সপ্তম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন সহকারী শিক্ষক দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয় রাঙামাটি
তৃতীয় অধ্যায় : চতুর্থ পরিচ্ছেদ যতিচিহ্ন দৈনন্দিন জীবনে আমরা নানা প্রয়োজনে কথা বলি। লক্ষ করলে দেখা যায়, এসময় আমরা একটানা বলি না। বক্তব্য বিষয়টিকে স্পষ্ট করার জন্য কথার নানা অংশে আমরা একটুখানি থামি, এরপর আবারও বলতে শুরু করি। তবে এই থামার সময় সব জায়গায় একরকম হয় না। এই যে, কথার বিভিন্ন অংশে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা থামি- এ বিষয়টিকে বোঝানোর জন্য বাক্যে নানা রকম চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। থামার সময় নির্দেশক এ সকল চিহ্নকে যতিচিহ্ন বলে। যতিচিহ্ন বাক্যকে বোধগম্য, সাবলীল ও শ্রম্নতিমধুর করে তোলে। কথা বলার সময় একটি বাক্য বলে আমরা একটু থামি তারপর আরেকটি বাক্য শুরু করি। কোনো বাক্যে আমরা কোনো কিছুর বিবরণ দিই, কোনো বাক্যে আমরা কোনো কিছু জানতে চাই, কোনো বাক্যে আমরা বিস্ময়ের ভাব প্রকাশ করি। আবার কোনো কথার অর্থ স্পষ্ট করার জন্য একই বাক্যের মাঝখানেও মাঝে মাঝে থামতে হয়। লেখার সময় এই থামা বা বিরতিকে বোঝানোর জন্য কিছু চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। ভাব ও অর্থকে স্পষ্ট করার জন্য বাক্যের মধ্যে ও শেষে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে বলা হয় যতিচিহ্ন। যতিচিহ্ন বক্তব্যকে বা লেখার ভাষাকে বোধগম্য, সুস্পষ্ট ও সুবিন্যস্ত করে। এগুলোকে ছেদচিহ্ন বা বিরামচিহ্নও বলা হয়। পাঠ মূল্যায়ন প্রশ্ন : ভাব ও অর্থ স্পষ্ট করার জন্য বাক্যের মধ্যে ও শেষে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে কী বলে? উত্তর : যতিচিহ্ন। প্রশ্ন : স্বাসবিরতি নির্দেশ করা ও বক্তব্যের অর্থবোধে সহায়তা করা কার কাজ? উত্তর : যতিচিহ্নের। প্রশ্ন : যতিচিহ্নের অন্য নাম কী? উত্তর : বিরাম চিহ্ন। প্রশ্ন : এক বলার দ্বিগুণ সময়কাল থামতে হয় কোন যতিচিহ্নে? উত্তর : সেমিকোলন। প্রশ্ন : দাঁড়িচিহ্নের অপর নাম কী? উত্তর : পূর্ণচ্ছেদ। প্রশ্ন : উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত প্রয়োগ করতে গেলে কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়? উত্তর : কোলন চিহ্ন। প্রশ্ন : সমজাতীয় একাধিক শব্দ পর পর থাকলে কোন চিহ্ন ব্যবহৃত হয়? উত্তর : কমা। প্রশ্ন : বিবৃতি ও অনুজ্ঞাবাচক বাক্যের শেষে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়। উত্তর : দাঁড়ি। প্রশ্ন : একটি অনুচ্ছেদ লেখো যেখানে বিভিন্ন রকম যতিচিহ্নের ব্যবহার আছে। নির্দেশনা : প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বা স্কুলে বা বাড়িতে তুমি বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখো নিশ্চয়ই! সেখান থেকে কোনো একটি বিষয় নিয়ে তোমার নিজের মতো করে একটি অনুচ্ছেদ লেখো ও সেখানে সঠিকভাবে বিভিন্ন ধরনের যতিচিহ্ন ব্যবহার করো। তোমার লেখাটি শ্রেণিশিক্ষককে দেখাও। উত্তর : আরজু পাখিকে বলে পাখি, একটু নিচে নামো! তোমার সাথে কথা কই। আমাকে স্কুলে নিয়ে যাবে? সাবু, সোমেন ওরা কেউ নিয়ে গেল না। তুমি নিয়ে যাও না! তোমার ডানায় ভর করে চলে যাব। কী হলো? নেমে গেলে কেন? মেঘ আমায় নিয়ে যাও না। তোমার কোলে বসে চলে যাব স্কুলে। কী বলছ? ভিজে যাবো? ভিজলাম। আবার শুকিয়ে যাব তবুও তো স্যার বুঝবেন, ছোটো পাখি চন্দনা, এই যে শালিক আমাকে দেখতে পাচ্ছ না? আমি একলা বসে আছি। আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আমার সাথে কথা বলো না- চন্দনা আমায় নিল না, মেঘ আমায় নিল না- শালিক আমার সাথে কথা বলে না। প্রশ্ন : নিচের অনুচ্ছেদটি ভালোভাবে লক্ষ করো। সকল স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী বিরাম চিহ্নের ব্যবহার হয়েছে কি? না হয়ে থাকলে কোথায় হয়নি তা চিহ্নিত করে বিরাম চিহ্ন বসাও। পলাশ পাশ থেকে বলল রাতুল সব দেখতে পাচ্ছে। সোমা আপু, তুমি শক্ত করে বাঁধোনি। সোমা রাতুলের চোখের সামনে একটা আঙুল উঁচিয়ে ধরে বলল কয়টা আঙুল বলো তো রাতুল বলল, পাঁচটা। সবাই একচোট হেসে উঠল বোঝা গেল, রাতুল কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। এরপর শুরু হলো আসল খেলা রাতুলের চারদিকে ঘুরতে লাগল সবাই। একঝাঁক মাছির মতো কেউ তাকে হালকাভাবে ধাক্কা দিচ্ছে কেউ দিচ্ছে গায়ে টোকা। আর মুখে কাটছে মজার একটা ছড়া কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ উত্তর : পলাশ পাশ থেকে বলল, 'রাতুল সব দেখতে পাচ্ছে। সোমা আপু, তুমি শক্ত করে বাঁধোনি।' সোমা রাতুলের চোখের সামনে একটা আঙুল উঁচিয়ে ধরে বলল, 'কয়টা আঙুল বলো তো?' রাতুল বলল, 'পাঁচটা।' সবাই একচোট হেসে উঠল। বোঝা গেল, রাতুল কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। এরপর শুরু হলো আসল খেলা। রাতুলের চারদিকে ঘুরতে লাগল সবাই। একঝাঁক মাছির মতো। কেউ তাকে হালকাভাবে ধাক্কা দিচ্ছে, কেউ দিচ্ছে গায়ে টোকা। আর মুখে কাটছে মজার একটা ছড়া্ত কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ।