ধ্বনিতত্ত্ব
২২। ঔ+উ=আব+উ এই সূত্র প্রয়োগে সন্ধি হয়েছে কোনটি?
ক) পাবক খ) নাবিক
গ) ভাবুক ঘ) গায়ক
উত্তর : গ) ভাবুক
২৩। কোনটি 'অপত্য' অর্থ প্রকাশ করে?
ক) মেধা+বিন = মেধাবী খ) গুরু+ষ্ণ=গৌরব
গ) মনু+ষ্ণ=মানব ঘ) পৃথিবী+ষ্ণ = পার্থিব
উত্তর :গ) মনু+ষ্ণ=মানব
২৪। কোনটি সন্ধির উদ্দেশ্য?
ক) শব্দের মিলন
খ) বর্ণের মিলন
গ) ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন
ঘ) শব্দগত মাধুর্য সম্পাদন
উত্তর :গ) ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন
২৫। 'কৃষ্টি' শব্দের ঠিক সন্ধি কোনটি?
ক) কৃ+ক্তি খ) কৃষ্ + তি
গ) কৃঃ + তি ঘ) কৃষ + টি
উত্তর : খ) কৃষ্ + তি
২৬। অ+ই=এ হয়, এই সূত্রের কোনটিতে শব্দ হয়েছে?
ক) শুভেচ্ছা খ) যথেষ্ট
গ) মহেশ ঘ) পরমেশ
উত্তর : ক) শুভেচ্ছা
২৭। 'কুজ্ঝটিকা' শব্দের অর্থ কী?
ক) কুয়াশা খ) অনুকার
গ) প্রভাময় ঘ) ব্রাহ্মমুহূর্ত
উত্তর : ক) কুয়াশা
২৮। 'বৃষ্টি' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) বৃস্+তি খ) বৃশ্+তি
গ) বৃষ্ + তি ঘ) বৃষ+তি
উত্তর :গ) বৃষ্ + তি
২৯। সন্ধির ব্যবহার আছে কিন্তু সন্ধির নিয়মানুসারে নেই, তাকে কী সন্ধি বলে?
ক) স্বরসন্ধি খ) ব্যঞ্জনসন্ধি
গ) বিসর্গ সন্ধি ঘ) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
উত্তর :ঘ) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
৩০। পশু+অধম-এর শুদ্ধ সন্ধি কোনটি?
ক) পশ্বধর্ম খ) পশ্বাধম
গ) পশুধম ঘ) পশাধম
উত্তর :খ) পশ্বাধম
৩১। মূর্ধন্য শিশ্ ধ্বনি ষ-এর পর অঘোষ মহাপ্রাণ 'অ' ধ্বনি থাকলে উভয়ে মিলে কী হয়?
ক) ল্ম খ) ষ্ট
গ) ষ্ঠ ঘ) জ্ঞ
উত্তর :গ) ষ্ঠ
৩২। স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির মিলনে কোন সন্ধি হয়?
ক) ব্যঞ্জন সন্ধি খ) বিসর্গ সন্ধি
গ) অনুস্বার ঘ) স্বরসন্ধি
উত্তর : ঘ) স্বরসন্ধি
৩৩। 'পূর্ণেন্দু' কোন সন্ধি?
ক) স্বরসন্ধি খ) ব্যঞ্জন সন্ধি
গ) বিসর্গ সন্ধি ঘ) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
উত্তর : ক) স্বরসন্ধি
৩৪। 'শীতার্থ' শব্দটির ঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) শীত + ঋত খ) শীত + আর্ত
গ) শিত + ঋত ঘ) শিত + আর্ত
উত্তর : ক) শীত + ঋত
৩৫। নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কোনটি?
ক) ষোড়শ খ) পুনরায়
গ) পরিষ্কার ঘ) মনোহর
উত্তর : ক) ষোড়শ
৩৬। 'কথা' 'ছলে' কোন নিয়মে ব্যঞ্জনসন্ধি?
ক) ব্যঞ্জন + স্বর খ) ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন
গ) স্বর + স্বর ঘ) স্বর + ব্যঞ্জন
উত্তর : ঘ) স্বর + ব্যঞ্জন
৩৭। নিচের কোনটিতে কণ্ঠধ্বনি 'ক'-এর প্রভাবে 'ম' হয়েছে 'ঙ'?
ক) শঙ্কা খ) সন্তাপ
গ) সঞ্চয় ঘ) সম্মান
উত্তর :ক) শঙ্কা
৩৮। নিচের কোনটিতে বিসর্গ 'ও' হয়ে গেছে?
ক) নীরোগ খ) আরোগ্য
গ) তিরোধান ঘ) ভৌগোলিক
উত্তর :গ) তিরোধান
৩৯। ই-কারের পর ঈ-কার মিলে যে ই-কার হয়, তার উদাহরণ কোনটি?
ক) দিলীশ্বর খ) রবীন্দ্র
গ) পরীক্ষা ঘ) অতীত
উত্তর :গ) পরীক্ষা
৪০। বিশেষ নিয়মে সাধিত সন্ধি কোনটি?
ক) পরিষ্কার খ) পরস্পর
গ) পুরস্কার ঘ) কষ্টি
উত্তর :খ) পরস্পর
ভাবসম্প্রসারণ
১. গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন
নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন
ভাবসম্প্রসারণ : গ্রন্থগত বিদ্যা যা আত্মস্থ করা হয়নি এবং অন্যের ধন যা স্বীয় করায়ত্ত হয়নি- এ সবই নিরর্থক। কারণ প্রয়োজনীয় মুহূর্তে এগুলো যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। তখন ওই সময় কষ্ট ভোগ করতে হয়। পৃথিবীতে মানুষের জীবনে ধন-সম্পদ ও বিদ্যার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কিন্তু বিদ্যা যদি গ্রন্থের ভেতরেই মলাটবদ্ধ হয়ে নির্জীব পড়ে থাকে, মানুষ যদি তা আত্মস্থ না করে কিংবা আত্মস্থ করে চলমান জীবনপ্রবাহে কাজে লাগাতে না পারে, তবে সে বিদ্যা মূলত কোনো বিদ্যাই নয়। মলাটবদ্ধ নির্জীব বিদ্যাকে মুক্ত করে এনে মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে হয়। তবেই সে বিদ্যা পৃথিবীর মানুষের মঙ্গলার্থে ব্যবহৃত হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে- ভারতের 'থ্রি ইডিয়টস' চলচ্চিত্রে আমির খান প্রতীকীরূপে ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে ভালোভাবে আত্মস্থ করার মাধ্যমে লেখাপড়া করে পরবর্তী সময়ে সে একটা ভালো চাকরি পেয়েছে। কিন্তু তার দুই বন্ধু ফারহান ও রাজু মা-বাবার চাপে ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে পড়তে এসে তেমন ভালো করতে পারেনি। আবার চাতুর নামে তার আর
একবন্ধু শুধু না বুঝে মুখস্থ করায় আরও খারাপ ফলাফল হয়। অন্যদিকে নিজের অর্জিত ধনসম্পত্তি যদি অন্যের কাছে রক্ষিত থাকে, তবে প্রয়োজনের সময় রক্ষিত সম্পত্তি উদ্ধার করাও অনেক সময় প্রকট সমস্যা হয়। কেননা নিজের কাছে রক্ষিত ধনসম্পত্তিই প্রয়োজনমাত্র মানুষ ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং সার্থক ও সুন্দর জীবনের প্রয়োজনে বিদ্যাকে গ্রন্থের বন্দিশালা থেকে মুক্ত করে আত্মস্থ করতে হবে, পরের হাতে সংরক্ষিত সম্পত্তিকে নিজের করায়ত্ত করতে হবে। বিদ্যা ও ধনসম্পদ যখন মানুষের যথার্থ প্রয়োজন মেটায়, তখনই তার সার্থকতা। কিন্তু মানুষের যথার্থ প্রয়োজনের সময় যদি তা কাজে লাগানো না যায়, তবে সেই বিদ্যা ও অর্থ-সম্পদের কোনো মূল্য নেই।
গ্রন্থগত বিদ্যা এবং পরহস্তের ধন জীবনের প্রয়োজনীয় সময়ে অব্যবহৃত থাকে বিধায় এগুলো প্রকৃতপক্ষে কোনো বিদ্যা বা ধন নহে। এ বিদ্যা এবং ধনকে মানুষের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে অর্জন করতে হবে। আর বাস্তব জীবনে সেটা প্রয়োগও করতে হবে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়