৪র্থ অধ্যায়
চারপাশের লেখার সাথে পরিচিত হই
ষষ্ঠ শ্রেণিতে আমরা বিভিন্ন ধরনের লেখার সাথে পরিচিত হয়েছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিতরে-বাইরে, রাস্তার আশপাশে, টেলিভিশনে, খবরের কাগজে, এমনকি বিভিন্ন আকারের কাগজে, কাপড়ে বা ধাতব পাতে আমরা এ ধরনের লেখা দেখতে পাই।
প্রশ্ন:ব্যানারের ব্যবহার লিখি?
উত্তর:কোন স্থানে বৃক্ষমেলা হচ্ছে বোঝানোর জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন: এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর: স্কুলের মাঠে, কোরবানির সময়ে, রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে।
প্রশ্ন: ফেস্টুনের ব্যবহার লিখি?
উত্তর: জীবনগড়ি পাঠাগারের প্রচার বাড়ানোর জন্য এটি ব্যবহার হয়েছে।
প্রশ্ন: এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর: স্কুলের গেটের দু'দিকে ও মার্কেটের সামনে।
প্রশ্ন: পোস্টারের ব্যবহার লিখি?
উত্তর:হলুদিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বিজ্ঞানমেলা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে ও তাদের অংশগ্রহণে উৎসাহিত করানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন:এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর:নির্বাচনের সময়ে দেওয়ালে সাঁটানো এবং দড়িতে টানানো অবস্থায়।
প্রশ্ন:পস্ন্যাকার্ডের ব্যবহার কী?
উত্তর:স্স্নোগানের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন:এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর:মিছিলে।
প্রশ্ন:বিলবোর্ড এর ব্যবহার লিখি?
উত্তর:শিশুকে টিকা দিতে উৎসাহ প্রদানের জন্য প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন:এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর:রাস্তার পাশে, চৌরাস্তার মোড়ে।
প্রশ্ন:নোটিশের ব্যবহার লিখি?
উত্তর:শিক্ষার্থীদের শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রভাতফেরি বিষয়ক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন:এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর:বিদ্যালয়, অফিস আদালতের সামনে, দেওয়ালে সাঁটানো অবস্থায়।
প্রশ্ন:লিফলেটের ব্যবহার লিখি?
উত্তর:ব্যক্তিগত তথ্য প্রচারণার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন: এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর: দেওয়ালে সাঁটানো অবস্থায়, হাটে করে বিলি করা অবস্থায়।
প্রশ্ন: মোড়কে লেখার ব্যবহার লিখি?
উত্তর: বিরিয়ানির মশলার প্যাকেটে কী কী উপকরণ আছে এবং পরিমাণ কতটুকু তা বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন: এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর: মুদি দোকানে, ঘরে, রাস্তাঘাটে।
প্রশ্ন: বিজ্ঞাপনের ব্যবহার লিখি?
উত্তর: একুশে বইমেলায় ফারহান হোসেনের নতুন বই বের হয়েছে, তা প্রচার করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন:এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর: পত্রিকায়, টেলিভিশনে, অনলাইনে, দেওয়ালে সাঁটানো অবস্থায়।
প্রশ্ন: আমন্ত্রণপত্রের ব্যবহার লিখি?
উত্তর: নির্দিষ্ট স্থান ও সময়ে নববর্ষ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানাতে এবং অংশগ্রহণে আমন্ত্রণ জানাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন: এরকম নমুনা তুমি কি কোথাও দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর: ঘরে, বইয়ে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
উপরে যেসব নমুনা রয়েছে, সেগুলো দেখতে সবসময়ে এক রকম হয় না। দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এগুলোর আকার, রং ও উপাদান ভিন্নরকম হতে পারে। এগুলোর পরিচয় নিচে তুলে ধরা হলো।
১. ব্যানার: ব্যানার সাধারণত আয়তাকার হয়ে থাকে। লম্বা কাপড়ে কিংবা কাপড়ের মতো পস্নাস্টিক পর্দায় বেশিরভাগ ব্যানার দেখা যায়। মিছিল বা শোভাযাত্রার সামনে, কোনো অনুষ্ঠানে মঞ্চের পেছনে, মেলা বা অস্থায়ী হাট-বাজারের সামনে ব্যানার দেখতে পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট তথ্য জানানোর কাজে এবং প্রচার-প্রচারণায় ব্যানারের ব্যবহার হয়। আজকাল অনুষ্ঠান-মঞ্চের পেছনে ডিজিটাল ব্যানারও দেখা যায়।
২. ফেস্টুন: ফেস্টুন দেখতে আয়তাকার; তবে এগুলো সাধারণত উপর থেকে নিচের দিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ফেস্টুনের উপকরণ ব্যানারের মতো। ফেস্টুন ঝুলিয়ে রাখা হয় সাধারণত ভবনের দেয়ালে, অনুষ্ঠান-মঞ্চের দুই পাশে, কোনো গাছে বা খুঁটিতে। এর মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার কাজ হয়।
৩. পোস্টার: পোস্টার সাধারণত কাগজে মুদ্রিত বা হাতে লেখা হয়ে থাকে। এগুলো আকারে ব্যানার বা ফেস্টুনের মতো বড় নয়। রাস্তার ধারের দেয়ালে বা অনেক ভবনের গায়ে পোস্টার আঁঠা দিয়ে লাগানো হয়। নির্বাচনের সময়ে রাস্তায় দড়ি দিয়েও পোস্টার ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রচারের কাজে পোস্টারের ব্যবহার হয়। পোস্টারের মাধ্যমে রাজনৈতিক বক্তব্য বা দাবিও তুলে ধরা হয়ে থাকে।
৪. পস্ন্যাকার্ড: শক্ত কাগজে, ধাতব পাতে, কাঠে, কাপড়ে, কিংবা কাপড়ের মতো পস্নাস্টিক-পর্দায় বক্তব্য লিখে পস্ন্যাকার্ড তৈরি করা হয়। পস্ন্যাকার্ড উঁচু করে ধরার জন্য একটি লম্বা হাতল থাকে। মিছিলে বা শোভাযাত্রায় অংশকারীদের পস্ন্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়। দাবি তুলে ধরা বা তথ্য জানানোর কাজে পস্ন্যাকার্ডের ব্যবহার হয়।
৫. বিলবোর্ড: সাধারণত বড় ধাতব পাত দিয়ে বিলবোর্ড তৈরি করা হয়। রাস্তার পাশে, ভবনের ছাদে বিলবোর্ড দেখা যায়। প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের কাজে এর ব্যবহার হয়। বিলবোর্ডের বক্তব্য ও ছবি ধাতব পাতে যেমন লেখা ও তীকা হয়ে থাকে, তেমনি টেলিভিশনের মতো ডিজিটাল বিলবোর্ডও দেখা যায়। বিলবোর্ডের আরেক নাম হোর্ডিং।
৬. নোটিশ: স্কুল-কলেজে বা অফিস-আদালতে শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষকে তথ্য জানানোর কাজে নোটিশ তৈরি হয়। নোটিশের মধ্যে কোনো কিছু মান্য করা বা পালন করার নির্দেশ থাকে। সাধারণত এটি হাতে লেখা হয় বা মুদ্রিত হয়। যেখানে নোটিশ টাঙানো থাকে, তার নাম নোটিশ বোর্ড। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক সময়ে নোটিশ পাঠ করে শোনানো হয়। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠির আকারেও নোটিশ পাঠাতে পারে। আজকাল ইমেইলে ও অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে নোটিশ পাঠানো হয়ে থাকে। নোটিশের আরেক নাম বিজ্ঞপ্তি।
৭. লিফলেট: তথ্য ও পণ্যের প্রচারের কাজে লিফলেট তৈরি হয়। লিফলেট সাধারণত ছোট কাগজে মুদ্রিত হয়ে থাকে। স্কুল-কলেজের সামনে, হাট-বাজারে, ব্যস্ত এলাকায় অনেককে লিফলেট বিলি করতে দেখা যায়।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়