পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
দুই তীর ৫) কোন কালে কচ্ছপেরা রৌদ্র পোহায়? উত্তর : শীতকালে কচ্ছপেরা রৌদ্র পোহায়। ৬) ঘাটে বধূর মেলা বলতে কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর : নদীর ঘাটে গ্রামের বধূরা সারাদিনই নানা কাজে আসে। কেউ পানি নেয়, কেউ কাপড় ধোয়। তারা পরস্পর কথা বলে, আনন্দ করে। দেখে মনে হয় ঘাটে যেন বধূদের মেলা বসেছে। ৭) দুই তীরে কবিতায় ওই পারের বনটি কেমন? \হউত্তর : দুই তীরে কবিতায় নদীর ওই পারের বনটি গাছের পাতার ঘন ছায়ায় ঘেরা। বন থেকে ছোট একটি রাস্তা এসে মিশেছে নদীতে। সে রাস্তার দুই ধারে বাঁশবাগান পরস্পর জড়াজড়ি করে অবস্থান করছে। ৮) সকাল-সন্ধ্যায় ছেলের দল কী করে? উত্তর : সকাল-সন্ধ্যায় ছেলের দল নদীতে ভেলা ভাসিয়ে ভেসে বেড়ায়। ৯) তটের চারপাশে কী ফোটে? উত্তর : তটের চারপাশে কাশফুল ফোটে। ১০) ওই পারের বনটি কীসে ঘেরা? বনের রাস্তাটি কেমন? উত্তর : নদীর ওই পারের বনটি গাছের পাতার ঘন ছায়ায় ঘেরা। বন থেকে ছোট একটি রাস্তা এসে মিশেছে নদীতে। সে রাস্তার দুই ধারে বাঁশবাগান পরস্পর জড়াজড়ি করে অবস্থান করছে। ১১) নদীর বালুচরে কখন কোন পাখি দেখা যায়? উত্তর : নদীর বালুচরে শরৎকালে নীড় বাঁধে চকাচকিরা। আর শীতকালে দেখা মেলে নানা রকম বিদেশি হাঁসের। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : তরুছায়া বেষ্টিত সবুজ গ্রাম। গ্রামের পাশেই বন। বনে নানা রকমের গাছপালা। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি নদী। নদীর দু'পাশে রাস্তার ধারে বাঁশবন। গ্রামের মানুষ নদী থেকে পানি নিয়ে আসে। নদীতে চলে বিভিন্ন ধরনের নৌযান। আবার এই নদীতেই খরা মৌসুমে জেগে ওঠে চর। সকাল-সন্ধ্যা চরে এসে ভিড় জমায় নানা পশুপাখি। নদী, বন, গাছপালা সব কিছু মিলিয়ে গ্রামটি খুব সুন্দর। ৩। প্রদত্ত শব্দের অর্থ বুঝে শূন্যস্থান পূরণ করো : প্রদত্ত শব্দ শব্দার্থ বয়ে প্রবাহিত হয়ে বেষ্টিত আচ্ছাদিত তরুচ্ছায়া গাছের ছায়া নৌযান নদীপথে চলার যানবাহন মৌসুম ঋতু, বছরের বিশেষ সময় চর নদীর মাঝে বা তীরে জেগে ওঠা ভূমি ক) নদীতে .......... পড়েছে। খ) রাস্তাটি .......... দিয়ে ঢাকা। গ) গ্রামের পাশ দিয়ে নদী .......... চলেছে। ঘ) এখন বর্ষা .......... চলছে। ঙ) বর্ষায় .......... ছাড়া চলাফেরা মুশকিল। উত্তর : ক) চর খ) তরুচ্ছায়া গ) বয়ে ঘ) মৌসুম ঙ) নৌযান ৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো। ক. বাংলাদেশের নদীর তীরগুলো কেমন? চারটি বাক্যে নদী তীরের বর্ণনা দাও। উত্তর : বাংলাদেশের নদীর তীর নানা বৈচিত্র্যে ভরপুর। নদীর তীরে ফোটা সাদা কাশফুল এক ভিন্ন আবেশ সৃষ্টি করে। নদীর তীরে নৌকা সারিবদ্ধভাবে বাঁধা থাকে। গ্রামের বধূরা নদীতে পানি নিতে আসে। ছেলেরা ঘাটে ভেলা ভাসায়, আর জেলেদের মাছ ধরতে দেখা যায়। খ. আমাদের বনগুলো কীসে ভরা? চারটি বাক্যে বন সম্পর্কে লেখো। উত্তর :আমাদের বনগুলো নানারকম গাছপালা, ফুল ও ফলে ভরা। নানান প্রজাতির পশুপাখি বনে বাস করে। বন থেকে আমরা কাঠসহ নানান ফলমূল পাই। বন আমাদের প্রকৃতিকে রক্ষা করার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে উপকার করে। আমাদের উচিত বন রক্ষায় সচেতন হওয়া। গ. নদী দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে এমন দুজন পেশাজীবীর নাম লেখো। নদীর চারটি উপকারী দিক উলেস্নখ করো। উত্তর : নদী দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে এমন দুজন পেশাজীবী হলেন- জেলে ও মাঝি। \হনদীর চারটি উপকারী দিক হলো : ১. নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। ২. আমরা নদীপথে নৌকা নিয়ে চলাচল করতে পারি। ৩. নদীর পানি আমরা সেচ কাজসহ নানান কাজে ব্যবহার করি। ৪. নদীর কারণে আমাদের প্রকৃতি সজীব থাকে। পাঠ্যবই থেকে কবিতার প্রশ্নোত্তর লেখো। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : আমি ভালোবাসি আমার নদীর বালুচর, শরৎকাল যে নির্জনে চকাচকির ঘর। যেথায় ফোটে কাশ তটের চারিপাশ, ক) শরৎকালে নদীর বালুচরে কী কী ঘটে? উত্তর :শরৎকালে নদীর বালুচরে যা যা ঘটে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো : (১) চকাচকিরা নিরালায় ঘর বাঁধে। ২) তটের চারপাশজুড়ে কাশফুল ফোটে। খ) প্রদত্ত কবিতাংশের মূলভাব লেখো। উত্তর : প্রদত্ত কবিতাংশের মূলভাব : শরৎকালের প্রকৃতি অপরূপ রূপ ধারণ করে। এ সময় নদীতে চর জেগে ওঠে। চরে চকাচকিরা ঘর বাঁধে। চারদিকে কাশফুল ফোটে। গ) নদীর বালুচরে কী ঘটে? উত্তর : নদীর বালুচরে তীরের চারপাশে কাশফুল ফোটে। শরৎকালে চকাচকিরা বাসা বাঁধে। শীতের দিনে বিদেশি হাঁস আসে। কচ্ছপ বালুচরে রোদ পোহায়। সন্ধ্যেবেলায় জেলেদের দু-একটি ডিঙি নৌকা ভেড়ে। পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন। নিচের কবিতাংশটি প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো। সব নাও, মাঝি, চকচকে সিকি এই আনি দুটো, তাও। লক্ষ্ণী তো, মোরে-আর ছোকানুরে নৌকায় তুলে নাও। শুয়ে-শুয়ে দেখি অবাক আকাশ, আকাশ মস্ত বড়, পৃথিবীর সব নীল রং বুঝি সেখানে করেছে জড়ো। সারাদিন গেল, সূর্য লুকালো জলের তলার ঘরে, সোনা হয়ে জ্বলে পদ্মার জল কালো হলো তার পরে সন্ধ্যার বুকে তারা ফুটে ওঠে- এবার নামাও পাল, গান ধরো, মাঝি; জলের শব্দ ঝুপঝুপ দেবে তাল। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়