজাত করেন। তাদের এই মাছ শিকারের ফলে আমরা নিয়মিত সতেজ মাছ খেতে পারি। যা আমাদের শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করে।