৬ষ্ঠ অধ্যায় :২য় পরিচ্ছেদ
শব্দের অর্থ
অবধি : বিস্তার
আখ্যায়িকা : কাহিনি।
ইটের পাঁজা : ইটের স্তূপ
কারবালা : ইরাকের একটি জায়গার নাম, যেখানে এজিদ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ইমাম হোসেন (রা.) শহীদ হন।
কুরুক্ষেত্র : মহাভারতে উলেস্নখিত একটি জায়গার নাম, যেখানে কৌরব ও পান্ডবদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল।
খানসেনা : পাকিস্তানি সৈন্য।
ঝশমারি : ঝামেলা।
টিক্কা খান : মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইন্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক।
দর্শন : দেখা।
বধ্যভূমি : যেখানে মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
বহর : আয়তন।
বাতায়ন : জানালা।
মানসনেত্র : মনের চোখ।
রাজারবাগ : ঢাকা শহরের একটি জায়গা, যেখানে পুলিশের ব্যারাক আছে। পঁচিশে মার্চ রাতে এখানে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের প্রতিরোধযুদ্ধ হয়।
রায়েরবাজার : ঢাকা শহরের একটি জায়গা, মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা যেখানে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ফেলে রাখে।
শ্রবণ : কান।
সম্প্রদায় : গোষ্ঠী।
হর্ষণ : আনন্দ।
ছড়া বুঝি
(মূল বইয়ের ১৩৮ নম্বর পৃষ্ঠা)
প্রশ্ন : 'ঢাকাই ছড়া' ছড়াটির লেখক কে?
উত্তর : 'ঢাকাই ছড়া' ছড়াটির লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়।
প্রশ্ন : লেখক পদ্মাপারে কীভাবে আসছেন?
উত্তর : লেখক বিমানে চড়ে পদ্মাপারে আসছেন।
প্রশ্ন :লেখকের পদ্মাপারে আসতে কত সময় লেগেছিল?
উত্তর : আধাঘণ্টা।
প্রশ্ন : লেখক বিমানের কোন জায়গায় আসন পেয়েছিলেন?
উত্তর : জানালার পাশে।
প্রশ্ন : পদ্মা নদী কোন নদী অবধি বিস্তৃত?
উত্তর :সিন্ধু নদী।
প্রশ্ন : পদ্মা নদীতে কী দেখা যায়?
উত্তর : আঁকাবাঁকা জলের রেখা এবং পালতোলা নৌকা দেখা যায়।
প্রশ্ন : লেখকের মতে কোন ভাষা শ্রবণ জুড়ায়?
উত্তর : বাংলা ভাষা।
প্রশ্ন : লেখকের চোখ জুড়িয়ে গেছে কেন?
উত্তর : বন্ধু-বান্ধবের সাক্ষাতে লেখকের চোখ আনন্দে জুড়িয়ে গেছে।
প্রশ্ন : লেখক বিমান থেকে নেমে চারিদিকে কী দেখেন?
উত্তর : বাংলা লিপি বা লেখা।
প্রশ্ন : কী ঘিরে নতুন গল্প-কবিতা লেখা হবে?
উত্তর : যুদ্ধবিদ্ধস্ত ঢাকা শহরকে ঘিরে নতুন গল্প-কবিতা লেখা হবে।
প্রশ্ন : কারা লেখার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন?
উত্তর : নতুন লেখক সম্প্রদায়।
প্রশ্ন : এই ছড়ায় 'খান সেনা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন : টিক্কা খান কে?
উত্তর : টিক্কা খান ছিলেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডার অধিনায়ক।
প্রশ্ন : 'ঢাকাই ছড়া' লেখার মূল বিষয়বস্তু কী?
উত্তর : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের বিজয়ের পর কবির কলকাতা থেকে ঢাকায় ভ্রমণ 'ঢাকাই ছড়া'র প্রধান বিষয়। বিমানের যাত্রাপথ, নদ-নদী, প্রাকৃতিক দৃশ্য, নতুন ঢাকার বর্ণিল রূপ, বাংলা ভাষা ও বন্ধুদের প্রতি আবেগ, একাত্তরের নারকীয় হত্যাকান্ড ও বাঙালির জয় এবং নতুন সাহিত্য রচনার পটভূমি ছড়াটিতে উপজীব্য হয়ে উঠেছে।
'ঢাকাই ছড়া' নামের ছড়াটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা নিচে লেখো। (মূল বইয়ের ১৩৯ নম্বর পৃষ্ঠা)
'ঢাকাই ছড়া'টি অন্নদাশঙ্কর রায়ের একটি অসাধারণ সৃষ্টি। আলোচ্য ছড়াটিতে ছড়াকার বলেন, তিনি একদা পদ্মা নদীর দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে নিমন্ত্রিত হন। আকাশ পথে বিমানে করে আসার পথে তিনি জানালার পাশের আসনে বসেন। জানালা থেকে তিনি পদ্মা নদী অবলোকন করেন। সিন্ধু পর্যন্ত বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা পদ্মা নদী দেখে তিনি মুগ্ধ হন।
আকাশ থেকে তিনি দেখতে পান পদ্মার বুকে বয়ে চলা অসংখ্য পালতোলা নৌকা। এভাবে দেখতে দেখতে তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকা শহরে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বাংলাদেশে এসে বাঙালিদের সঙ্গে কথা বলে তার প্রাণ জুড়ায়। বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে বাঙালিদের থেকে পাকিস্তানি শাসকদের বাংলা ভাষা কেড়ে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা তিনি এ ছড়ায় তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তুলে ধরেন পাকিস্তানি শাসক ইয়াহিয়া খান ও টিক্কা খানের অত্যাচারের কাহিনি।
১৯৭১ সালে রাজারবাগ ও রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নৃশংস গণহত্যার কাহিনিও তুলে ধরেছেন এই ছড়াতে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে তিনি 'কারবালা' ও 'কুরুক্ষেত্র' যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ছড়ার একেবারে শেষ প্রপ্রন্ত ছড়াকার অন্নদাশঙ্কর রায় নতুন প্রজন্মের কাছে এসব ইতিহাস তুলে ধরার দায়ভার অর্পণ করেন নবাগত লেখকদের হাতে।
'ঢাকাই ছড়া' পড়ার সময় নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করি। (মূল বইয়ের ১৪০ নম্বর পৃষ্ঠা)
১. লাইনের শেষে মিল-শব্দ আছে কি না।
উত্তর : হঁ্যা, মিল-শব্দ আছে।
২. শব্দের রূপ পরিবর্তিত হয়েছে কি না।
উত্তর : হঁ্যা, শব্দের রূপ পরিবর্তিত হয়েছে।
৩. তাল দিয়ে পড়া যায় কি না।
উত্তর : হঁ্যা, তাল দিয়ে পড়া যায়।
মিল-শব্দগুলো নিচে লেখো :
ব্যাপার - পদ্মাপার
পাড়ি - ঝকমরি
ছাড়া - তাড়া
চাই - ঠাঁই
নদী - অবধি
রেখা - দেখা
কহর - বহর
এসে - দেশে
আশা - ভাষা
দর্শনে - হর্ষণে
দিকে - লিখে
বাজার - পাঁজার
মানসনেত্র - কুরুক্ষেত্র
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়