সপ্তম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
খচিুড়ি

যতিচিহ্ন প্রশ্ন : নিচের অনুচ্ছেদটি ভালোভাবে লক্ষ করো। সকল স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী বিরাম চিহ্নের ব্যবহার হয়েছে কি? না হয়ে থাকলে কোথায় হয়নি তা চিহ্নিত করে বিরাম চিহ্ন বসাও। পলাশ পাশ থেকে বলল রাতুল সব দেখতে পাচ্ছে। সোমা আপু, তুমি শক্ত করে বাঁধোনি। সোমা রাতুলের চোখের সামনে একটা আঙুল উঁচিয়ে ধরে বলল কয়টা আঙুল বলো তো রাতুল বলল, পাঁচটা। সবাই একচোট হেসে উঠল বোঝা গেল, রাতুল কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। এরপর শুরু হলো আসল খেলা রাতুলের চারদিকে ঘুরতে লাগল সবাই। একঝাঁক মাছির মতো কেউ তাকে হালকাভাবে ধাক্কা দিচ্ছে কেউ দিচ্ছে গায়ে টোকা। আর মুখে কাটছে মজার একটা ছড়া কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ উত্তর : পলাশ পাশ থেকে বলল, 'রাতুল সব দেখতে পাচ্ছে। সোমা আপু, তুমি শক্ত করে বাঁধোনি।' সোমা রাতুলের চোখের সামনে একটা আঙুল উঁচিয়ে ধরে বলল, 'কয়টা আঙুল বলো তো?' রাতুল বলল, 'পাঁচটা।' সবাই একচোট হেসে উঠল। বোঝা গেল, রাতুল কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। এরপর শুরু হলো আসল খেলা। রাতুলের চারদিকে ঘুরতে লাগল সবাই। একঝাঁক মাছির মতো। কেউ তাকে হালকাভাবে ধাক্কা দিচ্ছে, কেউ দিচ্ছে গায়ে টোকা। আর মুখে কাটছে মজার একটা ছড়া্ত কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ। সপ্তম অধ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ আজ স্কুল বন্ধ। সকাল থেকেই খুব বৃষ্টি। রাহাত ও রেবা মায়ের কাছে বায়না ধরল খিচুড়ি খাওয়ার। তাদের মা হাসিমুখে বললেন, 'আজ খিচুড়ি আমি রান্না করব না। তোমরা রান্না করবে, আমি শুধু তোমাদের কাজে সাহায্য করব।' এ কথা শুনে রাহাত ও রেবা ভীষণ খুশি হলো। কিন্তু তাদের চিন্তা হলো, আগে কখনও তারা নিজেরা খিচুড়ি রান্না করেনি। মা ব্যাপারটিকে সহজ করে দিলেন। তিনি বললেন, 'খিচুড়ি রান্নার উপায় বুঝে নেওয়ার জন্য তোমরা কিছু প্রশ্ন তৈরি করো।' রাহাত ও রেবা খাতা-কলম নিয়ে বসে গেল প্রশ্ন তৈরি করার জন্য। এমন সব প্রশ্ন তৈরি করতে হবে, যেগুলোর জবাব শুনে খিচুড়ি রান্নার ধাপগুলো বোঝা যায়। এবার তোমাদের পালা। তোমরা কয়েকটি দলে ভাগ হও। খিচুড়ি রান্নার উপায় জানতে তোমরাও প্রশ্ন তৈরি করো। প্রশ্নগুলো হতে পারে এমন- ১. খিচুড়ি রান্না করতে কী কী লাগে? উত্তর : খিচুড়ি রান্না করতে মূলত চাল ও ডাল লাগে। ২. খিচুড়ির মধ্যে কি কোনো সবজি দেওয়া যায়? উত্তর : খিচুড়ির মধ্যে সবজি দেওয়া যায়। ৩. কোন কোন সবজি দেওয়া যায়? উত্তর : আলু, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি দেওয়া যায়। বইয়ের অনুশীলনীর সমাধান খিচুড়ি রান্নার জন্য কী কী প্রশ্নের জবাব পাওয়া দরকার, সেগুলো খাতায় লেখো। এসব প্রশ্নের মধ্যে যেগুলোর জবাব জানা আছে, সেগুলো প্রশ্নের নিচে লেখো। (মূল বইয়ের ১৮৪ নম্বর পৃষ্ঠা) ১. খিচুড়ি রান্না করতে কী কী লাগে? উত্তর : খিচুড়ি রান্না করতে মূলত চাল ও ডাল লাগে। ২. খিচুড়ির মধ্যে কি কোনো সবজি দেওয়া যায়? উত্তর : খিচুড়ির মধ্যে সবজি দেওয়া যায়। ৩. কোন কোন সবজি দেওয়া যায়? উত্তর : আলু, মিষ্টি কুমরা ইত্যাদি দেওয়া যায়। ৪. সবজি ছাড়া খিচুড়িতে আর কী দেওয়া যায়? উত্তর : মাংস দেওয়া যায়। ৫. খিচুড়ি রান্নায় কিসের মাংস ব্যবহার করা হয়? উত্তর : প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো মাংস ব্যবহার করা যায়। যেমন- মুরগির মাংস, গরুর মাংস বা খাসির মাংস। ৬. খিচুরি রান্নায় কী কী মসলার ব্যবহার করতে হয়? উত্তর : পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, গোল মরিচ, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, তেজপাতা, এলাচ ও লবঙ্গ ব্যবহার করতে হয়। প্রশ্ন করি জবাব খুঁজি এখানে আরও কিছু বিষয় দেওয়া হলো। এগুলোর সমাধানের জন্য তোমাদেরকে প্রশ্ন তৈরি করতে হবে। দলে ভাগ হয়ে একেকটি বিষয়ের জন্য প্রশ্ন তৈরি করো। আলোচনা করে জবাবও খুঁজে বের করো। -নতুন কোনো জায়গায় যাওয়া -সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা -বনভোজনের ব্যবস্থা করা প্রশ্ন করি জবাব খুঁজি এখানে আরও কিছু বিষয় দেওয়া হলো। এগুলোর সমাধানের জন্য তোমাদেরকে প্রশ্ন তৈরি করতে হবে। দলে দলে ভাগ হয়ে একেকটি বিষয়ের জন্য প্রশ্ন তৈরি করো। আলোচনা করে জবাবও খুঁজে বের করো। (মূল বইয়ের ১৮৪ নম্বর পৃষ্ঠা) আলোচনার বিষয়-১ : নতুন কোনো জায়গায় যাওয়া। ১. এ বছর ঘুরতে আমরা কোথায় যাচ্ছি? উত্তর : আমরা কক্সবাজারে যাচ্ছি। ২. কক্সবাজারে গেলে আমরা কী দেখতে পাব? উত্তর : কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকদ দেখতে পাব। ৩. কক্সবাজারের বিশেষত্ব কী? উত্তর : কক্সবাজার বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত। ৪. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আসলে কত বড়? উত্তর : এটি প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। ৫. কক্সবাজারে গিয়ে আমরা কোথায় থাকব? উত্তর : আমরা হোটেলে থাকব। ৬. কক্সবাজারে গিয়ে আমরা কী খাব? উত্তর : আমরা সেখানকার স্থানীয় খাবারগুলো খাবো। আলোচনার বিষয়-২ : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। ১. কী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে? উত্তর : ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে। ২. অনুষ্ঠানটি কোথায় আয়োজন করা হবে? উত্তর : পলাশডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ৩. অনুষ্ঠানে কী কী আয়োজন থাকবে? উত্তর : অনুষ্ঠানটি শুরু হবে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ দিয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রধান অতিথিদের বক্তব্য, মনমুগ্ধকর সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশন, অভিনয় এবং সবশেষে খাবার-দাবারের আয়োজন থাকবে। ৪. অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কারা থাকবনে? উত্তর : প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। এ ছাড়াও অন্যান্য অতিথি হিসেবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত থাকবেন। ৫. অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক আয়োজনে কারা অংশগ্রহণ করবেন? উত্তর : বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। ৬. অনুষ্ঠানটি কখন শুরু হবে? উত্তর : সকাল ১০টায় শুরু হবে। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়